ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা

পশ্চিম তীরে নতুন চার শ’ বসতি নির্মাণ করা হবে

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২৯ জুলাই ২০১৮

পশ্চিম তীরে নতুন চার শ’ বসতি নির্মাণ করা হবে

ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক বসতিতে কয়েকশ’ বসতি নির্মাণ করবে। এক ফিলিস্তিনী ৩ ইসরাইলীকে ছুরিকাঘাত করেছে। এ স্থানেই এবং তাদের মধ্যে ১জন মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর মারা গেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবিগদোর লিবারম্যান শুক্রবার এ কথা বলেছেন। খবর এএফপির। হামাস-শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা ভূখ-ের দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক ঘটনায় ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে ১ শিশুসহ ২ ফিলিস্তিনী নিহত হওয়ার পর নতুন করে বাড়ি নির্মাণের এ ঘোষণা দেয়া হলো। শিশুটি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা এ সংঘাতে এটাই সাম্প্রতিক নিহত হওয়ার ঘটনা। লিবারম্যান এক টুইটারে লিখেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বোৎকৃষ্ট জবাব হচ্ছে ইসরাইলী বসতির সম্প্রসারণ। মারাত্মক ছুরিকাঘাত ঘটনার একদিন পর তিনি জেরুজালেমের উত্তরে এডাম বসতিতে ৪শ’ নতুন গৃহায়ন ইউনিট নির্মাণের এ ঘোষণা দেন। ইসরাইলী বসতি সম্প্রসারণ ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি, ব্যাপকভাবে পোষণ করা এ ধারণা বাতিল করে দিচ্ছে ইসরাইল। অথচ পশ্চিম তীরে ইসরাইলীদের ওপর হামলাকে বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে ‘পুশিং ব্যাক’ হিসেবে সমর্থন করছে অনেক ফিলিস্তিনী। ইসরাইলী মিডিয়া বলেছে, ইসরাইলী তরুণদের হত্যাকারী বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বেড়ায় উঠে এডামে গা ঢাকা দেয়। সেনাবাহিনী বলেছে, সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার আগে দৃশ্যত ৩ ইসরাইলীকে এলোপাথাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে। তারা বলেছেন, নিহত ইসরাইলীর নাম ইয়োতাম ওবাদিয়া (৩১)। তার দুটি সন্তান রয়েছে। ফিলিস্তিনী মিডিয়া বলেছে, হামলাকারীর নাম মোহাম্মদ দার ইউসেফ (১৭), সে কোবার গ্রামের বাসিন্দা। সেনাবাহিনী শুক্রবার গ্রামটিতে অভিযান চালিয়েছে। তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং তাদের ওয়ার্ক পারমিট স্থগিত করেছে। শুক্রবার ভোরে অভিযানের সময় ফিলিস্তিনী যুবক ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত হয়েছে। সৈন্যরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীরা ইসরাইলী সৈন্যদের লক্ষ্য করে বড় ধরনের পাথর ও আগুনে বোমা নিক্ষেপ করে এবং তাদের দিকে জ্বলন্ত টায়ার গড়িয়ে দেয়। সৈন্যরা দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার ব্যবস্থা নেয়। ফিলিস্তিনী সংবাদ সংস্থা বলেছে, ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এডাম ও অন্য বসতিগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত জ্যাসোন গ্রিনব্ল্যাট হামলার নিন্দা প্রকাশের জন্য ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ মুভমেন্ট পশ্চিম তীরে সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে। গ্রিনব্ল্যাট টুইটারে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট আব্বাস ও ফিলিস্তিনী নেতারা এ সহিংসতার কখন নিন্দা জানাবেন? কিন্তু আব্বাস সরকারের পক্ষ থেকে কোন সাড়া নেই। ইসরাইলের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানের বিষয়ে আব্বাস সরকার সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ দূত নিকোলে ম্লাদেনোভ তার টুইটার এ্যাকাউন্টে লিখেছেন, সন্ত্রাসের নিন্দা করতে হবে সবার। এ ধরনের বীভৎস কর্ম শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যই কেবল চরিতার্থ করবে।
×