ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আরডিসির জরিপ

তিন সিটিতেই জনমত জরিপে আওয়ামী লীগ এগিয়ে

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৩০ জুলাই ২০১৮

তিন সিটিতেই জনমত জরিপে আওয়ামী লীগ এগিয়ে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগের দিন এক গবেষণা সংস্থার জরিপ ফলাফল তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের বড় বিজয় এবং একটিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাচ্ছেন তিনি। রবিবার নিজের ফেসবুক পেইজে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (আরডিসি) করা ওই জরিপের ফলাফল তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের জন্য কোন বিষয় নয়। জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ সোমবার অনুষ্ঠেয় রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বেশিরভাগ জনমত আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকধারী প্রার্থীর পক্ষে। রাজশাহীতে শতকরা ৫৮ শতাংশ ভোটার নৌকার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন, অন্যদিকে বরিশালে ৪৪ শতাংশ এবং সিলেটে ৩৩ শতাংশ মানুষ সায় দিয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রার্থীর পক্ষে। জুলাইজুড়ে এই জনমত জরিপের আয়োজন করে সজীব ওয়াজেদের টিম। সজীব ওয়াজেদের ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এবিএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে রয়েছেন ৫৮ শতাংশ ভোটার। এখানে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে সায় দিয়েছেন ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার। আর অন্য প্রার্থীদের পক্ষে বলেছেন ০ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার। এছাড়া রাজশাহীতে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেননি। জরিপে উত্তর দেননি ৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার। নিবন্ধিত ১ হাজার ২৯৪ ভোটারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। বরিশালে মেয়র পদে নৌকার প্রতীকধারী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোটার। এই পদে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবুর রহমান সারোয়ারের পক্ষে বলেছেন ১৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। অন্য প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। আর উত্তর দেননি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার। এখানে জরিপটি চালানো হয় ১ হাজার ২৪১ নিবন্ধিত ভোটারের ওপর। সিলেটে ১ হাজার ১৯৬ জন নিবন্ধিত ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৩৩ শতাংশ ভোটারের। ২৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে। অন্য প্রার্থীদের পক্ষে রয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। আর উত্তর দেননি ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার। গবেষণা পদ্ধতি ও জরিপের কৌশলগত নানা দিক তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘তিন সিটির ভোটার তালিকা ধরেই এ জরিপ হয়েছে। আদমশুমারিতে জনসংখ্যার লিঙ্গভিত্তিক যে ধরন আছে, তার ওপর ভিত্তি করেই জরিপটি চালানো হয়েছে। জরিপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে থেকে এবং অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট সিটিরই ভোটার।’ আরডিসির গবেষণা পদ্ধতি ও ফল সাধারণত নির্ভুল হয়ে থাকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা তার পেজে লিখেছেন, ‘যে জরিপের ফল তুলে ধরলাম, তাতে কিছুটা হেরফের হতে পারে। তবে আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপুল বিজয় হবে। সিলেটে আমরা সামান্য এগিয়ে, তবে সেখানে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘হেন অভিযোগ নেই যা বিএনপি করেনি। তবে বাস্তবতা হলো তারা সর্বত্র জনসমর্থন হারিয়েছে। আর গত কয়েক বছরে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে আওয়ামী লীগের। এখন কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপি কোন বিষয় নয়।’ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতি আবেদন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্র আরও লিখেছেন, ‘নির্বাচনী কেন্দ্র দখল এবং জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ভরানোর চেষ্টার বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। কারণ বিএনপি এসব কর্মকান্ড নিজেরা করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। গাজীপুরের নির্বাচনের সময় বিএনপি নেতাদের ফোনালাপের কথা আমরা জানি। তাদের যে জেতার কোন অবস্থা নেই, সেটা তাদের প্রার্থীরা প্রচারের সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন। আর তাই তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করে আওয়ামী লীগকে বিপাকে ফেলতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
×