ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডোপিং নিয়ে সেরেনার তোপ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৭ জুলাই ২০১৮

 ডোপিং নিয়ে সেরেনার তোপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ড্রাগ টেস্টেও বৈষম্যের শিকার সেরেনা উইলিয়ামস! আমেরিকার অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে তাকে বেশিবার পরীক্ষা করতে হয়েছে বলে দেশটির ডোপ টেস্টের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তার মতে, এতবার টেনিস বিশ্বের অন্য কাউকে এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। যে কারণেই নিজেকে ‘বৈষম্যের শিকার’ মনে করছেন ২৩ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। ডোপ পরীক্ষার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ৩৬ বছর বয়সী সেরেনা টেনিস খেলাটাকে নিষ্কলুষ দেখতে চান। কিন্তু নিজের প্রতি বৈষম্যমূলক এমন আচরণটাও মানতে পারছেন না তিনি। এক টুইটবার্তায় এ প্রসঙ্গে সেরেনা উইলিয়ামস লিখেছেন, ‘...এবং এটাই দিনের সেই সময়, যখন ‘লাগাতার’ ড্রাগ পরীক্ষা হয় এবং কেবল সেরেনারই হয়। এটা প্রমাণিত সব খেলোয়াড়দের মধ্যে আমাকেই বেশিবার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি বৈষম্যের শিকার? আমার এমনই মনে হয়। এরপরও আমি অন্তত খেলাটাকে নিষ্কলুষ রাখছি।’ সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘ডেডস্পিন’। যেখানে জানা গিয়েছে তার মতো এত বেশিবার ডোপ টেস্ট দিতে হয়নি কাউকেই। আর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আমেরিকার এ্যান্টি-ডোপিং কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন সেরেনা। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি আগে জানতামই না যে অন্য সবার চেয়ে এতো বেশিবার আমাকে ডোপ টেস্ট দিতে হয়েছে। আমি ওই (ডেডস্পিনের) প্রতিবেদন পড়ে জানতে পেরেছি এটি কতটা বৈষম্যপূর্ণ ছিল আমার জন্য। তারা আমাকে বিশ্বের অন্য খেলোয়াড় না হোক, অন্তত আমেরিকার খেলোয়াড়দের মতো করেও দেখে না।’ শুধু ২০১৮ সালেই পাঁচবার ডোপ পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে সেরেনাকে। নিষিদ্ধ কোন মাদক বা ওষুধ গ্রহণ করেন না, এ তথ্য বারবার প্রমাণ করতে হয়েছে কিংবদন্তি এই টেনিস তারকাকে। এমন অভিযোগও আছে, যখন উসাডার কর্মকর্তারা সেরেনার বাড়িতে যান তখন সেরেনা বাসায় ছিলেন না। নির্ধারিত সময়ের ১২ ঘণ্টা আগে হাজির হয় কর্মকর্তারা। এই ধরনের ঘটনাকে ‘মিস টেস্ট’ হিসেবে গণ্য হয়। তিনবার এমন হলে তিনি উসাডা ড্রাগ আইন ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। চলতি বছর যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সকল শীর্ষ পুরুষ ও নারী টেনিস খেলোয়াড়দের দুই-একবার ডোপ টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সেখানে পাঁচবার ডোপ টেস্ট করার পর রীতিমতো ক্ষুব্ধ সেরেনা। সেরেনা উইলিয়ামসেরই উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত স্লোয়ানে স্টিফেন্স। গত বছর ইউএস ওপেন জয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বাদ পান এই আমেরিকান তারকা। কিন্তু ইউএস ওপেন জয়ী স্লোয়ানে স্টিফেন্সকেও মাত্র একবার ডোপ টেস্ট দিতে হয়েছে। বোন ভেনাস উইলিয়ামসকে দিতে হয়েছে দুইবার। উইম্বলডনে নিজের ডোপ টেস্ট সম্পর্কে ৩৬ বছর বয়সী উইলিয়ামস বলেন, ‘আমি জানি না কেন অন্যদের চেয়ে আমাকে বেশিবার ডোপ টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’ বয়সে ছত্রিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। কিন্তু এখনও টেনিস কোর্টে দুর্বার। সদ্য সমাপ্ত উইম্বলডনেও দাপট দেখিয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অসাধারণ পারফর্মেন্সের সৌজন্যেই ফাইনালে জায়গা করে নেন সেরেনা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ফাইনালে হেরে যান উইলিয়ামস পরিবারের এই ছোট মেয়ে। তাকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় মেজর গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বাদ পান এ্যাঞ্জেলিক কারবার। অথচ গত সেপ্টেম্বরে প্রথম কন্যা সন্তানের মা হন সেরেনা উইলিয়ামস।
×