ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গড়িমসির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৫ জুলাই ২০১৮

ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গড়িমসির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই জনপদের মানুষের সঙ্গে ‘সাপ-লুডু’ খেলছে। অর্থাৎ টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বা জোয়ারাধারা প্রকল্প গ্রহণ এবং পর মুহূর্তে তা নস্যাৎও করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় যশোর শহরের ভোলা ট্যাঙ্ক রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব উৎকণ্ঠার কথা বলেন। তারা অভিযোগ করেন, গত বছরের ১৬ মার্চ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের উপস্থিতিতে জাতীয় কর্মশালায় বিলকপালিয়ায় টিআরএম ও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিলে টিআরএম চালুর প্রকল্প গৃহীত হয়। কিন্তু টিআরএম প্রকল্পের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিয়ে থোক বরাদ্দে পাইলট চ্যানেল করে পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং অর্থ লোপাটের ও নদী মারার একটা রাস্তা করা হয়। ফলে, ভবদহ স্লুইসগেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার নদী বারোআউড়িয়া মোহনা পর্যন্ত ভরাট হতে থাকে। ২০১৮ সালের মাঘীপূর্ণিমার পূর্বে বিলকপালিয়া টিআরএম প্রস্তাবনা অনিশ্চয়তাই শুধু নয় বাতিল করার নানা ফন্দি-ফিকিরও করা হয়। এ পরিস্থিতিতে ভবদহ-যশোর পদযাত্রা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাতআরা সাদেক ও উর্ধতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সভায় বিলকপালিয়ায় টিআরএম, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সুনির্দিষ্ট বিলে টিআরএম ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আমডাঙ্গা খাল সংস্কারসহ প্রকল্প প্রস্তাব গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প প্রস্তাব করে। বলা হয়, ‘কোন রহস্যজনক কারণে সেই প্রকল্প মন্ত্রীর দফতরে ফাইলবন্দী হয়ে পড়ে আছে তা আমাদের জানা নেই। উপেক্ষা করা হয়েছে প্রায় দুইশ গ্রামের দশ লাখ মানুষ ও জনপদের শত শত কোটি টাকার ফসল, সম্পদহানি ও মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কাকে।
×