ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নবদম্পতির আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৩০ জুলাই ২০১৮

 নীলফামারীতে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নবদম্পতির আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ইঁদুর মারা বিষের বড়ি খেয়ে জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী পুরনো কাছারী গ্রামে নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার সকালে তাদের নিজ বাড়ি হতে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল সোয়া ১০টার দিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী আদুরী বেগমের (১৮) ও বেলা সোয়া ১২টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বামী আজিনুর রহমানের (২২) মৃত্যু হয়। গ্রামের প্রতিবেশী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, দশ মাস আগে পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী কাছারীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক আজিনুর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে আদুরী বেগমের বিয়ে হয়। আজিনুর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কাজে যাওয়ার সময় স্ত্রী আদুরীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যেতেন। ১৫ দিন আগে স্বামী ঢাকা থেকে ফিরে স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তিন দিন আগে আবারও স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় এবং সেখান থেকে স্ত্রীর নানির বাড়িতে বেড়িয়ে শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীসহ নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। রবিবার সকালে নিজ শোয়ার ঘরে সকাল নয়টার দিকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ইঁদুর মারার বিষের বড়ি খেয়ে অসুস্থ হলে তাদের উদ্ধার করে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্ত্রী আদুরী বেগম মারা যায়। স্বামী আজিনুর রহমানকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে বেলা সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। আদুরীর চাচা বাবু হোসেন (৩৫) বলেন,‘আদুরীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর (আদুরী-আজিনুর) মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব, কলহ ছিল না। তবে লোকমুখে শুনেছি শনিবার আদুরীর নানির বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পর দুইজনকেই গালমন্দ করেছেন আজিনুরের বাবা-মা।’ এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আজিনুরের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় রয়েছে তাও কেউ জানাতে পারেনি। তবে প্রতিবেশী রাজু ইসলাম (২৪) বলেন, ‘আজিনুর ঢাকায় রাজমিস্ত্রি কাজ করত। এ সময়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকত। তাদের পরিবারের মধ্যে কখনও কোন ঝগড়া বিবাদ দেখিনি। এভাবে একসঙ্গে আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদেরকে হতবাক করে দিয়েছে। ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবিবর রহমান বলেন দশ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। নববিবাহিত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অনেক মিল ছিল। কি কারণে তারা দুইজনে একসঙ্গে ইঁদুর মারার বিষের বড়ি খেয়েছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।
×