ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাপসা গরমে সুতিই সবচেয়ে আরামের। তবে ফ্যাশন হাউস ঘুরে সুতির পাশাপাশি লিনেন বা জর্জেট কালেকশনের পোশাকও উল্লেখ করার মতো। এ ধরনের কাপড় ভিজলে যেমন তাড়াতাড়ি শুকায়, তেমনি ব্যবহারে সহজ। ইস্ত্রি না করেও পরা যায়। সিঙ্গেল কুর্তির মধ্যে জনপ্রিয় আড়ংয়ের কুর্তি। সাশ্র

ফ্যাশনে লং কুর্তি

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২৭ জুলাই ২০১৮

ফ্যাশনে লং কুর্তি

তৌফিক অপু ॥ প্রকৃতিতে বিরাজ করছে ঋতু রানী বর্ষা। পথ ঘাট ভিজে একাকার। বাইরে বের হওয়াই যেন মুশকিল। তাই বলে তো কাজ থেমে থাকবে না। প্রয়োজনের তাগিদে বের হতেই হবে। তবে এই সময়ে বাইরে বের হওয়া নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ভোগেন। বিশেষ করে পোশাক নিয়ে। কি ধরনের পোশাক কেমন তা হওয়া উচিত এইসব আরকি। মেয়েদের বেলায় ভাবনা টা যেন একটু বেশিই। তবে এ সময়টায় কুর্তি বেশ আরামদায়ক হবে। বৃষ্টি ভেজা হালকা ঠান্ডা বাতাসে ফুলসিøভ কুর্তি বেশ আরামদায়ক হবে। আবহাওয়ার সঙ্গে যুক্তি করে বাজারে নতুন এসেছে বিভিন্ন কাটের কুর্তি। এসব টপসে দেশীয় নকশার প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। ছিমছাম আরামদায়ক বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্ক্রিন প্রিন্ট, ভেজিটেবল ডাই ব্লক, উল-সুতা, মিরর কাট নকশা থাকছে ডিজাইনে। টাইডাই, সুতার কাজ, সব ধরনের স্ক্রিন পেইন্ট, এ্যাসুস, মখমল ইত্যাদির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। . কাটছাঁট কুর্তির কাট দৈর্ঘ্যে সাধারণত সেমি লং ও লং। ফিউশন কাট আর প্যাটার্নের বৈচিত্র্য আছে। নিচের দিকে ঘের দেয়া, কোমর থেকে আলাদা রঙের কাপড়, বুকের সামনে নকশা ইত্যাদি একেবারে ভিন্নতা এনে দিয়েছে এসব কুর্তিকে। ঘের ছাড়া টপস বা কাফতান কাটের কুর্তিও মিলবে। শুধু কাটিং নয়, নজর দেয়া হয়েছে লং হাইট কাট, লং প্যাটার্ন আনারকলি কাট ও টিউনিক প্যাটার্ন। ছিমছাম নকশায় টিউনিক প্যাটার্ন কাটেও স্মার্ট লুক খুঁজে পাওয়া যায়। প্যাটার্ন, কাটছাঁটে বেশ পরিবর্তন দেখা গেলেও থেমে নেই রঙের ব্যবহার। ব্যবহার হয়েছে গাঢ় ও হাল্কা শেডের রং। ভেজিটেবল ডাই ও জ্যামিতিক নকশার দেখা মিলবে কোন কোন ফ্রক টপসে। আবহাওয়া আর পরিবেশ বুঝে হাতার কাটিংয়েও এসেছে বৈচিত্র্য। ছোট হাতা, বড় হাতা, সেমি লং ও সিভলেস সবই রয়েছে। . ডিজাইনারের বয়ানে নকশা কুর্তি পরতে পারেন চুড়িদার, জিন্স, সালোয়ার বা পালাজ্জোর সঙ্গে। টিনএজ বা তরুণদের সঙ্গে সাধারণত অন্যদের পছন্দের কিছুটা পার্থক্য থাকে। সব বয়সীদের কথা মাথায় রেখেই সেমিলং আর লং কুর্তির অপশন রয়েছে। হালকা আর গাঢ় দুই ধরনের রংই থাকছে। কারণ তরুণীরা হালকা ও গাঢ় দুই ধরনের পোশাকই খোঁজে। . হাওয়া বদল ভ্যাপসা গরমে সুতিই সবচেয়ে আরামের। তবে ফ্যাশন হাউস ঘুরে সুতির পাশাপাশি লিলেন বা জর্জেট কালেকশনের পোশাকও উল্লেখ করার মতো। এ ধরনের কাপড় ভিজলে যেমন তাড়াতাড়ি শুকায়, তেমনি ব্যবহারে সহজ। ইস্ত্রি না করেও পরা যায়। সিঙ্গেল কুর্তির মধ্যে জনপ্রিয় আড়ংয়ের কুর্তি। সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও ডিজাইন-বৈচিত্র্য থাকায় ফেবারিট। শুধু আড়ং না, দেশীয় ও পশ্চিমা ধাঁচের প্রায় সব ফ্যাশন হাউসেই পাবেন বাহারি কাটের কুর্তি। ইদানীং প¦ার্শবর্তী দেশ থেকে আসা কিছু কুর্তিও রং ছড়াচ্ছে। তবে দেশেই তৈরি হচ্ছে উন্নতমান ও ডিজাইনের কুর্তি। এ প্রসঙ্গে ডিমান্ড ফ্যাশন হাউস এর কর্ণধার ডিজাইনার রাসেল মাহমুদ বলেন, খুব বেশি দিন হয়নি কুর্তি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আগেও যে কুর্তির চল ছিল না তা ঠিক নয়। তবে ফ্যাশনেবল কুর্তির চল এ প্রজন্মের কাছে নতুন। তাই আমরা চেষ্টা করছি ফেব্রিক ও রঙের বৈচিত্রতা তুলে ধরতে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে প্রাধান্য দেয়া হয় আবহাওয়াকে। যেহেতু বর্ষাকাল, যখন তখন বৃষ্টি হানা দেয়, সেদিকটা খেয়াল রেখে নির্বাচন করা হয়েছে ফেব্রিক। যেন ভিজে গেলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়। এছাড়া কাপড় ভিজে গেলে অনেক সময় রঙ উঠে যায়। আমরা এমন কোন কাপড় সিলেক্ট করিনা যেগুলোতে রঙ উঠতে পারে। ডিজাইনেও প্রাধান্য পেয়েছে ঋতুরানী। বর্ষার সুন্দর প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয়কে বেজ করে করা হয়েছে ডিজাইনগুলো। . দরদাম ফেব্রিক ও কাপড়ভেদে একেকটি কুর্তি একেক দামের। সেমিলং কুর্তিগুলো পাওয়া যাবে ১৪৫০ থেকে ২৭৫০ টাকায়, লং কুর্তি মিলবে ১৮০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে। . কোথায় পাবেন আড়ং, রঙ বাংলাদেশ, কে ক্রাফট, বিবিয়ানা, আড়ংসহ বিভিন্ন দেশীয় ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রকম সালোয়ার। নন ব্র্যান্ডের সালোয়ার কিনতে যেতে পারেন ধানম-ি- হকার্স, নিউমার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, গাউসিয়া, মৌচাক মার্কেট, ফরচুন মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে।
×