ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রজ্ঞাপন আজকালের মধ্যেই

সরকারী কর্মচারীদের জন্য স্বল্প সুদে গৃহঋণ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩১ জুলাই ২০১৮

সরকারী কর্মচারীদের জন্য স্বল্প সুদে গৃহঋণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারী কর্মচারীদের জন্য স্বল্প সুদে গৃহঋণের প্রজ্ঞাপন আজকালের মধ্যেই জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। তবে শেষ মুহূর্তে এ নীতিমালায় সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঋণ নেয়ার যোগ্যতা হিসেবে কর্মচারীদের বয়সসীমা করা হচ্ছে চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর সর্বনিম্ন ৫ বছর ও সর্বোচ্চ ৫৬ বছর। আগে তা ছিল সর্বনিম্ন ৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫৮ বছর। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, দু এক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থ বিভাগ। এর আগে অর্থ বিভাগ যে নীতিমালা চূড়ান্ত করেছিল, সেটিতে সর্বোচ্চ বয়স ৫৮ উল্লেখ ছিল। পরে তা ৫৬ বছর করা হয়েছে। অন্য সবই ঠিক থাকবে। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তৎকালীন অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ‘সরকারী কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান-সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৮’ চূড়ান্ত করে। পরে গত ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছর প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উপস্থাপন করেন। এরপর ২৮ জুন তা সংসদে পাস হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পায়। এখন শুধু প্রজ্ঞাপন জারি করার পালা। জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সরকারী কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণকে বাস্তবসম্মত পর্যায়ে উন্নীত করার নির্দেশনা দেন। সরকারী কর্মচারীগণ বিশেষত নবীন কর্মকর্তারা যেন একটি ফ্ল্যাট বা গৃহের মালিক হতে পারেন, সেদিক লক্ষ্য রেখে আমরা ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের বিষয়ে একটি নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছি এবং আগামী অর্থবছরেই তা কার্যকর হবে বলে আশা রাখি।’ তিনি বলেন, ‘এ নীতিমালার আওতায় একজন সরকারী কর্মচারী দেশের যে কোন স্থানে গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণ নিতে পারবেন। সহনীয় ও পরিশোধযোগ্য সুদে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে এ ঋণ সরকারী কর্মচারীগণকে প্রদান করা হবে এবং ঋণের প্রকৃত সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি বাবদ বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে পরিশোধ করবে। আশা করি, এ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর সরকারী সেবা প্রদানে কর্মচারীগণ আরও উদ্যমী হবেন এবং সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবেন।’ অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য পাঁচ শতাংশ সুদহারে গৃহঋণের নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালার আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। এ ঋণের মোট সদুহার ১০ শতাংশ। তবে এ ১০ শতাংশ সুদের ৫ শতাংশ সরকার এবং বাকি ৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ (ঋণ পরিশোধ শুরুর সময়) ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি ‘সরকারী কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান-সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৮’ এর খসড়া তৈরি করে। ওই খসড়ায় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। তবে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি সর্বনিম্ন ঋণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা কমিয়ে ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদহারে একজন সরকারী কর্মচারী সর্বোচ্চ ঋণ পান এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী উপ-সচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্তরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদী এ ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয় করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারী চাকরিজীবীরা এ ঋণ নিতে পারবেন। সর্বোচ্চ ৫৬ বছর বয়স পর্যন্ত এ ঋণ নেয়া যাবে। সরকারী কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন তফসিলি ব্যাংকসমূহ এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সরকারী কর্মচারীদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে সরকার অন্য যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। নীতিমালা অনুযায়ী, জাতীয় বেতনকাঠামোর পঞ্চম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা, যাদের বেতন স্কেল ৪৩ হাজার বা এর বেশি, তারা প্রত্যেকে ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে গৃহনির্মাণে ঋণ পাবেন ৭৫ লাখ টাকা। জেলা সদরে এর পরিমাণ হবে ৬০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ লাখ টাকা। বেতনকাঠামোর নবম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত বা যাদের মূল বেতন ২২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা, তারা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদর এলাকার জন্য ৬৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৫৫ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। দশম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত যাদের মূল বেতন ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা, তারা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১৪তম থেকে ১৭তম গ্রেড বা নয় হাজার থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন স্কেলে ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৪০ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৩০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১৮তম থেকে ২০তম গ্রেড বা আট হাজার ২৫০ টাকা থেকে আট হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত মূল বেতন পান- এমন কর্মচারীরা ঢাকাসহ সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন ৩০ লাখ টাকা। জেলা সদরে এটি হবে ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য পাবেন ২০ লাখ টাকা। সরকারী কর্মচারীদের গৃহনির্মাণে ঋণের মাধ্যমে অর্থের জোগান দিতে এ নীতিমালা করা হলেও সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও কার্যালয়গুলোতে স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মচারীরাও এ সুবিধা পাবেন। সামরিক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, পৃথক বা বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মচারীরা এ নীতিমালার আওতাভুক্ত হবেন না। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে এ ধরনের গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ হিসেবে সরকারের প্রায় ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা পাবেন। তারা এককভাবে এ ঋণ নিতে পারবেন। আবাসিক বাড়ি করার জন্য গ্রুপভিত্তিক ঋণও নেয়া যাবে। ফ্ল্যাট কেনার জন্যও এ ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে ফ্ল্যাট হতে হবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অর্থাৎ রেডি ফ্ল্যাট। অবশ্য সরকারী সংস্থার নির্মাণ করা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রেডি ফ্ল্যাটের শর্ত শিথিল করা যাবে। তবে কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু এবং দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশীট দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যান্ত এ নীতিমালার আওতায় ঋণ গ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। পাশাপাশি সরকারী চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খ-কালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কোন কর্মচারী এ নীতিমালার আওতায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোন কর্মচারী ঋণ নেয়ার পর স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে বা বাধ্যতামূলক অবসর, বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত হলে আদেশ জারির তারিখ থেকে ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সুদ বাবদ সরকার কোন ভর্তুকি দেবে না। এ ক্ষেত্রে ঋণের অপরিশোধিত অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর পেনশন সুবিধা বা আনুতোষিক সুবিধা থেকে আদায় করা হবে। ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে তার পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা থেকে যতটুকু সম্ভব ঋণ পরিশোধ করা হবে। এরপরও ঋণ পাওনা থাকলে উত্তরাধিকারদের কাছ থেকে তা আদায় করা হবে। ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং নির্ধারণ সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেতন স্কেল অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে সিলিং সরকার নির্ধারণ করে দেবে, সেটিও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের যথাযথ পদ্ধতিতে যে পরিমাণ ঋণ সুবিধা নির্ধারণ করবে, তার মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ ঋণ পাবেন। ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ঋণ দেয়ার জন্য ডেট ইক্যুইটি রেশিও (অনুপাত) হবে ৯০:১০। অর্থাৎ ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য কেউ নিজস্ব উদ্যোগে ১০ টাকা খরচ করলে তিনি ৯০ টাকা ঋণ পাবেন। ঋণের সুদ সম্পর্কে নীতিমালার ৭ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকারী কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এটি হবে সরল সুদ এবং সুদের ওপর কোন সুদ আদায় করা হবে না। ঋণগ্রহীতা কর্মচারী ব্যাংক রেটের সমহারে (বর্তমানে যা ৫ শতাংশ) সুদ পরিশোধ করবেন। সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে।’ নীতিমালার ৪ ধারায় ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এ নীতিমালার আওতায় একজন সরকারী কর্মচারী দেশের যেকোন এলাকায় গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহণ করতে পারবেন। গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ভবনের নক্সা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হতে হবে। যে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা হবে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে হবে। ঋণদানকারী ব্যাংক বা বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ব্যাংকে আবেদনকারীর একটি হিসাব থাকবে। ওই হিসাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বেতন-ভাতা, পেনশন ও গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ বিতরণ ও আদায়ের পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রেডি ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের পুরো অর্থ এক কিস্তিতে ছাড় করবে ব্যাংক। গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে ঋণের টাকা চার কিস্তিতে ছাড় করা যাবে। নীতিমালা অনুযায়ী, গৃহনির্মাণ ঋণ দেয়ার আগে যে সম্পত্তিতে ঋণ দেয়া হবে, তা ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বরাবর রেজিস্টার্ড দলিল মূলে বন্ধক রাখতে হবে। বাস্তুভিটায় বাড়ি করার ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মালিকানাধীন অন্য কোন সম্পত্তি বন্ধক রাখা যাবে। এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে ২০ বছর। গৃহনির্মাণের প্রথম কিস্তি ঋণের অর্থ পাওয়ার এক বছর পর, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের অর্থ পাওয়ার ছয় মাস পর থেকে ঋণগ্রহীতা মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ শুরু করবেন। কোন কারণে মাসিক কিস্তি পরিশোধে দেরি হলে বিলম্বের জন্য আরোপযোগ্য সুদ শেষ কিস্তির সঙ্গে যুক্ত হবে। যে ব্যাংক ঋণ দেবে, সেই ব্যাংকে তার মাসিক বেতনের হিসাব খুলতে হবে। তার বেতন-ভাতা ওই হিসাবে জমা হবে। ব্যাংক সেখান থেকে প্রথমে মাসিক ভিত্তিতে কিস্তির টাকা কেটে নেবে। পরে ঋণগ্রহীতা বেতন-ভাতার বাকি অর্থ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন। ঋণগ্রহীতা অন্যত্র বদলি হলে তার হিসাবও সেখানে একই ব্যাংকের কোন শাখায় স্থানান্তর করে নেবেন।
×