ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে

মোশারফের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাই ইমরানের জন্য চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৩০ জুলাই ২০১৮

  মোশারফের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাই  ইমরানের জন্য চ্যালেঞ্জ

পাকিস্তানের সাবেক সেনা শাসক পারভেজ মোশারফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে শুরু হতে পারে। মামলাটি ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) নতুন সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। ২০১৩ সালের নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন ক্ষমতায় আসার পর মোশারফের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়েছিল। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ২০০৭ সালের ৩ নবেম্বর জরুরী আইন জারির বিষয়ে ভূমিকা রাখার জন্য মোশারফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। লাহোর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইওয়ার আলী ৩১ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ইসলামাবাদ সফর করবেন। তার নেতৃত্বে তিনজন বিচারকের সমম্বয়ে গঠিত বিশেষ ট্রাইবুনালে মোশারফের মামলার শুনানি হতে পারে। বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। প্রসিকিউশনকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানান হয়নি। মামলার শুনানি চলতি মাসেই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু লাহোর হাইকোর্টের বিচারক বিদেশ সফরে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। মোশারফের আইনজীবীরা অবশ্য বলেছেন মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে হবে বলে তাদের অবহিত করা হয়েছে। ইমরানের নতুন সরকার মোশারফের মামলাটি তাদের মতো পরিচালনা করবে নাকি পূর্বসূরি নওয়াজের সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া আকরাম শেখকে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেবে সেটি এখন দেখার বিষয়। সূত্র জানায়, শেখ পিএমএল-এনের বিশেষ ঘনিষ্ঠ এবং তিনি এই মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে চান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোশারফের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ইমরানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পূর্বসূরী নওয়াজের সময় সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করার মাধ্যমে পাকিস্তানে সুশীল-সামরিক সম্পর্কে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় তার জের এখন তেহরিক ই ইনসাফকেও টানতে হবে। ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির পর ইমরান মোশারফের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু এরপর তিনি বা তার দল এ বিষয়ে দীর্ঘদিন নীরব ছিল। মোশারফের অনেক ঘনিষ্ঠ লোকজন পিটিআইতে যোগ দিয়েছেন। মোশারফের ঘনিষ্ঠ ড. আমজাদ সদ্য অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরানের অনুকূলে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া উচ্চ আদালত সাবেক সেনা শাসকের বিরুদ্ধে মামলা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারবে কি না তা নিয়েও অনেক পর্যবেক্ষক সন্দিহান। আদালতের নির্দেশে নওয়াজ গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হলেও পিএমএল-এন অভিযোগ করে এসেছে সেনাবাহিনী পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে। চলতি বছর ৭ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার ইরয়ার আলীর নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ নতুন করে পুনর্গঠনের কথা বলেন। কিন্তু পিএমএল-এনের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে কোন নোটিস ইস্যু করেনি। মোশারফ ২০১৬ সাল থেকে দুবাইতে আছেন। সম্প্রতি সুপ্রীমকোর্ট তার বিরুদ্ধে সমন জারি করলেও তিনি হাজির হননি।
×