ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে ভোটকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ৩১

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৬ জুলাই ২০১৮

পাকিস্তানে ভোটকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ৩১

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সাধারণ নির্বাচনের দিনে বুধবার পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশকর্মী ও দুটি শিশু রয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছে আরও ৩০ জন। আহতদের স্থানীয় সান্দেমান প্রাদেশিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের পর সেখানে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, কোয়েটার একটি ভোট কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করছিল ওই জঙ্গী। তাকে বাধা দেয়ার সময়ই পুলিশভ্যানের কাছে এসে নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় সে। যদিও একটি গ্রেনেড সে ফাটাতে পারেনি। বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড এসে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। নয়ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত বলে জানিয়েছে কোয়েটা পুলিশ। খবর বিবিসি অনলাইন ও ইয়াহুনিউজের। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজী সংবাদ মাধ্যম ডন জানিয়েছে, বুধবার সকালে সারাদেশে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে কোয়েটার ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় একটি পুলিশভ্যান লক্ষ্য করে ওই বোমা হামলা চালানো হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি কেউ। এ দিকে এএফপির খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কোয়েটা নগরীর এক ভোটকেন্দ্রের কাছে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত এবং অপর ৩৫ জন আহত হয়েছে। কোয়েটার স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা হাশিম গিলজাই বলেন, হামলাকারী ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল। পুলিশ তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সে বিস্ফোরণ ঘটায়। অন্যদিকে, কোয়েটা সিভিল হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় আহত ২০ জন তাদের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকরাও আছেন। কোয়েটা পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহসিন বাট বলেছেন, এ ঘটনা আত্মঘাতী হামলা বলেই তাদের মনে হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে সেখানে তদন্ত শুরু করেছে। হাশিম গাজী নামে স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলাকারী ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইছিল। পুলিশ তাকে ঠেকাতে গেলে সে নিজের শরীরে থাকা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটায়।’ কোয়েটার ওই আসনটি নির্বাচনের আগে থেকেই স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। সেখানে একটি স্কুলে ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই বাইরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। পাকিস্তানের টেলিভিশনগুলোর প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছেন। ডন জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি কেউ। বিস্ফোরণের পর কোয়েটা সিভিল হাসপাতাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বুধবার পাকিস্তানজুড়ে ২৭২টি আসনের সংসদ সদস্য ঠিক করতে ভোটগ্রহণ চলছে। সহিংসতা ও সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় ভোট কেন্দ্রগুলোর আশপাশে সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা ছিল। তার মধ্যেই এ বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটল। গত জুলাইয়ে এ নির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকে সহিংসতা ও জঙ্গী হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
×