ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই কৃষি প্রযুক্তিতে উন্নয়ন করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৩০ জুলাই ২০১৮

  ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই কৃষি প্রযুক্তিতে উন্নয়ন করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানসম্মত ধারণার আলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনা করে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের পানি, মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনা, শস্য নিবিড়করণ এবং যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। কৃষির যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই কৃষি প্রযুক্তিতে উন্নয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে ‘বংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডাল, তৈলবীজ, ভুট্টা এবং অন্যান্য ফসলের আবাদ বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এবং অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, এসিআইএআর ও কেজিএফের যৌথ গবেষণা কার্যক্রমে দেশের টেকসই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে। এছাড়া খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাকে অধিকতর সুসংহত করতে গবেষণার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, খরা এবং লবণ সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে আরও গুরুত্ব দেয়া দরকার। কর্মশালা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ঘটিয়ে কৃষির উৎপাদনশীলতায় ইতিবাচক টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার মিস জুলিয়া নিবলেট এসিআইএআরের কর্মকৌশল ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, এসিআইএআর ১৯৯০ সাল থেকে কৃষি উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। ২০১৫ সাল থেকে সফলভাবে দক্ষিণাঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শস্য নিবিড়করণ, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণশীল কৃষি এবং লবণাক্ত সহিষ্ণু ডাল, ভুট্টা ও গমের জাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কৃষি গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে তিনটি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। কর্মশালায় কেজিএফ, বিএআরসি, জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমে কর্মরত বিজ্ঞানী, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও বিনামূল্যে বই পাবে ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর থেকে জানান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা স্ব-স্ব ইচ্ছে-পছন্দ অনুসারে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রেও সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এজন্য সরকার কাওমি শিক্ষাকে সরকারী স্বীকৃতিদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে কাওমি শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষা বোর্ড গঠন, কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়নের কাজ কাওমি শিক্ষকদের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যাতে দেশের সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কাওমি শিক্ষা ব্যবস্থাও সরকারী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। তিনি রবিবার বিকেলে তার নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নকলা উপজেলার বিবিরচর রহমানীয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ী মাদরাসা ও কাওমি মাদরাসার সেরা ২০ জন করে শিক্ষার্থীর মাঝে সৌরবাতি বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন।
×