ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চারগুণ বেড়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৯ জুলাই ২০১৮

চারগুণ বেড়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের চেয়ে বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর উৎপাদিত হচ্ছে ৩ কোটি ৯০ লাখ টনেরও বেশি খাদ্যশস্য। বার্ষিক ৪ থেকে ৪.৫ শতাংশ হারে কৃষি প্রবৃদ্ধি হলে এ খাত থেকে রফতানি করে আয় করাও সম্ভব। এছাড়া কৃষি খাতে কর্মীপ্রতি জিডিপি ১ শতাংশ বৃদ্ধি করা গেলে দারিদ্র্য কমবে ০.৩৯ শতাংশ। এসব কিছু আরও টেকসই করতে প্রয়োজন কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও তা ধরে রাখার ক্ষেত্রে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কোন বিকল্প নেই। শনিবার কৃষিবিদ মিলনায়তনে মেটাল গ্রুপ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ : বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ ও আর্থিক সেবা খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান। সেমিনারে বাংলাদেশের কৃষি খাতের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি। আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে প্রান্তিক ও দরিদ্র কৃষকদের যন্ত্রক্রয়ে ভর্তুকি প্রদান করছে। বেসরকারী খাতকে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদানের জন্য কৃষিযন্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ শুল্ক সুবিধা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচীতে কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে ঋণ প্রদানকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্যাংকিং খাতের কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার প্রসঙ্গে ড. আতিউর রহমান তিনটি প্রস্তাব প্রদান করেন। তিনি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করতে ব্যাংক রেট ৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ নিয়ে আসতে বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচীতে মোট সরবরাহকৃত ঋণের অন্তত ১০ শতাংশ মৎস্য চাষে দেয়ার নির্দেশনা আসে। এমনটি কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রেও তিনি করতে বলেন। সর্বশেষ মসলা চাষী ও গাভী খামারিদের জন্য যেমন স্বল্পসুদে ঋণ দেয়া হয়েছিল তেমনটি কৃষির যান্ত্রিকীকরণেও করার প্রস্তাব দেন সাবেক এই গবর্নর। সেমিনারে মেটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাদিদ জামিল বলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতকে যান্ত্রিকীকরণের জন্য মেটাল ১৯৯৩ সাল থেকে কাজ করে আসছে। মেটাল সর্বপ্রথম কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য নিজ উদ্যোগে কৃষকদের ঋণ সুবিধা প্রদান করে। দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানও যদি কৃষকদের ঋণ সুবিধা প্রদানে এগিয়ে আসে তাহলে বাংলাদেশে কৃষির আধুনিকায়ন দ্রুত হবে। এর ফলে দেশের দারিদ্র্য কমে আসবে এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আব্দুস সাত্তার ম-লসহ বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত, বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ দেশী ও বিদেশী সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে কর্মরত কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা, মেটালের গ্রুপ সিইও এএমএম ফরহাদসহ অন্যরা।
×