ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পায়ুপথে দুই হাজার ৪শ’ ইয়াবা ॥ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২৯ জুলাই ২০১৮

পায়ুপথে দুই হাজার ৪শ’ ইয়াবা ॥ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ অভিনব পন্থায় পেটের ভেতরে ২ হাজার ৪শ’ পিস ইয়াবা বহন করে নিয়ে আনায় আবু মোসলেম উদ্দিন ওরফে মোসলেম মাস্টার (৪৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করেছে র‌্যাব-১১ সদস্যরা। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে বের করা হয় স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট ভর্তি ২ হাজার ৪শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। মোসলেম উদ্দিন কক্সবাজার জেলার মহেশপুর থানার শাহ্পুরী দ্বীপ এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। গত প্রায় এক বছর ধরে তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন বলে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত সিও) মেজর আশিক বিল্লাহ জানান, গত দুই মাস আগে এক ইয়াবা বিক্রেতাকে গ্রেফতারের পর আবু মোসলেম উদ্দিন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ পায়। তিনি এক সঙ্গে আড়াই থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবা নিজের পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে কক্সবাজার থেকে অভ্যন্তরীণ বিমানে এসে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন। প্রতি চালানে মূল ডিলারদের কাছ থেকে তিনি বিশ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। গত এক বছরে বিশ থেকে পঁচিশবার এভাবে ইয়াবা ট্যাবলেট নারায়ণগঞ্জে এনে সরবরাহ করেছেন। প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার তিনি এভাবে ইয়াবা সরবরাহ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে পেটে ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার থেকে অভ্যন্তরীণ বিমানে করে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকেই র‌্যাব তাকে অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় নামলে র‌্যাব তাকে আটক করে স্থানীয় একটি বেসরকারী মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করায়। সেখানে ডিজিটাল এক্স-রে রিপোর্টে তার পেটে ইয়াবা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করলে আবু মোসলেম উদ্দিন ইয়াবা বহনের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তিনি নিজেই পায়ুপথ দিয়ে ইয়াবার প্যাকেট বের করেন।
×