ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ৩১ জুলাই ২০১৮

বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না

অনলাইন রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১৯৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের নাম-পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন বঙ্গবন্ধুর মহাকাশে পাঠিয়েছি। কোনো সরকারই এখন এই নাম মুছে ফেলতে পারবে না। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন উদযাপন অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় এ মন্তব্য করেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইন উৎক্ষেপণ পিছিয়েছিল। কারণ ফ্লোরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০১৮ সালের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার। আমরা সেটি করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আমার লক্ষ্য ছিল সমগ্র বাংলাদেশে আমরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছাব। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ফাইবার অপটিক দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে আমরা স্যাটেলাইট দিয়ে ইন্টারনেট পৌঁছে দেব। দ্বীপাঞ্চলগুলোতেই আমরা ইন্টারনেট দেব। সেটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেটি সম্ভব।’ স্যাটেলাইটের সুবিধা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় দুটো সরকারি গণমাধ্যম ছিল। আওয়ামী লীগ আসার পর দুই তিনটা বেসরকারি চ্যানেল দিই। ২০০৯ সালে এটি উন্মুক্ত করে দিই। কতটি টেলিভিশন চ্যানেল আছে জানা নেই, কারণ প্রতিবছর নতুন নতুন চ্যানেল হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠছি। আমরা এখন আর দারিদ্র্য দেশ নয়। আমাদের স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য ছিল টেলিভিশনগুলো এর সুবিধা পাবে। আমি চাই শুধু দেশীয় চ্যানেল নয়, বিদেশি চ্যানেলগুলোও যেন আমাদের মানুষ, গ্রামের মানুষ দেখতে পারে। শহর এগিয়ে যাবে, গ্রাম পিছিয়ে থাকবে সেটি আমরা চাই না। আরও অনেক কিছুই আছে যা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা লাভবান হবো।’ জয় বলেন, ‘বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়ার জন্য প্রত্যেক বছর কোটি কোটি টাকা সার্ভিসের জন্য দিতে হয়। এখন সকল সার্ভিস আমরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দিতে পারব। এতে আমাদের ব্যালেন্স অব রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। স্যাটেলাইটের খরচ এই ভাড়া থেকেই উঠে আসবে। এই স্যাটেলাইট প্রফিট করবে।’ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হওয়ায় বিষয়টি তরুণ প্রজন্মের নজরে এসেছে। এখন নজর স্পেসের দিকে গেছে। এটার ওপর তরুণ প্রজন্ম ডিগ্রি নেবে। স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রয়োজন হবে। আমাদের দেশে স্যাটেলাইট টেকনোলজির চর্চা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেষমেষ হচ্ছে আমরা গর্ব করতে পারছি। সারাবিশ্বের সামনে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারছি। বিএনপি-জামায়াতের সময় দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাংলাদেশকে আরেক পাকিস্তান বলা হতো। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম উদীয়মান দেশ। আমরা বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলাম।’
×