ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক দলগুলো একটি আসনও জিততে পারেনি

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ২৭ জুলাই ২০১৮

  পাকিস্তানের নির্বাচনে  ধর্মভিত্তিক দলগুলো একটি আসনও  জিততে পারেনি

পাকিস্তানে বুধবার অনুষ্ঠিত পুরোদেশব্যাপী সাধারণ নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক ও চরপন্থা অবলম্বনকারী দলগুলোর বিশাল উপস্থিতি দেখা গেলেও একটি আসনও তারা জিততে পারেনি। দলগুলোর দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদের উত্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। খবর সিএনবিসি নিউজ। ডানপন্থী উগ্র ধর্মীয় দলগুলোর এক হাজার পাঁচশ’র বেশি প্রার্থী প্রাদেশিক ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। যার অনেকগুলোই পশ্চিমাবিরোধী ও মৌলবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইসলামী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগকে সমর্থন করে। উদাহরণ হিসেবে তেহরিক-ই-লাব্বায়েক পাকিস্তান দলটির কথা বলা যায়। দলটি ৫৬৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এরা ইসলামকে অপমানকারী লোকদের মৃত্যুদ- কার্যকরে বৃহত্তর বাস্তবায়ন চায়। মে মাসে দলটির একজন সদস্য দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালায়। অন্যান্য দলগুলোর আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের প্রার্থীরা বিভিন্ন দলের নামে বা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়। মিলি মুসলিম লীগ যার প্রতিষ্ঠাতা লস্কর-ই-তইয়্যেবার সহপ্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাইদ। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাই নগরীতে সন্ত্রাসী হামলা। দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ। তারপরও তারা ২৬০ জন প্রার্থিতা দিয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত দলের ইসলামিক স্টেট জোট লস্কর-ই-জাংভি দলের শাখা বলে বিশ্বাস করা হয়। যাদের বৈধ প্রার্থী হিসেবে ১৫০ জনের বেশি প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
×