ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রাবাড়ী ও রামপুরায় দুই গৃহবধূকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২৭ জুলাই ২০১৮

 যাত্রাবাড়ী ও রামপুরায় দুই গৃহবধূকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পৃথক স্থানে দুই গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক ও ট্রেন দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে। এদিকে আগারগাঁওয়ে তালতলা বাজারে রাস্তার পাশে রাখা স্টিলের শোকেস মাথায় পড়ে এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও রামপুরায় দুই গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড মেডিক্যাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকা থেকে অজ্ঞাত (২২) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নামপরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি ওই এলাকায় স্বামী সেলিম ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন। ওসি জানান, নিহতের গলায় আগুনের ছাপ ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। এদিকে একইদিন সকালে পুলিশ রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী আবাসিক এলাকার জি ব্লকের একটি বাড়ির ছয়তলা থেকে জুলেখা আক্তার (৪২) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। রামপুরায় থানা ওসি প্রলয় কুমার সাহা জানান, নিহত জুলেখার গলায় দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। জুলেখার ১৩ বছর বয়সী সন্তান পুলিশ হেফাজতে আছে বলে ওসি প্রলয় কুমার জানান। সড়ক ও ট্রেন দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত ॥ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বকুল মিয়া (৪০) নামে এক রিক্সাচালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার তেগুরিয়া গ্রামে। তিনি রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে থাকতেন। বাড্ডা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কুমারেশ ঘোষ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মেরুল বাড্ডার ইউলুপের সামনে রিক্সা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বকুল মিয়া। এ সময় একটি যানবাহন তাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে একইদিন দুপুর ১২টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত (৫০) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার এএসআই বিল্লাল হোসেন জানান, বেলা ১২টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ের অন্তত ১৫ গজ উত্তরে ওই ব্যক্তি রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। মহাখালী রেলওয়ে সিগন্যাল পোস্টের দায়িত্বে থাকা হারুন বলেন, রেললাইন পারাপারের সময় পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। মাথা ফেটে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের সঙ্গে কোন পরিচয়পত্র ছিল না। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরাও তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি বলে জানান সিগন্যালম্যান হারুন। স্টিলের শোকেস মাথায় পড়ে নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু ॥ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তালতলা বাজারে রাস্তার পাশে রাখা স্টিলের শোকেস মাথায় পড়ে আব্দুল খালেক (৪৯) নামের এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই বাজারের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে। আগারগাঁও এলাকায় থাকতেন তিনি। দোকানদার শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তালতলা বাজারে ডিউটি করছিলেন আব্দুল খালেক। এ সময় একটি দোকানের সামনের রাস্তায় রাখা স্টিলের শোকেস তার মাথার ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে থেকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেলে ঢামেক মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান।
×