ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবরোধে অচল বিমানবন্দর সড়ক, তীব্র যানজট, নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দাবি

বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৩১ জুলাই ২০১৮

বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বিমানবন্দরে সড়কে দুই গাড়ির রেষারেষিতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তারা ৯ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটম দিয়েছে। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবিও জানান। সোমবার সকাল থেকেই বিমানবন্দর সড়ক অবরোধসহ বিভিন্নস্থানে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে এসব এলাকা ছিল প্রকম্পিত। এছাড়া শেওড়া রেলগেটে রেললাইনের ওপর অবস্থান নেয়ায় দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল থেকেই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বেপরোয়া গতির বাসচাপায় দুই সহপাঠী নিহতের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই রাস্তার নামে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দর সড়কের দুই দিক অবরোধ করে রাখে। শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। তারা নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবি জানান। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক উম্মে কুলসুম শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে বাড়ি ফিরতে বলেন। তিনি তাদের আশ্বস্ত করে বলেন তাদের সব দাবি মেনে নেয়া হবে। কিন্তু তাতে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছাড়েনি। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরাতে শুরু করলে কিছু শিক্ষার্থী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এরপর বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে যানচলাচল শুরু হয়। এর আগে সকাল এগারোটা থেকে বিমানবন্দর সড়ক (হোটেল র‌্যাডিসনের সামনে) অবরোধ করে রাখে ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে বিক্ষোভে অংশ নিতে থাকে। দুপুর বারোটা নাগাদ বিএএফ শাহীন কলেজ, ভাষানটেক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও কলেজ, বাংলা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশ বন্ধ করে দেয়। সকাল থেকে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের সামনের রাস্তার অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীরা বলেন, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে আর মন্ত্রী এসব ঘটনার বিচার না করে হাসিঠাট্টা করছেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম আপন জানান, যার সন্তান মারা গেছে শুধু সেই বোঝে সন্তান হারানোর কষ্ট। আর সেই মৃত্যু নিয়ে একজন মন্ত্রী কীভাবে বিদ্রুপ করেন। এই মন্ত্রীর শেল্টারেই বাস চালকরা বেপরোয়া। আমরা ঘাতক বাস চালকদের ফাঁসিসহ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। এ কারণে বনানী থেকে উত্তরা, উত্তরা থেকে বনানী ও কালশী হয়ে উত্তরা যাওয়ার সব সড়ক অচল হয়ে পড়ে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসব রাস্তার উভয় প্রান্তে তৈরি হয় ভয়াবহ যানজট। অবরোধের কারণে হজযাত্রীরা আটকা পড়েছে জানিয়ে সড়ক ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল পুলিশ ও রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষকরা। পরে কয়েক হজযাত্রী বহনকারী গাড়ি ও মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্টের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আশপাশের কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও সড়ক অবরোধ কর্মসূচীতে অংশ নেয়ে। সন্ধ্যার পর মিরপুর বাংলা কলেজের আশপাশে ১৫ থেকে বিশটি জাবালে নূর পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে ভাংচুর চালয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শেওড়া রেলগেটে অবস্থান ॥ সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শেওড়া রেলগেটে রেললাইনের উপরে অবস্থান নেয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ রাখে রেল কর্তৃপক্ষ। ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে রেল কর্তৃপক্ষ ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের রেল চলাচল শুরু হয়। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবরোধ ॥ সকাল থেকে মিরপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ধানম-ি এলাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় একটি বাস বিক্ষোভকারীদের পাশ দিয়ে যেতে চাইলে সেটিতে ভাংচুর চালানো হয়। এতে বাসে থাকা ধানম-ি আইডিয়াল কলেজের ছাত্র শেখ ইমন (১৮) এবং পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একই কলেজের শিক্ষার্থী তুর্য (১৮) আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত ইমন জানান, তিনি কলেজ থেকে বাসায় যাওয়ার সময় ওই বাসে ওঠেন। বাসটি বিক্ষোভকারীদের পাশ দিয়ে যেতে চাইলে সেটিতে ভাংচুর চালানো হয়। এ সময় জালানার কাঁচ ভেঙ্গে তার হাতে ঢুকে যায়। অন্যদিকে আহত তুর্য জানান, তিনি পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাসটিতে ভাংচুর চালানো হলে কাঁচ ভেঙ্গে তার মাথায় ঢুকে যায়। পুলিশের ধানম-ি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষভের সময় একটি বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এক ঘণ্টা মিরপুর সড়ক অবরোধের ফলে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একই সময় রাজধানীর বাড্ডায় প্রগতি সরণি সড়কের শত শত শিক্ষার্থী সড়কপথে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মিম ও রাজিবের হত্যাকারী ঘাতক বাস চালকের শাস্তি দাবি করেন। ওদের জন্য কাঁদছে দেশ। কাঁদছে সড়কও। মিম ও রাজিবের জন্য কান্না আর ভালবাসা নিয়ে সড়ক, মা, আমি নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই, হে সড়ক, আর কত প্রায় ঝরাবে তুমি, স্টপ কিলিং! মাই মম ইজ ক্রাইং- বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে রাজধানীর গুলশান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, সড়কগুলো ক্রমশই লাশের ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। রক্তের দাগ শুকোতে না শুকোতেই আরেকটি রক্তের ফোঁটা এসে আরও লাল করে দিচ্ছে সড়কগুলো। এভাবে আর কত লাশ পড়বে? বাসা থেকে বের হলেই বাবা-মা চিন্তা করেন। নিজেও অস্থির থাকি বেপরোয়া গাড়ির কবলে পড়ে জীবনের বিনাশ ঘটবে না তো! ঘরে নিরাপদে ফিরতে পারবো তো! এ কান্না থামানো দরকার। একই কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এত কান্না! তবুও রাষ্ট্রের ঘুম ভাঙছে না। আর কত লাশ পড়লে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হবে? তিনি আরও বলেন, ঘাতক চালকদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলেই দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। আর যেন কোন শিক্ষার্থীর প্রাণ অকারণে না ঝরে যায়, তার জন্যই আমরা আজ ক্লাশ পরীক্ষা বন্ধ করে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি ॥ বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে, নৌপরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে, শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে, শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না। শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষক, র‌্যাব-পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তায় ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানালেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচীতে অনড় রয়েছেন। র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) আনোয়ার লতিফ খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, রবিবার দুর্ঘটনার পর থেকে আজ (সোমবার) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জড়িত তিন বাসের তিন ড্রাইভার ও দুই সহকারীকে আটক করা হয়েছে। আমি তোমাদের আশ্বস্ত করতে চাই দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তোমরা আন্দোলন প্রশমিত কর। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) আনোয়ার লতিফ খান বলেন, ঘাতকদের বিচারের বিষয়ে আশ্বস্ত করতে গেলে শিক্ষার্থীরা চিৎকার শুরু করেন। তারা একসঙ্গে বলে ওঠেন, নৌমন্ত্রীর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? তখন আবার অবস্থান অনঢ় রেখে নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা ও গ্রেফতার চার ॥ রবিবার রাতে নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্ত বাসচালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহান হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পর সোমবার ভোরে র‌্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর মিরপুর থেকে ওই দুই বাসচালক ও তাদের সহকারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। শাহজালালে ফ্লাইট সিডিউল বিঘিœত ॥ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কসহ নগরীর কয়েকটি সড়ক অবরোধের দরুন সোমবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কয়েকটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সিডিউল বিঘিœত হয়েছে। অবরোধের কারণে সড়ক, রেলপথ ছাড়াও প্রভাব পড়ে আকাশ পথে। অনেক যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন। দিনভর রাস্তায় থমকে ছিল যানবাহন। আটকা পড়ে ট্রেনও। এতে অনেকে ঠিক সময়ে এয়ারপোর্টে আসতে পারেননি আবার যাত্রীরা বিমানে বসে থাকলেও যানজটের কারণে আসতে পারেনি বিমানের দুই ক্রু। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি হজ ফ্লাইটসহ দুটি বিমান। বিমান সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-আবুধাবীগামী বিজি-০১২৭ ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা ছিল সোমবার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে। কিন্তু যানজটের কারণে এই ফ্লাইটের একজন ক্রু যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে না পারায় ছেড়ে যেতে পারেনি বিমানটি। এই ফ্লাইটের পরবর্তী সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয় ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এ দিকে ৫০৫৩ নম্বর হজ ফ্লাইটটিও ছেড়ে যেতে পারেনি ক্রুর অভাবে। এটি ছাড়ার কথা ছিল দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় সেই বিমানের ক্রুও।
×