ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এলজিইডির কাজের অনিয়মের ভিডিও ফেসবুকে দেয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে মারধর

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৯ জুলাই ২০১৮

এলজিইডির কাজের অনিয়মের ভিডিও ফেসবুকে দেয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে মারধর

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরে এলজিইডির রাস্তার কাজের অনিয়মের ছবি ফেসবুকে দেয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সালিশ মীমাংসায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ ইসমাইলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে মারধরের শিকার স্ত্রী বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। স্থানীয়রা জানান, বাঘড়া ইউনিয়নের রৌদ্রপাড়া রাস্তার এলজিইডির প্রায় ৩২ লাখ টাকার সংস্কার কাজ নেয় যুবলীগ নেতা আলী আকবর শিকদারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজ। সম্প্রতি স্থানীয়দের বাধা তোয়াক্কা না করে ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে রাস্তাটির কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি বিল তুলে নেয়। স্থানীয় যুবক ইমরান (৩০) কাজের অনিয়মের ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল ভিডিও আপলোড করার কারণে ইমরানকে মারধর করে। এসময় ইমরানের স্ত্রী সুমেনা বেগম (২৩) স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে ইসমাইল মেম্বার তাকেও মারধর করে। এ ঘটনায় সুমেনা বেগম বাদী হয়ে গত ২২ জুলাই শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের অনিয়ম ঢাকতে রাতের আধারে রাস্তার ওপর পিচ গলিয়ে দেয়। পরে আরেকজন এই ভিডিওটিও ফেসবুকে আপলোড করে। বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে সালিশ মীমাংসায় ইউপি সদস্যকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জরিমানার টাকা ওই দম্পতি নেননি। তবে উভয় পক্ষ ও গণ্যমান্য বক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তা সমাধান করা হয়েছে। শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আঃ মান্নান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। কাজের অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। খোঁজ না নিয়ে বিল দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার আলী আকবর শিকদারের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইল নম্বরে কল দেয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
×