ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার আপীলের রিভিউ শুনানি রবিবার

প্রকাশিত: ০৭:১১, ২৭ জুলাই ২০১৮

 খালেদার আপীলের  রিভিউ শুনানি রবিবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত খালেদা জিয়ার আপীল শুনানিতে সময় বাড়ানোর রিভিউ আবেদনের ওপর আগামী রবিবার আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রীমকোর্টের চেম্বার আদালত। অন্যদিকে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের চেম্বার জজ ও বিচারিক আদালত এ আদেশ প্রদান করেছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত খালেদা জিয়ার আপীল শুনানিতে সময় বাড়ানোর রিভিউ আবেদনের ওপর আগামী রবিবার আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রীমকোর্টের চেম্বার আদালত। খালেদা জিয়ার পক্ষে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শুনানির দিন নির্ধারণের আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পরে কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপীল শুনানি শেষ করতে ৩১ জুলাই হাইকোর্টকে সময় বেঁধে দেয় আপীল বিভাগ। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় আপীল বিভাগে একটি রিভিউ আবেদন করি। আপীল আদালত বলেন, ‘আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত রিভিউ আবেদনটি স্ট্যান্ড ওভার রাখা হলো। তবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপীল নিষ্পত্তি না হলে পরে সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ম অনুসারে আমরা চেম্বার আদালতে বৃহস্পতিবার আবেদন জানাই। পরে চেম্বার আদালত আমাদের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন নির্ধারণ করে দেয়। গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ ৬ সেপ্টেম্বর ॥ গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার মামলাটি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ঠিক ছিল। শুনানি শেষে পুরান ঢাকার বকশীবাজার অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য এ নতুন তারিখ ঠিক করেন। এ মামলায় দুই আসামি তানভীর আহমেদ এবং গালিব হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। একই সঙ্গে মামলাটি জরুরী ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন ‘বেআইনী ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। তবে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ পরে আপীল বিভাগে বাতিল হয়ে যায়। দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে আরেকটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তার আবেদনে হাইকোর্ট আবারও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় এবং মামলাটি কেন বাতিলের নির্দেশ দেয়া হবে না- এ মর্মে রুল জারি করে। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদ- কার্যকর ) মারা যাওয়ার পর এখন আসামির সংখ্যা ২০।
×