ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শূন্যের কোঠায়

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৬ জুলাই ২০১৮

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শূন্যের কোঠায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শুল্ক বৃদ্ধি করায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। চাল আমদানিতে নতুন করে এলসি খুলছেন না আমদানিকারকরা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার কৃষকের স্বার্থে এ উদ্যোগ নিলেও প্রকৃত পক্ষে লাভবান হচ্ছেন মিলার ও মজুদদাররা। কৃষকরা বলছেন, ধান ওঠার আগ মুহূর্তে এ ধরনের উদ্যোগ নিলে তারা লাভবান হবেন। দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার মধ্যে চাল অন্যতম। দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছর চাল আমদানিতে নামমাত্র শুল্ক নির্ধারণ করে সরকার। তবে সম্প্রতি কৃষক যাতে ফসলের সঠিক মূল্য পায় এ লক্ষ্যে চাল আমদানি শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এতে নতুন করে চাল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি একেবারে শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। আমদানিকারকরা বলছেন, আরোপিত শুল্কের কারণে ইতোমধ্যে লোকসানে পড়েছি। শুল্ক বসানোর কারণে মধ্যস্থাতরা লাভবান হচ্ছে। আমরা রফতানিকারকরা লাভবান হচ্ছি না। কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা কৃষক নয় বরাবরই মিলার, মজুদদার ও আমদানিকারকদের কাছ থেকেই চাল কিনে ব্যবসা করি। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে চালের দাম ২-৩ টাকা বাড়বে বলে আমরা মনে করি। এখন বাজার স্বাভাবিক আছে। কিন্তু পরে কি হবে বলতে পারছি না। কৃষকের স্বার্থে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হলেও তার সুফল পান না বলে দাবি করেছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমদানিকারক যে শুল্কারোপ করেছে তাতে আমাদের কোন লাভ হবে না। আড়তদার ও পুঁজিবাদীরা লাভবান হবে। গত ৭ জুন থেকে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত চালের ওপর বর্ধিত শুল্কারোপ শুরু করে। শুল্কারোপের আগে এ বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৫৬ হাজার টন চাল আমদানি হতো।
×