ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রঙিন এক্স-রে উদ্ভাবন

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৬ জুলাই ২০১৮

রঙিন এক্স-রে উদ্ভাবন

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম উদ্ভাবন ছিল এক্স-রে। আর এক্স-রে বলতেই মাথায় আসে সাদাকালো একটি ছবির কথা। তবে এবার ত্রিমাত্রিক (থ্রি-ডি) রঙিন এক্স-রে উদ্ভাবন করে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেল চিকিৎসা বিজ্ঞান। প্রায় ২০ বছরের অক্লান্ত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এ সাফল্য পেয়েছেন। এ উদ্ভাবন চিকিৎসা বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পদার্থবিদ্যা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-সার্ন। গবেষকদের মতে, এটি ইমেজিং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি আরও স্পষ্ট ও নির্ভুল হবে। কারণ, এই পদ্ধতিতে শরীরের কোষ, কলা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া সম্ভব হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, বর্তমান এক্স-রে পদ্ধতিতে সাদাকালো ছবি ওঠায় অনেক সময়ই শরীরের ভিতরের প্রদাহ, রক্তজমা বা অস্বাভাবিক কোন রং চোখে ধরা পড়ত না। রঙিন এক্স-রে প্লেট হলে রোগ নির্ণয়ে অনেকটাই সুবিধা হবে। সার্ন জানায়, নতুন প্রযুক্তির এই এক্স-রেটি অনেকটা ক্যামেরার মতো কাজ করে। এর ইমেজ খুবই স্বচ্ছ দেখা যায় যাতে হাড় এবং মাংসের মধ্যকার পার্থক্য বুঝা যায়। এতে ক্যানসার এবং টিউমারে আকার ও অবস্থান সহজেই শনাক্ত করা যাবে।-ওয়েবসাইট
×