ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইংল্যান্ডের মাটিতেও ভারতকে নিয়ে আশাবাদী রবি শাস্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৩১ জুলাই ২০১৮

ইংল্যান্ডের মাটিতেও ভারতকে নিয়ে আশাবাদী রবি শাস্ত্রী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারত ‘ঘরে বাঘ বিদেশে বিড়াল’- দুই মৌসুম আগেও দলটির বিরুদ্ধে এমন অপবাদ ছিল। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে সেই দুর্নাম অনেকটাই দূর হয়েছে। সিরিজ জয় করেছে, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে দুর্ধর্ষ প্রোটিয়াদেরও রুখে দিয়েছে। বাকি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড সফরে বার্মিংহামে বুধবার প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু পাঁচ ম্যাচের বহুল আলোচিত দীর্ঘ এ সিরিজ। অনেকের মতে কোহলির এই দলেরই সামর্থ্য রয়েছে অতীত ইতিহাস বদলে দেয়ার। প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হার বা ড্র নয়, ভারত এখানে এসেছে জয় করতে। কোহলিবাহিনী প্রমাণ করতে চায় বিদেশেও তারাই সেরা। ময়দানী লড়াইয়ের আগে শিষ্যদের প্রতি তার একটাই বার্তা, ‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলো। যে ক্রিকেটটা খেলে তোমরা বিদেশেও সেরা দল হয়ে উঠতে পার।’ সংবাদ মাধ্যমকে শাস্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশের মাঠেও সেরা দল হয়ে উঠতে চাই। সেই দক্ষতা আমাদের আছে।’ তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘বিদেশে আমরা সাদা বলের ক্রিকেটে খুব ভাল করছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটেও ভাল খেলেছি। সেই খেলাটাই খেলতে চাই। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো, লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা।’ তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে কোন দলই বিদেশে গিয়ে সে রকম ভাল খেলতে পারছে না। এই তো শ্রীলঙ্কায় গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কি অবস্থা হলো, দেখুন।’ ভারতীয় কোচ এও মনে করেন, এই সিরিজে ইংল্যান্ডের দর্শকদের সামনে নিজেকে সেরা ব্যাটসম্যান প্রমাণ করতে মুখিয়ে থাকবেন কোহালি। টেস্ট সিরিজের আগে ভারতের প্রস্তুতিটা খারাপ হয়নি। ২-১এ টি২০ জিতেছে, অল্পের জন্য ওয়ানডে হেরেছে সমান ব্যবধানে। যারা সীমিত ওভারের দলে ছিলেন না, তাদের কেউ কেউ ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলেছেন। শাস্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই ইংল্যান্ডে খেলে গিয়েছে। অনেকেই গত কয়েক বছর ধরে অনেক কিছু শিখেছে। এটা আমাদের কাছে একটা বড় সুবিধা।’ বলা হচ্ছিল, প্রচণ্ড গরমে নিজেদের মনের মতো পিচ বানাতে পারবে না ইংল্যান্ড। পিচ কি রকম হবে তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চান না ভারত কোচ, ‘পিচ কখনই ভারতের মতো হবে না। ভারতের পরিবেশ, পরিস্থিতি, আউটফিল্ড সবই অন্য রকম। ইংল্যান্ডের পরিবেশ, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এখানে বল মুভমেন্ট করবেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা বেশ জীবন্ত পিচে খেলেছিলাম। আমাদের বাইশ গজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছিল।’ শাস্ত্রী মনে করছেন, এই ধরনের বিদেশ সফরে টেস্ট ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিংটা কেমন হচ্ছে, তা অনেক কিছু ঠিক করে দেয়, ‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা বা নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে শুরুর দিকে ব্যাটিংটা কেমন হচ্ছে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ২০-২৫ ওভারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের জন্য একটা মঞ্চ তৈরি হয়ে যায়।’ শাস্ত্রী বলছেন, ‘আমাদের ব্যাটিংলাইনআপ কিন্তু খুব নমনীয়। রাহুলকে তিন নম্বর ওপেনার হিসেবে দলে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ওপেনে ছাড়া সে খেলতে পারবে না। তিন নম্বর ওপেনার প্রথম চারের যে কোন জায়গায় খেলতে পারে। আমাদের দলের বৈশিষ্ট্যই হলো নমনীয়তা। আমরা কিন্তু যে কোন সময় চমক দেখাতে পারি।’
×