ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আন্তঃলেনদেন সম্ভব হবে

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩১ জুলাই ২০১৮

ডিসেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আন্তঃলেনদেন সম্ভব হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে মোবাইল ব্যাংকিং অনেক জনপ্রিয়। নিম্ন আয়ের মানুষও এর সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু এক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করা যায় না। এর ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যে আন্তঃলেনদেন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য পেমেন্ট ইকোসিস্টেম নির্মাণ-প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) লীলা রশীদ জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি ইন্টারঅপারেবল করার কাজ চলছে। এটি হলে একটি এ্যাকাউন্ট দিয়ে সব মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির এ্যাকাউন্টে লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া এটিএম বুথের মাধ্যমে টাকা জমা দেয়া বাড়ানো গেলে নগদ টাকা বহন অনেক কমে আসবে। এ সময় লীলা রশিদ কিউআর কোডের মান নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়েছে বলে জানান। লীলা রশিদ আরও বলেন, দেশে বর্তমানে মোট ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যাংক এ্যাকাউন্ট রয়েছে। অথচ কার্ড রয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩৫ লাখের মতো। এর মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখের মতো রয়েছে ডেবিট কার্ড। প্রি-পেইড কার্ড রয়েছে এক লাখ ৬০ হাজারের কম। আর ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ১০ লাখেরও কম। টিআইএনের বাধ্যবাধকতার কারণে ক্রেডিট কার্ড এত কম। পুরোপুরিভাবে এখন ৩০টি ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা রয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃসংযোগের আওতায় এসেছে ১৩টি ব্যাংক। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের আওতায় বর্তমানে ৫১টি ব্যাংক আন্তঃব্যাংক এটিএম এবং ৫০টি ব্যাংক পয়েন্ট অব সেলস (পস) সেবা দিচ্ছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, দেশে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের বড় চ্যালেঞ্জ হলো এখানে ১৮ থেকে ১৯টি প্রতিষ্ঠান থাকলেও সক্রিয় প্রতিষ্ঠান মাত্র দুটি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এ্যাকাউন্টগুলো এর মূল প্রতিষ্ঠানের হিসাবের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও অন্যান্য ব্যাংক এই কাজটি করেনি। বিকাশ ঢাকা ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের জন্য সম্প্রতি চুক্তি করলেও নিজেকে হোস্ট ব্যাংক অর্থাৎ ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে যুক্ত করেনি। তাছাড়া দেশের অধিকাংশ ব্যাংকই প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য টাকা খরচ করতে আগ্রহী নয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এবিবির চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকে এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান, এ্যামচেমের সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াশিংটন ডিসির এফটিআই কনসাল্টিংয়ের পাবলিক পলিসি উপদেষ্টা টম ক্রাফোর্ড। বৈঠকটি সঞ্চালন করেন পিআই স্ট্রাটেজির ম্যানেজিং পার্টনার পিয়াল ইসলাম।
×