ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভূঞাপুরে কেজি দরে কয়েন বিক্রি

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২৭ জুলাই ২০১৮

  ভূঞাপুরে কেজি দরে কয়েন  বিক্রি

সংবাদদাতা, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল, ২৬ জুলাই ॥ মাটির তৈরি ব্যাংকে কয়েন জমানোর ইতিহাস দীর্ঘদিনের। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই আপৎকালীন সময়ের জন্য জমাতো এ কয়েন। এমন কোন উদ্দেশ্যেই কিছু কয়েন টাকা জমিয়ে ছিলেন ভূঞাপুরের নিকলা গ্রামের আঃ মমিন। সাংসারিক জরুরী প্রয়োজন মিটাতে মাটির ব্যাংক ভেঙ্গে বের করেন প্রায় ১৫শ’ টাকার কয়েন। কিন্তু এ কয়েন যেন কানাকড়ি। তিলে তিলে জমানো কয়েন টাকা হয়েছে গলার কাঁটা। ব্যাংক দোকানি কেউ নিচ্ছে না এ কয়েন। বাধ্য হয়ে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে তিনি। ৪ কেজি কয়েন বিক্রি করেন ১ হাজার টাকা। কিন্তু মূলত কয়েন ছিল ১৫শ’ টাকা। কয়েন নিয়ে বিপাকে মমিনের মতো শত শত লোক ও ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই তিন বছর যাবত এক টাকা ও দুই টাকার কয়েনের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে কমে আসে। এসব কয়েন কোন ব্যক্তি ব্যবসায়ী এমনকি ব্যাংকও নিচ্ছে না। যার ফলে কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। পাঁচ টাকার কয়েন কিছুটা চললেও এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন নিচ্ছে না কেউ। ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে জনতা কম্পিউটারের পরিচালক আরিফ হোসেন জানান, আমাদের ফটোকাপির দোকান মাঝে মধ্যে গ্রাহককে দুই টাকা ফেরত দিতে হয় তার জন্য ৪ কেজি কয়েন কেনা হয়েছে। উপজেলার কাগমারিপাড়া বাজারের মুদি দোকানদার আয়নাল হক জানান, আমার ক্যাশে প্রায় হাজার দুয়েক কয়েন জমা হয়েছে। কোথাও চালাতে পারছি না বাধ্য হয়ে পোঁটলা বেঁধে রেখে দিয়েছি। যখন চলবে তখন চালাব। কেন কয়েন টাকা ব্যাংকে নেয়া হয় না এর জবাবে কৃষি ব্যাংক ভূঞাপুর শাখার ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের শাখায় কোন কয়েন টাকা নেয়া হয় না। যে সকল ব্যাংকে রেমিটেন্স আছে তারা নিতে পারে। তিনি এসব কয়েন বাংলাদেশ ব্যাংকে দেয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
×