ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজীবন খাওয়া ফ্রি

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৮ জুলাই ২০১৮

আজীবন খাওয়া ফ্রি

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফুড চেন চিক-ফিল ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছে, শুধু খাবারই সরবরাহ তৈরি করি না আমরা, সন্তানদের ডেলিভারিও করি। কিন্তু রেস্তরাঁর ফেসবুক পেজে এ কী ধরনের স্ট্যাটাস, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না অনেকেই। রেস্তরাঁ থেকে কিভাবে শিশু ডেলিভারি করা সম্ভব! জানা গেছে, সেই রেস্তরাঁর ওয়াশ রুমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নারী। সম্প্রতি চিক-ফিলের স্যান অন্টোনিওর একটি দোকানের কর্মীরা দোকান বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন; তারা শুনতে পান, খুব জোরে জোরে বাথরুমের দরজায় আঘাত করছেন কেউ। তখনও তারা ভাবতেই পারেননি তাদেরই বাথরুমে জন্ম নেবে এক শিশু। চিক-ফিলের ওই শিশুর জন্মের গল্পটি ফেসবুকে নবজাতকের বাবা রবার্ট গ্রিফিন শেয়ার করেন। বলাবাহুল্য পোস্ট হতে না হতেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ঘটনা। এরপর কিভাবে তিনি এবং তার স্ত্রী ম্যাগি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, মাঝে চিক-ফিলে তাদের বড় মেয়েকে এক বন্ধুর সঙ্গে নামিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের, সেসব কথা ফেসবুকে বিস্তারিত লিখেছেন রবার্ট। রবার্ট জানান, আমার স্ত্রী ম্যাগির প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। আমাকে সে জানায়, তাড়াতাড়ি বাথরুমে যেতেই হবে। বড় মেয়েকে রেস্টুরেন্টে নামানোর পর ম্যাগিকে বাথরুম থেকে নিয়ে আসতেই ভেতরে যাই। তিনি আরও বলেন, আমাকে হোটেলের ম্যানেজার জানান, ম্যাগি রেস্টরুমে আছে, ব্যথায় চিৎকার করছে। আমরা দৌড়ে সেখানে যাই। দেখতে পাই, মাথা বেরিয়ে এসেছে আমাদের শিশুর। রবার্ট লিখেছেন, ৯১১ এ ফোন করে পরিষ্কার তোয়ালে নিয়ে এসে বাচ্চাটির সুস্থ ডেলিভারির চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। পরে তিনি বুঝতে পারেন নাড়িটি সদ্যজাতের গলায় পেঁচিয়ে গেছে। কিন্তু স্ত্রীকে তা নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। বরং তাকে শান্ত করতে থাকেন যাতে শিশুর জন্ম দিতে কোন জটিলতা তৈরি না হয়। তারপর সাবধানে তিনি নাড়ির প্যাঁচ থেকে বের করে নিয়ে আসেন তাদের সদ্যজাত সন্তানকে। সুস্থভাবেই পৃথিবীর আলো দেখে রবার্ট ও ম্যাগির দ্বিতীয় কন্যা সন্তান। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় আজীবন তারা বিনে পয়সায় শিশুটিকে খাওয়াবে।-সিএনএন অনলাইন।
×