অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সঠিকভাবে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ না করায় প্রতিবছরই নষ্ট হয় বিপুল পরিমাণ চামড়া। তাই কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী এবং বিশ্লেষকদের পরামর্শ এ ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সতর্ক থাকতে হবে মৌসুমি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলের। তারা বলছেন, পরিষ্কার ও শুষ্ক স্থানে পশু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর পর লবণ দিতে হবে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই। আর মান ঠিক রাখতে যেখানে সেখানে না রেখে চামড়া ঝুলিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও বৃষ্টি ও তীব্র রোদের তাপ থেকে পণ্যটি দূরে রাখার পরামর্শ তাদের। তৈরি পোশাকের পর দেশের রফতানি আয়ের অন্যতম উৎসগুলোর একটি চামড়া। আর দেশে মোট চামড়ার প্রায় ৬০ শতাংশই আহরণ হয় ঈদ-উল-আজহা বা কোরবানির সময়। তবে প্রতিবছর পণ্যটি নষ্টও হয়ে থাকে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ। এবছর একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি। এমন সময়ে সঠিকভাবে আহরণ ও সংরক্ষণ না করলে বিপুল পরিমাণ চামড়া ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। আর সে কারণে কোরবানি সামনে রেখে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের প্রতি পাইকারি কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের পরামর্শ চামড়া সংগ্রহের পর দ্রুত লবণ মাখানোর। এই বিশ্লেষকের অভিমত চামড়ার ক্ষতি ও নষ্টের পরিমাণ কমাতে পরিষ্কার পরিবেশে সতর্কতার সঙ্গে এটি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করতে হবে। মান ঠিক রাখতে চামড়া ঝুলিয়ে রাখার পরামর্শও দেন তিনি। এদিকে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন এ বছর দেশে কেমিক্যালের দাম বেশি হলেও বিশ্ববাজারে চামড়ার দাম কমেছে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন ক্রেতা তৈরির মাধ্যমে পণ্যটির দাম সমন্বয়ের জন্য ট্যানারি মালিকদেরকে প্রতি আহ্বান জানান তারা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: