ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াতী ও পাকি চক্রান্তে অপরাজনীতির কবলে তাবলিগ জামাত!

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৮ জুলাই ২০১৮

 জামায়াতী ও পাকি চক্রান্তে অপরাজনীতির কবলে তাবলিগ জামাত!

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ জামায়াত মদদপুষ্ট কয়েক হেফাজত নেতার অপরাজনীতির কবলে পড়েছে অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন তাবলিগ জামাত। যাকে ‘তাবলিগে অশনিসঙ্কেত ও বিশ্ব এজতেমা এ দেশ থেকে সরানোর পাকিস্তানী চক্রান্ত’ অভিহিত করে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দেশের শান্তিপ্রিয় মুসল্লিরা। তারা বলছেন, অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন তাবলিগ জামাতে সরকারবিরোধী অপরাজনীতিকরণ চলছে। যার নেপথ্যে কাজ করছেন তাবলিগের সা’দবিরোধী অংশ ও কয়েক হেফাজত নেতা; যেসব নেতা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের মূলকেন্দ্র দিল্লী নিজামুদ্দিন মার্কাজকে উপেক্ষা করে তাবলিগের নেতৃত্বে পাকিস্তানকে সহায়তা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশে তাবলিগ নিয়ে রাজনীতি করা চক্রটি। তাদের কারও লক্ষ্য আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন, কারও উদ্দেশ্য পাকিস্তানকে সহায়তা করা, কারও উদ্দেশ্য রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করা। চক্রটি চাচ্ছে তাবলিগ জামাতের মূলকেন্দ্র দিল্লী নিজামুদ্দিন মার্কাজকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র পাকিস্তানে সরিয়ে নিতে। একটি সঙ্কট তৈরি করে বিশ্ব এজতেমাকেও পাকিস্তানে সরিয়ে নেয়া তাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তাবলিগে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে সেই সঙ্কট নিরসনের নামেই আজ শনিবার মোহাম্মদপুর ঈদগাহ ময়দানে সমাবেশ করবে হেফাজত ও নিজামুদ্দিন মার্কাজ বিরোধী নেতারা। পোস্টারিংসহ জোরেশোরে চলছে সমাবেশের প্রস্তুতি। ‘চলো চলো ঢাকা চলো, ওয়াজাহাতি জোড় সফল করো’ স্লোগানসংবলিত প্রচার চালানো হচ্ছে সারা দেশে। এ সমাবেশে হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফীকেও উপস্থিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাবলিগের নিয়মবহির্ভূত এমন সমাবেশ ঘিরে মাঠপর্যায়ে তাবলিগ সাথীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাকরাইল থেকে এ বিষয়ে কোন চিঠি দেয়া না হলেও ফোনে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে কাকরাইলেরই একজন মুরব্বির নামে। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির দিল্লীর মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দীন মার্কাজের বিরোধিতা করছে পাকিস্তানের তাবলিগ নেতারা। তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দীন মার্কাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শূরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশীদারিত্বের বিবাদে দিল্লী-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে বলে বলছেন মুসল্লিরা। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১১ শূরা সদস্যের মধ্যে ৬ জন নিজামুদ্দিনের পক্ষে থাকলেও বাকি ৫ জন আলমি শূরার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আলোচিত ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও ২০ দলীয় জোটভুক্ত কয়েক রাজনীতিবিদও যুক্ত হয়ে পড়েছেন ওই ৫ আলমি শূরার সদস্যের পক্ষে। তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এ রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতার পরই তাবলিগের কার্যক্রম রাজপথে গড়ানো শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মুসল্লিরা; যারা তাবলিগ নিয়ে যে কোন রাজনীতির বিপক্ষে।
×