ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সম্প্রতি শোবিজ অঙ্গনের আলোচিত সব বিষয় নিয়ে লিখেছেন- ধ্রুব হাসান

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ২৬ জুলাই ২০১৮

টুকরো খবর

‘ভাইজান এলো রে’ ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান অভিনীত ওপার বাংলার সিনেমা ‘ভাইজান এলো রে’। জয়দীপ মুখার্জি পরিচালিত এ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী ও পায়েল সরকার। এই ছবির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন বাংলাদেশের শাহেদ আলী, দীপা খন্দকার, মনিরা মিঠু এবং ভারতের রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, বিশ্বনাথ প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে কলকাতার এসকে মুভিজ, পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি। তাছাড়া দুই বছর ধরে শাকিব খান দেশের বাইরেও কাজ করছেন। প্রথম ছবি ‘শিকারি’ দিয়ে বাজিমাত করেন বাংলাদেশ আর ভারতের কলকাতায়। এরপর মুক্তি পেয়েছে ‘নবাব’ ও ‘চালবাজ’ ছবি দুটি। ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ভারতের কলকাতার ৮০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘ভাইজান এলো রে’। ছবিটি মুক্তির আগে শাকিবের পোস্টারে ছেয়ে যায় পুরো কলকাতা ও এর আশপাশ। এবারের ঈদে শাকিব খানকে পাল্লা দিতে হয় বলিউডের সামলান খানের ‘রেস ৩’ আর টলিগঞ্জের জিতের ‘সুলতান-দ্য স্যাভিয়ার’ ছবির সঙ্গে। ব্যবসায়িকভাবে সালমানের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও জিতের সঙ্গে শাকিবের লড়াইটা যে বেশ জমে ওঠে, তা জানিয়েছেন কলকাতার চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ। ঈদ-উল ফিতরে বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কলকাতার এসকে মুভিজের নতুন ছবি ‘ভাইজান এলো রে’-এর। পরে আদালতের হস্তক্ষপে ছবিটি মুক্তির তারিখে আসে পরিবর্তন। ঈদের মতো বড়ো উৎসবে ভিনদেশী সিনেমা প্রদর্শনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। ঈদ উৎসব শেষ হওয়ার পর এখন অবশ্য ছবি মুক্তিতে কোনো বাধা নেই। সম্প্রতি ‘ভাইজান এলো রে’ সেন্সরে জমা হয় এবং ছবিটি বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পায়। এসকে মুভিজের এ ছবিটি বাংলাদেশে আমদানি করেছে এন ইউ এন্টারপ্রাইজ। আগামী কাল ২৭ জুলাই বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ‘ভাইজান এলো রে’। ভক্ত উধাও! সেলেনা গোমেজ ২০০২ সালে অভিনয় দিয়েই তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর অভিনয়ের পাশাপাশিই সঙ্গীতও শুরু করেন। ২০০৯ সালে সেলেনা গোমেজ এ্যান্ড দ্য সিন ব্যান্ডের প্রথম স্টুডিও এ্যালবাম ‘কিস এ্যান্ড টেল’ বিলবোর্ড টপ টেনে স্থান পান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে দ্বিতীয় এ্যালবাম ‘আ ইয়ার উইদাউট রেইন’ বের হলে তা স্থান করে নেয় বিলবোর্ড টপ ফাইভে। তার পর থেকেই সঙ্গীতের ভুবন তার সফল পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক সময়ে এই জনপ্রিয় শিল্পী লাখ দশেক ভক্ত হারালেন। তবে সেসব আসল ভক্ত ছিল না। সম্প্রতি টুইটার কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৩ কোটি নকল টুইটার এ্যাকাউন্ট তাদের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলে। এর ফলে সেলেনার টুইটার এ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ ১০ লাখের বেশি অনুসারী (ফলোয়ার) কমে যায়। এ রকম ঘটনায় আক্রান্ত শুধু সেলেনাই হন নাই। সেলেনার পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পী ডেমি লোভাটো, নিক জোনাস ও বিয়ন্সেরও অনেক অনুসারী টুইটার থেকে গায়েব হয়ে গেছে। সাধারণত পছন্দের তারকার নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেই ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের অনুসরণ (ফলো) করে। কিন্তু অনেক অসাধু ব্যক্তি এই সুযোগের অপব্যবহার করে। ভুয়া এ্যাকাউন্ট খুলে তারকাদের অনুসরণ করে অনেককে ঠকাতে চায়। ভুয়া অনুসারীরা তারকাদের বিভিন্ন পোস্টের নিচে গিয়ে অনাকাক্সিক্ষত পণ্যের প্রচার করে। অনেক সময় স্প্যামও ছড়ায়। তাই টুইটারকে এসব ভুয়া এ্যাকাউন্ট থেকে ভারমুক্ত করতে দীর্ঘ ছাঁটাই-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এই ছাঁটাই-প্রক্রিয়াও যে তারকাদের খ্যাতিতে প্রভাব ফেলছে, তা ধীরে ধীরে জানা যাচ্ছে। আসছেন টেইলর সুইফট সময়টা ২০০৬ সাল টেইলর সুইফট তার প্রথম গান ‘টিম ম্যাকগ্র’ নিয়ে গানের ভুবনে প্রবেশ করেন, এরপর প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম একক এ্যালবাম টেইলর সুইফট যা রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি এ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা কর্তৃক প্যাটিনাম প্রত্যায়ন পায়। ২০০৮ এর নবেম্বরে টেইলর সুইফট তার দ্বিতীয় এ্যালবাম ফিয়ারলেস প্রকাশ করে। ২০০৮ এর শেষে ফিয়ারলেস ও টেইলর সুইফট এর বিক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ২.১ এবং ১.৫ মিলিয়ন। ফিয়ারলেস এ্যালবামটি বিলবোর্ড ২০০ চার্টে ১১ সপ্তাহ ধরে শীর্ষস্থান দখল করেছিল, যা কোন এ্যালবাম ২০০০ সালের পর পারেনি। আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিনের র‌্যাঙ্কিং এ সুইফটের অবস্থান ছিল ৬৯তম শক্তিমান তারকা যার আয়ের পরিমাণ ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে বিলবোর্ড সুইফটকে বর্ষসেরা শিল্পীর খেতাব প্রদান করে। ফিয়ারলেস ২০১০ সালের বর্ষসেরা এ্যালবাম হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কার অর্জন করে। এরপর আর তাকে পেছন ফেলে তাকাতে হয়নি। টেলর সুইফটের ভক্তরা কম বেশি সবাই জানেন যে তার বিড়াল পছন্দ। দু-দুটি পোষা বিড়াল আছে তাঁর। একটির নাম অলিভিয়া বেনসন, অন্যটির মেরিডিথ গ্রে। এবার বিড়ালকে ঘিরে একটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এমনকি একটি বিড়ালের চরিত্রেই দেখা যেতে পারে তাঁকে। এর আগে মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন টেলর সুইফট। দুটি সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। তবে সেই চরিত্রগুলো ছিল ছোট। তবে এবার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও বড় চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট এ্যান্ড থিয়েটার এবং আমেরিকার ব্রডওয়ের বিখ্যাত মঞ্চ মিউজিক্যাল ক্যাটস আসছে বড় পর্দায়। সেখানেই দেখা যাবে টেলর সুইফটকে। সঙ্গীত পরিচালক ও মিউজিক্যাল থিয়েটার প্রযোজক এ্যান্ড্রু লয়েড ওয়েবার ক্যাটস মিউজিক্যালটি মঞ্চে আনেন। এটি টিএস এলিয়টের একগুচ্ছ কবিতা অবলম্বনে তৈরি। ১৯৮১ সালে লন্ডনে এটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়। তবে ছবিটির নাম কী হবে, তা জানতে হলে টেইলর সুইফট ভক্ত দের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়। ছবিটি পরিচালনার ভার পড়েছে ব্রিটিশ পরিচালক টম হুপারের কাঁধে। দ্য কিংস স্পিচ ও লা মিজারেবলস-এর মতো ছবির পরিচালক তিনি। এ বছরের নবেম্বর মাসে ছবির শূটিং শুরু হওয়ার কথা আছে। দীর্ঘ আট বছর পর হলিউডের তারকা দম্পতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই আবারও সিনেমার পর্দায় একসঙ্গে হাজির হচ্ছেন। এই জুটিকে সবশেষ ২০১০ সালে মণিরতœমের ‘রাবণ’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। তারপর আর একসঙ্গে পর্দায় আসেননি। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও পর্দায় দেখা যাবে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়াকে। জি-নিউজ ও হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা গেছে, অনুরাগ কাশ্যপের নতুন সিনেমায় অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন জুটি হতে যাচ্ছেন। শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে প্রযোজনা সংস্থা থেকে। সিনেমায় অনুরাগকে পরিচালকের ভূমিকায় নয়, দেখা যাবে প্রযোজকের ভূমিকায়। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সরভেষ মারওয়া। সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে। অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনঅভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ঐশ্বরিয়া রাই এখন ‘ফানি খান’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে। আগামী ৩ আগস্ট ছবিটি মুক্তি পাবে। প্রায় ১৭ বছর পর এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরছেন ঐশ্বরিয়া-অনিল জুটি। অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনঅভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উমরাও জান’ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে গিয়ে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার মধ্যে। পরের বছরের শুরুর দিকে প্রিয়তমাকে সারা জীবনের সঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেন অভিষেক। তার বিয়ের প্রস্তাবে সানন্দেই ইতিবাচক সাড়া দেন ঐশ্বরিয়া। ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল হিন্দুরীতি অনুযায়ী অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। চার বছর পর তাদের একমাত্র মেয়ে আরাধ্য বচ্চনের জন্ম হয়। বলিউডের অন্যতম সুখী তারকা দম্পতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। বলিউডের তারকাদের মধ্যে সুখী দাম্পত্যের উদাহরণ খুব কমই আছে। পরকীয়া, মনের অমিল কিংবা আরও নানা তুচ্ছ কারণে তারকাদের বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিরল দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস আর ভালবাসায় ভর করে এগিয়ে চলেছে তাঁদের সুখী দাম্পত্য জীবন।
×