ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটা সৈকত প্রতিরক্ষার কাজ শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২৭ জুলাই ২০১৮

  কুয়াকাটা সৈকত  প্রতিরক্ষার  কাজ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৬ জুলাই ॥ সাগরের ভাঙ্গন রোধে কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় জরুরী অস্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই কাজ শুরু হওয়ার কথা জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের। তিনি জানান, সৈকতের শূন্য পয়েন্ট থেকে দুই দিকে আট শ’ মিটার এলাকা সাগরের ঢেউয়ের কবল থেকে রক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিন স্তরে জিও ব্যাগ দিয়ে সাময়িকভাবে উত্তাল ঢেউয়ের ঝাপটা প্রতিরোধে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়-বরাদ্দের কথা জানালেন। সাগরের অব্যাহত তীব্র ভাঙ্গনের কবল থেকে স্থায়ীভাবে সৈকত রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন এ বছর অনিশ্চিত হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রেরিত সৈকত রক্ষা ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে বিস্তারিত সমীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানোয় এমন অনিশ্চয়তার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে ঢেউয়ের ঝাপটা রোধে জরুরী ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বছরের বর্ষা মৌসুমের প্রথম অমাবস্যার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ার তিনদিনে ছয় দফা হানা দেয় সৈকতের বেলাভূমে। প্রায় ৩০ ফুট প্রস্থ সৈকত সাগর গিলে খেয়েছে। এখন কুয়াকাটা পৌর এলাকাসহ পর্যটন এলাকার মানুষ ও তাদের সম্পদসহ সব ধরনের স্থাপনা রক্ষায় বেড়িবাঁধটিও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধের রিভার সাইটের স্লোপসহ মূল বাঁধ সাগরের ঢেউয়ের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবিতে স্থানীয়রা দুই দফা মানববন্ধন করেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কুয়াকাটা সৈকতের শূন্য পয়েন্টের কিছু এলাকা ঢেউয়ের তান্ডব থেকে এ বছর রক্ষা পাবে। কিন্তু দীর্ঘ সৈকত এলাকা ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে গত দশ বছরে কুয়াকাটা সৈকতের দীর্ঘ এলাকা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। সৈকতের বেলাভূমে এখন আর জোয়ারের সময় ওয়াকিং জোন থাকে না। হাজার হাজার নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা সাগরের উত্তাল ঢেউ গিলে খেয়েছে। বর্তমানে এনিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, লগ্নিকারকসহ পর্যটকরা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।
×