ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্পিত সম্পত্তি আইন দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি ঐক্য পরিষদের

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৮ জুলাই ২০১৮

 অর্পিত সম্পত্তি আইন দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি ঐক্য পরিষদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণের আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ধীর গতি অব্যাহত থাকলে ভুক্তভোগী আবেদনকারীদের সুরাহা পেতে আরও অর্ধশত বছর অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে সম্পত্তি নিয়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের একতরফা অবর্ণনীয় অত্যাচার, হয়রানি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সুযোগে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি বেদখল করার অনেক ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব অভিযোগ করেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রানা দাশ গুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য বাসুদেব ধর, যুগ্ম সম্পাদক হেমন্ত আই কোড়াইয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কেন্দ্রীয় ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেন ম-ল, সাংবাদিক নিখিল মানখিন প্রমুখ। রানা দাশ গুপ্ত বলেন, সরকারী হিসাব অনুযায়ী, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বিধান অনুসারে, ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তি প্রত্যর্পণের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার। এর মধ্যে গত ৫ বছরে নিষ্পত্তি হয়েছে আনুমানিক ১০ হাজার। ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, গত বছরের ২৩ নবেম্বর হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আমলে ধর্মীয় বৈষম্যমূলক শত্রু সম্পত্তি আইন করা হয়। ১৯৭৪ সালে এসে নাম পরিবর্তন করে অর্পিত সম্পত্তি আইন নামে এটি চালু রাখা হয়। এই আইন চলমান থাকায় দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের একতরফা অবর্ণনীয় অত্যাচার, হয়রানি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পরও জেলা প্রশাসকেরা হাইকোর্টে রিট করার কথা বলে বছরের পর বছর ডিক্রি জারি বাস্তবায়ন করেননি। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক পরিপত্র জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আপীল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আর কোন প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই হাইকোর্ট বিভাগে রিট করতে সলিসিটার অনুবিভাগে কোন প্রস্তাব না পাঠাতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। তবে এই পরিপত্র জারির ২২ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এক চিঠি পাঠানো হয়।
×