পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়া তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলানোয় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আধ ঘণ্টার এক ভাষণে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ৬৫ বছর বয়সী ইমরান দিল্লী ও ইসলামাবাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এবং কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ মেটাতে ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি সত্যিই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করতে চাই, আপনারা যদি এক পা এগিয়ে আসেন, আমরা এগোব দুই পা।নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই ইসলামাবাদ থেকে দেয়া ‘প্রেসিডেন্ট স্টাইলের’ ওই ভাষণে পিটিআই প্রধান ভাবী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন। খবর এনডিটিভি।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের কারণে আমি অনেকবারই ভারত সফর করেছি, আমি তাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চাই।’ ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গটি নিয়েও কথা বলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিরোধ কাশ্মীরকে ঘিরে। এ নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন, আমরা এখনও স্কয়ার ওয়ানেই আটকে আছি। ভারত দেখছে বেলুচিস্তান, আমরা দেখছি কাশ্মীর। এ ধরনের দোষারোপের খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। আপনারা এক পা এগোলে আমরা দুই পা এগোতে প্রস্তুত। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সেখানে সেনা মোতায়েন, জনগণ নিরাপত্তায় ভুগছে। নেতৃত্বকে এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় বের করতে হবে। বুধবার অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলে ভারত খানিকটা উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি। তেহরিক-ই-ইনসাফের মতো কট্টরপন্থী একটি দলের বিজয় জম্মু ও কাশ্মীরসহ গোটা ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেই প্রভাব ফেলতে পারে বলেও শঙ্কা দিল্লীর। ইমরান খানের সাফল্যের পেছনে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর যে প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল তাতে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরও তিনি কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে, বলছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা। ভারতের মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের সাবেক বিশেষ সচিব রানা ব্যানার্জী বলেছেন, ইমরানের জয়ের পেছনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘যদিও ইমরান বেশ ভালভাবেই জিতেছেন, এই জয়টা যে আর্মির সঙ্গে তার সমঝোতা মোতাবেকই হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।