ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেচের পানি সাশ্রয়ের কৌশলগত দিক

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৮ জুলাই ২০১৮

সেচের পানি সাশ্রয়ের কৌশলগত দিক

আদর্শ মাটিতে সাধারণত পানির পরিমাণ ২৫ ভাগ, যা মাটির দানার ফাঁকে ফাঁকে অবস্থান করে। মাটিতে সেচ প্রদান করলে বা বৃষ্টি হলে এ ফাঁকা অংশ পানি দ্বারা পূর্ণ হয়। সম্পূর্ণ ফাঁকা অংশ পানি দ্বারা পূর্ণ হলে মাটির এ অবস্থাকে পরিতৃপ্ততা বলে। এর পরেও পানি প্রদান অব্যাহত রাখলে মাটির উপরে স্থির পানি পরিলক্ষিত হয়। অভিকর্ষণীয় বলের টানে এ পানি ধীরে ধীরে মাটির গভীরে যায় এবং অভিকর্ষণীয় বলের বিপরীতে মাটির দানার ফাঁকে ফাঁকে যে পরিমাণ পানি আটকে থাকে তাকেই জো অবস্থা বলে। এই পানিই ফসল গ্রহণ করে এবং বাষ্পীয় প্রস্বেদন ও বাষ্পীভবনের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে পানি নিঃশেষিত হতে হতে এমন একটি পর্যায়ে আসে যখন মাটিতে খুব সামান্য পরিমাণ পানি থাকে যা গাছ গ্রহণ করতে পারে না। তখন গাছ পানির অভাবে নেতিয়ে পড়ে। মাটিস্থ পানির এ অবস্থাকে নেতানো অবস্থা বলে। মাটির এ নেতানো অবস্থা ও পরিতৃপ্ত অবস্থার মধ্যবর্তী পানির অবস্থাকে প্রাপ্তিসাধ্য পানি বলে যা ফসলের বৃদ্ধি ও শরীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। মাটির এ পরিমাণ পানির ঘাটতি মোটানোর জন্যই আমরা সেচ প্রদান করে থাকি। যার অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করলে তা অপচয় হিসেবে গণ্য হয়। তাছাড়া মাটিতে স্থির পানির গভীরতা যতই বাড়ানো হবে ততই অনুপ্রবেশ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। এ সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে সেচের পানি অপচয় রোধে এডব্লিউডি পদ্ধতি ও শুকনা পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
×