ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ বিশ্ব বাঘ দিবস

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২৯ জুলাই ২০১৮

আজ বিশ্ব বাঘ দিবস

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ‘বাঘ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে। আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা প্রকল্পের কাজ গত ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল।’ বাঘ প্রকল্পের গবেষণা কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মোজাহিদ এ কথা জানিয়েছেন। তবে এ প্রকল্পের ফল বা বাঘের সংখ্যা সরকার প্রকাশ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আজ ২৯ জুলাই ‘বিশ্ব বাঘ দিবস’। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। বাঘ শুমারির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাঘ প্রকল্পের আওতায় ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘের সংখ্যা গণনা শুরু হয়। মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক এ কাজ মে মাসে শেষ হয়। তবে এখনও শুমারির ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। ফলে বাঘের সংখ্যা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন তথ্য এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে সংশিষ্ট কাজে জড়িতরা মনে করছেন বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মদিনুল আহসান বলেন, ‘বাঘ শুমারির মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরি করতে সময় লাগছে। বাঘ সংরক্ষণে মনিটরিং, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’ বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালের গবেষণায় সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৪৪০টি। ২০১৫ সালে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা করা হয়। এতে ১০৬টি বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ২০১৬ সালে আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাঘ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যামেরার সাহায্যে গণনার কাজ হাতে নেয়া হয়। খুলনা বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃত সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রকল্পকে জনবল ও ৭০টি ডিজিটাল ক্যামেরা সরবরাহ করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়। মে মাসে মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়। সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্য এলাকায় গাছে গাছে ক্যামেরা বেঁধে বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা বশিরুল-আল-মামুন বলেন, ‘বাঘ শুমারি একটা কঠিন কাজ। আধুনিক পদ্ধতিতে গণনা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’ বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে বাঘ প্রকল্পের গবেষণা কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মোজাহিদ বলেন, ‘বাঘ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে।’ খুলনা সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাঘ গণনার প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আগের চেয়ে এখন আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গণনা কাজ চলছে।’ উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডের হুয়ানে অনুষ্ঠিত হয় টাইগার রেঞ্জ দেশ সমূহের ‘এশিয়া মিনিস্ট্রয়াল কনফারেন্স’। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হয় প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হবে। সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণে ৯ দফা পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা। অষ্টম বারের মতো ‘বিশ্ব বাঘ দিবস’ উপলক্ষে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে বলে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান।
×