ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়িঘর, ফসলি জমি, সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে

দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি টাঙ্গাইল শহররক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৮ জুলাই ২০১৮

 দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি টাঙ্গাইল  শহররক্ষা  বাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০০ সালে ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধটি তৈরি করা হয়। যা ছিলিমপুর-করটিয়া বঁ‍াধ নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় হুমকির মুখে রয়েছে টাঙ্গাইল শহর রক্ষার এই বাঁধ। বিশেষ করে বাঁধের পূর্বাংশ পুংলি ব্রিজ থেকে মহেলা, আগবেথর পাছবেথর, শালিনা, বার্থা হয়ে করটিয়া পর্যন্ত বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়া বাঁধের পুরো অংশটি ভেঙ্গে গেলে টাঙ্গাইল শহর, গালা, ঘারিন্দা, করটিয়া ইউনিয়নসহ বাসাইল উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর, ফসলি জমি, সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ঢালান শিবপুর ঘাট থেকে যুগনি পর্যন্ত প্রধান সøুইসগেট এলাকাসহ শিবপুর ও শ্যামার ঘাট এলাকায় বাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। একইভাবে প্রতিনিয়ত শহর রক্ষা এই বাঁধের বিভিন্ন অংশে যানবাহন চলাচলের কারণে ডেবে গেছে। গত বছর বন্যার সময় রামদেবপুর এলাকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে মাটি ফেলে কোন রকমে বাঁধের রামদেবপুর অংশটিকে রক্ষা করেছিল। মহেলা আদর্শ গ্রামের রিক্সাচালক বাদশা মিঞা শহর রক্ষা বাঁধ দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়ে বলেন, বাঁধটা ভেঙ্গে গেলে টাঙ্গাইল শহর ডুবে যাবে। সরকার যেন দ্রুত বাঁধটি ঠিক করার উদ্যোগ নেয়। টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রতন মিয়া জানান, শহর রক্ষা বাঁধটি শুধু শহরই রক্ষা করছে না, বছর বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উপার্জনে ব্যাপক সহায়তা করছে। নিম্নআয়ের মানুষগুলো শহরে উপার্জন করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতে সক্ষম হচ্ছে। শহর রক্ষা বাঁধটি নির্মাণের ফলে এর আশপাশের ইউনিয়নগুলো ভয়াবহ বন্যার শিকার হলেও শহরকেন্দ্রিক জীবনযাপনের সহায়তা পাচ্ছে। কাজেই বাঁধটি রক্ষা করা জরুরী। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, শহর রক্ষায় ৪৭ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ভাঙ্গন পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিত গ্রামগুলোর মধ্যে মহেলা, পাছবেথর, রানাগাছা, বার্থা অন্যতম। এসব এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তখন এসব এলাকায় ভাঙ্গন থাকবে না।
×