ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে নার্সারিতে চারা উৎপাদনে বিপ্লব

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ২৮ জুলাই ২০১৮

 যশোরে নার্সারিতে  চারা উৎপাদনে  বিপ্লব

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নার্সারিতে চারা উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়েছে চাষীরা। বিভিন্ন জাতের দেশীয় ও উচ্চ ফলনশীল ফুল, ফল, বনজ, সৌখিন ও ঔষধি গাছের চারা উৎপাদনে এখানকার চাষিরা ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছেন। চারা বিক্রির ভরা মৌসুম হওয়ায় নার্সারি মালিকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। নার্সারি মালিকরা বলছেন, চারা রোপণের জন্য অনুকূল পরিবেশ হওয়ায় এ বছর তারা কয়েক কোটি টাকার বিভিন্ন জাতের ফলজ ও বনজবৃক্ষ বিক্রি করবেন। যশোর-নড়াইল সড়কের ঝুমঝুমপুর থেকে হামিদপুর পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে যতদূর চোখ যায় দেখা যায় শুধুই চারার ক্ষেত অর ক্ষেত। হরেক রকমের চারায় গড়ে ওঠা এসব নার্সারির সবুজাভ নয়নাভিরাম দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এসব নার্সারিতে উৎপাদিত চারা নিয়ে হাট বসে সড়কের দু’পাশে। এ হাট থেকে ফলজ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের চারা প্রতিদিন ট্রাকভর্তি হয়ে চলে যায় দেশের সবপ্রান্তে। শুধু সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বর্তমানে দু’শতাধিক নার্সারি আছে। ১৯৮০ সাল থেকে এখানে গাছের চারা উৎপাদন শুরু হয়। এই তিন দশকে এর মালিকদের সচ্ছলতা ফিরেছে। এছাড়া নার্সারিগুলোতে কাজ করে কয়েক শ’ পরিবারের সংসার চলছে ভালভাবেই। এখানকার চারার মান ভাল হওয়ার পাশাপাশি সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দূরদূরান্ত থেকে ফতেপুরের এ নার্সারি পল্লীতে চারা কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছর সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় নার্সারি ব্যবসায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানালেন নার্সারি মালিকরা। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং চেষ্টায় এ অঞ্চলে নার্সারি বিপ্লব ঘটেছে। কিন্তু সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এসব নার্সারি মালিকদের এখন পড়তে হচ্ছে নানা সঙ্কটের মুখে। চারা উৎপাদন মৌসুমে তারা পড়ছেন আর্থিক সঙ্কটে। চারা বিক্রি করতেও বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
×