ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাটবাজার ইজারাতে রংপুরে দুর্নীতি

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৮ জুলাই ২০১৮

 হাটবাজার ইজারাতে  রংপুরে দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রংপুর সিটি কর্পোরেশনের হাট-বাজার ইজারার অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার হদিস নাই। গত ছয় বছরে কর্পোরেশনের রাজস্ব খাতে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে নামকাওয়াস্তে। এই কয়েক বছরে হাট-বাজারের উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে মাত্র সাড়ে সাত লাখ টাকা। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ছয় বছরে হাট-বাজার ইজারা থেকে ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ছিল। এর ৪৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট হাট-বাজারের উন্নয়নে ব্যয়ে ছিল আইনী বাধ্যবাধকতা। কিন্তু সিটি বাজারে একটি শেড আর বুড়িরহাটে ১৪টি টিউবওয়েল বসানো ছাড়া আর কিছুই হয়নি, যাতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। বছরের পর বছর উন্নয়ন না হওয়ায় ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ মানুষ। একটি গোপন নথিতে মিলেছে দুর্নীতির প্রমাণ। অর্ধশতাধিক হাট-বাজারের এই নগরীতে মাত্র ২১টির ইজারা দেখানো হয়েছে। তাতেও নেই নিয়ম-কানুনের বালাই। মানা হয়নি প্রতিবছর ২৫ শতাংশ হারে ইজারা মূল্য বাড়ানো, উন্মুক্ত টেন্ডারের প্রধান শর্তগুলো। একে-অপরকে দায় চাপিয়ে এড়িয়ে গেলেন অভিযুক্ত সচিব ও প্রধান নির্বাহী। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, ‘আমি মেয়রের তত্ত্বাবধায়নে চাকরি করি। কিছু বললে চাকরি চলে যাবে। হাটবাজার ইজারাই দুর্নীতি হয়।’ রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘যাদের স্বাক্ষরে এসব অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
×