ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হারুন হাবীব

মত ও মন্তব্য ॥ বাঙালীর শক্তি সম্প্রীতির শক্তি

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৬ জুলাই ২০১৮

মত ও মন্তব্য ॥ বাঙালীর শক্তি সম্প্রীতির শক্তি

এই বঙ্গে সব ধর্মের, সব বর্ণ-গোত্রের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। সে কারণে সম্প্রীতির ঐতিহ্য প্রকৃতিগতভাবে লালিত এই মাটিতে। বাঙালীর ইতিহাসে যা কিছু মহৎ, যা কিছু বৃহৎ তার সবটাই এই সম্প্রীতির শক্তিতে গড়া; সম্প্রীতির এই শক্তি বাঙালীর সভ্যতা নির্মাণ করেছে, অগ্রসর হওয়ার শক্তি জুগিয়েছে। এ শক্তি কল্যাণের; একে যখনই দুর্বল করা হয়েছে তখনই অকল্যাণ এসে জুটেছে। অকল্যাণের এই অমানিশা যারা এনেছে তারা বিভেদের মানুষ। অবশ্য এমনটা সাক্ষ্য দেয় না ইতিহাস যে, এই বঙ্গভূমির মানুষ বিভাজিত হয়নি কখনও। স্বার্র্থান্বেষীরা সম্প্রীতির সহজাত বাঁধনে ফাটল ধরাতে মাঠে নেমেছে বহুবার, সফলও হয়েছে তারা কখনও। ফলে দূরত্ব বেড়েছে মানুষে মানুষে। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপারটা ঘটেছে রাষ্ট্রশক্তির হাতে, পরিকল্পিতভাবে। কিন্তু যে সম্প্রীতি বাংলার মাটির সহজাত, সে হার মানেনি। বাঙালী সঙ্গবদ্ধ হয়েছে, সার্থক প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে বিভাজনের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রশক্তির ধর্মনিরপেক্ষ নীতি যে কোন রাষ্ট্রের সম্প্রীতি লালনে বড় ভূমিকা রাখে। তবে রাষ্ট্রশক্তিই সব কথা নয়; এর বাইরেও যে সমাজশক্তি থাকে, এই চেতনার লালনে তাদেরও সমানভাবে এগিয়ে আসতে হয়। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিনির্মাণ হয়েছে বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তায়, অর্থাৎ সম্প্রীতির শক্তিতে; যা আমাদের জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি। কিন্তু এই ভিত্তিতে ফাটল ধরার চেষ্টা চলেছে বারংবার। যারা এই অপকর্মটি করার চেষ্টা করেন তারা সন্দেহাতীতভাবেই বিজাতীয় শক্তি। একে মোকাবেলা করা আমাদের সভ্যতার দাবি। মধ্যযুগে মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে প্রাচীন বঙ্গের প্রায় অর্ধেক মানুষ মুসলমান হয়ে যায়। এর মূল কারণ প্রাচীন বঙ্গের ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিপীড়ন। সুলতানি ও মুঘল আমল শেষে চেপে বসে প্রায় দু’শ’ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আধিপত্য; এই আধিপত্যে চালু করা হয় ‘ডিভাইড এ্যান্ড রুল’ নীতি, বিশেষত হিন্দুÑমুসলমানের হাতে ঘটা ১৮৭৯-এর মহাবিদ্রোহের পর। ব্রিটিশদের কল্যাণে আবারও হিন্দু-মুসলমানের বিভক্তি ঘটে ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন নিয়ে, ভেঙ্গে পড়ে ঐতিহ্য আরেক দফা। এরপর ঘটে ১৯৪৬ সালে ভয়াবহ কলকাতা দাঙ্গা। প্রবীণ জননেতা জ্যোতি বসু তার আত্মজীবনী ‘যতদূর মনে পরে’ তাতে উল্লেখ করেছেন, ‘১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট ভারতের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। এই দিনে শুরু হয় ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা। হিন্দু ও মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাবাদী গোষ্ঠীগুলো দাঙ্গা শুরু করে। কিন্তু দাঙ্গার প্রধান উস্কানিদাতা ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা।’ বলাইবাহুল্য, এই দাঙ্গার মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বাংলার হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সার্থকভাবে নতুন অবিশ্বাসের বীজ রোপণ করে; এতে সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয় চরম দক্ষিণপন্থী হিন্দু ও চরম দক্ষিণপন্থী মুসলমান দলগোষ্ঠীগুলোর জন্য। বলা যায়, ঠিক তখন থেকেই ধর্মীয় চরমপন্থীরা রাজনীতিতে আসন পোক্ত করার সুযোগ পায়। এরপর ঘটে ১৯৪৬-এর ভয়াবহ নোয়াখালী দাঙ্গা। মহাত্মা গান্ধী মনুষ্যত্বের আদর্শে মানুষকে ফিরিয়ে নিতে নোয়াখালীর গ্রামে-গ্রামে শান্তির বাণী নিয়ে ঘুরতে থাকেন। এরই মধ্যে বাধে বিহারের দাঙ্গা। গান্ধীজী চলে যান বিহারে। ১৯৪৭ সালে ঘটে পাঞ্জাবের ভয়ঙ্কর রক্তপাত। দাঙ্গা ঘটে ১৯৫০-এ ঢাকাসহ পূর্ববঙ্গের নানা অঞ্চলে। অর্থাৎ ভারত উপমহাদেশ ব্রিটিশের রাহুমুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াতে দুর্ভাগ্যজনক সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ বিভক্ত হয় ধর্মের নামে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ শেষে ভারতের শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় এক কোটি দেশত্যাগী মানুষ, মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান নির্বিশেষে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসে। ধ্বংস ও রক্তপাতের মধ্য থেকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ জেগে ওঠে। কিন্তু সে জেগে ওঠা স্থায়ী হয় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসন বা বিজাতীয় শাসন, সংবিধানে পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনীÑ ইত্যাদি অপকর্ম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে নতুন করে আতঙ্কে নিপতিত করে। ক্ষদ্র আদিবাসীসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিপন্ন করে। সাতচল্লিশের সাম্প্রদায়িক বিষ নতুন করে বাংলাদেশকে গ্রাস করতে থাকে। যে সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে কবর দিয়েছিলাম বলে আত্মতুষ্টি লাভ করেছি, সেই সাম্প্রদায়িকতা নতুন করে পাখা বিস্তার করে। জে. জিয়া, জে. এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সামরিক ও আধাÑসামরিক শাসন এবং বিএনপি-জামায়াতের জোটবদ্ধ শক্তি মূলত সাবেক মুসলিম লীগ সরকারের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনীতি, এমন কি জঙ্গী জিহাদী নীতি অনুসরণ করে; লাখো শহীদের আত্মত্যাগে কেনা বাংলাদেশ আরেক পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত হতে থাকে; ভূলুণ্ঠিত হয় মনুষ্যত্ববাদ, শুভবুদ্ধি এবং জেঁকে বসে উগ্র ধর্মবাদের রাজনীতি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দুর্ভাগ্য যে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কয়েক যুগের সাম্প্রদায়িক শাসন তার মেরুদ-ে আঘাত করে; ফলে বাঙালীর চিরায়ত সম্প্রীতির শক্তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। একশ্রেণীর তথাকথিত প্রগতিশীলরাও এ সময়ে সুবিধাবাদী ও ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী হয়। প্রগতিশীলতার দাবিদার হয়েও এরা ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িকতাকে পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষে পৃষ্ঠপোষকতা করে; একুশ এবং একাত্তরের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলবাদ জেঁকে বসে, যা সাতচলিশের মতো একশ্রেণীর দুর্বৃত্তের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। আমরা এমন এক সমাজে বসবাস করি যেখানে দুর্বলদের অধিকার রক্ষা করা কঠিন কাজ! এটি কেবল সংখ্যালঘু নয় সংখ্যাগুরুদের বেলাতেও প্রযোজ্য। এর মধ্যে আবার যুক্ত হয় আফগানিস্তান- পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ভয়ঙ্কর সব জঙ্গীতত্ত্বের বিষ, জিহাদী তত্ত্ব, যা আরেক সঙ্কটের সৃষ্টি করে। ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে চলে। সম্পত্তি দখল, ভয়-হুমকি-ধমকি, ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা অব্যাহত গতিতে চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনেকে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন, অনেকেই দেশান্তরিত হওয়ার মতো চরম কষ্টকর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। যে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দর্শন সাম্প্রদায়িক হয়, সে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল বা সংবেদনশীল হতে পারে না, সে রাষ্ট্র অবধারিতভাবেই পিছিয়ে পড়ে। বলাইবাহুল্য, জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামল থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার নব অভিযান শুরু হয়। ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ করে জেনারেল এরশাদ সাম্প্রদায়িকতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করেন। বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। মুক্তিযুদ্ধের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার শাসনামল সাহসী অবদান রাখে, যদিও রাষ্ট্র আজও সাংবিধানিকভাবে পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ হতে পেরেছেÑ বলা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক রাজনৈতিক শক্তির স্থায়িত্ব, একই সঙ্গে এক সাংস্কৃতিক নবজাগরণ, যা সময়ের জরুরী কাজ। স্বাধীনতার পর সকলেই আশা করেছিল বাংলাদেশ হবে আধুনিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু ১৯৭৫-এর পট-পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে অনেকটাই ‘পাকিস্তানী লিগেসির’ কাছে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মৌল চেতনাকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক, সমাজতন্ত্রী, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা বোধ কাটানো যায়নি। হয়ত প্রায় হতাশ হয়েই শ্রদ্ধেয় অন্নদাশঙ্কর রায় একবার বলেছিলেন, ‘মেজরিটির শুভবুদ্ধির কাছে সুবিচার প্রার্থনা করতে হবে ‘মাইনরিটি’কে। সমান মর্যাদা প্রার্থনা করতে হবে। না পেলে দেশ ত্যাগ করতে হবে।’ এক অর্থে হয়ত তাই। কিন্তু কোথায় যাবে আমাদের ‘মাইনরিটি’? কেনই বা যাবে? একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে, যে রাষ্ট্রের জন্য মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান একযোগে রক্ত দিয়েছে, সে রাষ্ট্রে কেন আত্মত্যাগের মূল্য থাকবে না? আমার বিশ্বাস, এ সত্যটি যত দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হয় যে, বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের কেউ নন, তারা এ দেশের মানুষ, এ দেশের নাগরিক, ততই এ রাষ্ট্রের মঙ্গল। বাংলাদেশ রাষ্ট্র আজ নতুন করে ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে। এ লড়াইয়ের মূল শক্তি সম্প্রীতির শক্তি। এ লড়াইকে এগিয়ে নেয়া বিকল্প নেই। কারণ স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির প্রতিপক্ষরা সম্মিলিত উদ্যোগে আগ্রাসন চালাচ্ছে। এ আগ্রাসনকে রুখতে সকল মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস চাই; সম্প্রীতির শক্তির পুনরাভিযান চাই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধÑখ্রীস্টানের পূর্ণ সম্প্রীতি চাই। বাংলাদেশ এমন এক রাষ্ট্র হোক যেখানে সবল বা বড়দের হাতে দুর্বল বা ছোটরা বিপন্ন হবে না; সব মানুষ, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার লাভ করবে। এই বাংলাদেশে আমরা সাতচল্লিশ, পঞ্চাশ বা একাত্তরের অমানবিক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাই না। মনে রাখা উচিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘু বা আদিবাসীদের মর্যাদা সংরক্ষণ সংখ্যাগুরুদের সম্মানিত করে, লাভবান করে, ক্ষতিগ্রস্ত করে না। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চেতনায় ফিরতে হবে; এর কোন বিকল্প নেই। এর বাস্তবায়ন হলেই কেবল ধর্মনিরপেক্ষ, শোষণহীন ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির যে কোন আঘাত প্রতিহত করতে হবে। নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা কখনই শুভ প্রবণতা নয়। এতে সামাজিক সাম্য ও সহনশীলতা যেমন বিনষ্ট হয়, একই সঙ্গে প্রতারিত হয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ধর্মের পবিত্রতাও। অতএব, এই দুষ্ট প্রবণতা থেকে সমাজকে মুক্তি দিতে হবে। এই মুক্তি কেবল সরকার একা দিতে পারে না, দিতে হয় সমাজকে, সকল সচেতন মানুষকে, দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় অহঙ্কার, সেই মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে সবল করা তাই আমাদের আরাধ্য কাজ। এর ব্যত্যয় ঘটলে বাংলাদেশের সমাজ বিপন্ন হবে; লুটেরা, লুম্পেন সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করবে, আধুনিক সমাজব্যবস্থা বিপন্ন হবে, বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে। বাংলাদেশ এমন এক রাষ্ট্র যার ভিত্তি সব ধর্ম, সব বর্ণ, সব গোত্রের মানুষের সম্প্রীতি, সম্প্রীতিই এর টিকে থাকার শক্তি। মনে রাখতে হবে, এই ভিত্তিকে যারা দুর্বল করতে চায় তারা কেবল এই রাষ্ট্রেরই প্রতিপক্ষ নয়, প্রতিপক্ষ সভ্যতা ও মনুষ্যত্বের। এসব কারণেই সংস্কৃতিসেবী, লেখক, শিক্ষাবিদ ও চিন্তাশীল কিছু মানুষের হাতে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামে যে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করেছে সম্প্রতি, আমি তার সাফল্য কামনা করি। -সান ফিচার সার্ভিস লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক [email protected]
×