ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে সোয়া তিন কোটি টাকার সোনা জব্দ, আটক ৩

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৩০ জুলাই ২০১৮

 শাহজালালে সোয়া তিন কোটি টাকার সোনা জব্দ, আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ছয় কেজির বেশি সোনা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মচারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা কাস্টমস হাউসের প্রিভেনটিভ টিম এ অভিযান চালায়। উপকমিশনার ও প্রিভেনটিভ টিমের প্রধান অথেলো চৌধুরী জানান, যাত্রী দুজনের ব্যাগে সিগারেটের প্যাকেটে হলুদ স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় সোনার ৫৭ বার পাওয়া যায়। প্রতিটি বারের ওজন ছিল ১০ তোলা করে। মোট ৬ কেজি ৬৩০ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। বাজারে এর আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গ্রেফতার তিনজন হলো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ক্লিনিং শিফট ইনচার্জ জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী এবং দুই যাত্রী একরামুল হক ও জাহিদুল হক সালমান ভূঁইয়া। অথেলো চৌধুরী জানান, একরামুল ও জাহিদুল নামে দুই যাত্রী এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে রবিবার সকালে দুবাই থেকে ঢাকা আসেন। তারা বিমানবন্দর ভবনের তৃতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এয়ার লাউঞ্জের পাশে একটি মসজিদে ঢোকেন। পরে সেখানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মী জামাল যান। তাদের মধ্যে সোনা লেনদেনের কথা ছিল। গোপন খবর পেয়ে সেখানে প্রিভেনটিভ টিমের সদস্যরা হাজির হয়। পরে যাত্রী দুজনের ব্যাগ তল্লাশি করে সোনা পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওরা তিনজন শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় তলায় লাউঞ্জ এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ‘এয়ার লাউঞ্জের’ পাশে মসজিদের মধ্যে সিভিল এভিয়েশন কর্মচারী জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী এবং দুই যাত্রী মোহাম্মদ একরামুল হক ও জাহিদুল হক সালমান ভূঁইয়াকে সোনার বার হস্তান্তরের সময় আটক করে। ওই দুই যাত্রী দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে ঢাকায় এসে স্বর্ণসহ মসজিদে ঢোকেন এবং স্বর্ণ হস্তান্তরের জন্য নামাজের ভঙ্গিমায় অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় সিভিল এভিয়েশন কর্মচারী জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী মসজিদে সোনা গ্রহণের জন্য প্রবেশ করেন। তখন তাদের ৩ জনকে কাস্টমস হলে নিয়ে আসা হয় এবং বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত সিগারেটের প্যাকেটের মধ্যে হলুদ স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় ১০ তোলা ওজনের ৫৭ স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়, যার মোট ওজন ৬ কেজি ৬৩০ গ্রাম। সিভিল এভিয়েশন কর্মচারী মোঃ জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী ‘ক্লিনিং শিফট ইনচার্জ’ হিসেবে বিমানবন্দরে কর্মরত। নিয়মানুযায়ী কর্মরত থাকা অবস্থায় একজন কর্মচারীর কাছে একটি ডি-পাস থাকার কথা থাকলেও তার কাছে দুটি ডি-পাস পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শুল্ক আইন, ১৯৬৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়।
×