ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাই নদীতে ভাঙ্গন শুরু ॥ হুমকির মুখে সড়ক জমি

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৫ জুলাই ২০১৮

ঝিনাই নদীতে ভাঙ্গন শুরু ॥ হুমকির মুখে সড়ক জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২৪ জুলাই ॥ ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদীতে বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। অব্যাহত ভাঙ্গনে পাকা রাস্তা, ফসলি জমি, দুইটি ব্যবসা কেন্দ্র ও দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মধ্যে পড়েছে। এদিকে ঝিনাই নদীর (স্থানীয় নাম বউমরা) ভাঙ্গনে কুর্নি-ফতেপুর পাকা রাস্তার বইলানপুর এবং হিলড়া এলাকায় রাস্তার বিপুল অংশ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া, হিলড়া বাজার, বইলানপুর, সুতানড়ী, বানকাটা, পারদীঘি, চাকলেশ্বর ও ফতেপুর গ্রামে নদীর ভাঙ্গনে পাকা রাস্তা, ব্যবসা কেন্দ্র ও বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে হাট ফতেপুর বাজার ও হিলড়া বাজারের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। অন্যদিকে গত দুই দিনের অব্যাহত ভাঙ্গনে কুর্নি-ফতেপুর পাকা রাস্তার হিলড়া বাজার ও বইলান এলাকায় রাস্তার বিপুল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে ফতেপুর ও মহেড়া ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। ঝিনাই নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও হিলড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনে সুতানড়ী, বানকাটা ও থলপাড়া গ্রামের বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে বলে ওই এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন। সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সদর উপজেলা চরবাড়িয়া ইউনিয়নের রাঢ়ী মহল এলাকার একভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে গিয়ে দুই শ্রমিক মারা গেছে। এ সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও এক শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে। পুলিশ জানায়, সকালে ওই এলাকার মাহতাব হোসেন লিটনের ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কের কাজ করতে নামে চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা হারুন-অর রশিদ (৪০), নাছির হাওলাদার (৩৯) ও সায়েস্তাবাদ এলাকার রাকিব হোসেন (২৫)। ওই ট্যাঙ্কের মধ্যে প্রথমে হারুন ও রাকিব নামে। দীর্ঘক্ষণ তাদের কোন সাড়া না পেয়ে শ্রমিক নাছির ট্যাঙ্কের ভেতরে নেমে মুমূর্ষু অবস্থায় হারুন ও রাকিবকে উদ্ধার করে নিজেও (নাছির) অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা তিন শ্রমিককে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুন ও রাকিবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর শ্রমিক নাছিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
×