ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৮ আগস্ট থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৭ জুলাই ২০১৮

 ৮ আগস্ট  থেকে  ট্রেনের  অগ্রিম  টিকেট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে আগামী ৮ আগস্ট থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দেয়া হবে অগ্রিম টিকেট। এছাড়াও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য ১৫ আগস্ট থেকে ফিরতি টিকেট বিক্রি হবে বলে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানিয়েছেন। এছাড়াও এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে থাকছে নয় জোড়া বিশেষ ট্রেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক রেলের অগ্রিম টিকেট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ২২ আগস্ট ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির এই সূচী ঠিক করা হয়েছে। ৮ থেকে ১২ আগস্ট ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঈদযাত্রার আগাম টিকেট বিক্রি হবে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কাউন্টারে এই টিকেট পাওয়া যাবে। মন্ত্রী বলেন, ৮ আগস্ট দেয়া হবে ১৭ আগস্টের টিকেট। ৯ আগস্ট মিলবে ১৮ আগস্টের, ১০ আগস্ট ১৯ আগস্টের, ১১ আগস্ট ২০ আগস্টের এবং ১২ আগস্ট ২১ আগস্টের অগ্রিম টিকেট দেয়া হবে। রেলপথমন্ত্রী বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ২৬ কাউন্টারের মাধ্যমে টিকেট বিতরণ করা হবে। এই ছাব্বিশটির মধ্যে নারীদের জন্য আলাদা দুটি কাউন্টার সংরক্ষিত থাকবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকেট নিতে পারবেন। বিক্রিত টিকেট ফেরত নেয়া হবে না বলেও জানানো হয়। ঈদের ফিরতি টিকেট নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৫ আগস্ট থেকে ফিরতি টিকেট দেয়া হবে। ১৫ আগস্ট দেয়া হবে ২৪ আগস্টের টিকেট, ১৬ আগস্ট ২৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ২৬ আগস্টের, ১৮ আগস্ট ২৭ আগস্টের এবং ১৯ আগস্ট ২৮ আগস্টের ফিরতি টিকেট দেয়া হবে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ফিরতি টিকেট দেয়া হবে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে। রেলমন্ত্রী বলেন, এবার কোরবানির ঈদের আগে চারদিন নয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে বিভিন্ন গন্তব্যে। ঈদের পর আরও ৭দিন এসব বিশেষ ট্রেন চলবে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে দুটি করে, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-লালমনিরহাট ও ঢাকা-খুলনা রুটে এসব ট্রেন চলবে। এছাড়া ভৈরব-কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে ঈদের দিন চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল। এবার সর্বমোট ১ হাজার ৪০২ কোচ চলাচল করবে। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি কোচ সংযোজন এবং কালোবাজারি ঠেকাতে এবার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে কমলাপুর, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর ও খুলনাসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র‌্যাবের সহযোগিতায় টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে সর্বক্ষণিক প্রহারার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হবে। এছাড়া ১৮ আগস্ট থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর রুটের কোন ট্রেনে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না। আগামী ২১ ও ২২ আগস্ট ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী এবং ২৩ আগস্ট বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। রেলমন্ত্রী বলেন, সাধারণ সময়ে রেলে যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার। ঈদে তিন লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সম্পদ দিয়েই আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×