ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে মন্দির ও শ্মশানের জায়গা দখলের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৪ জুলাই ২০১৮

যশোরে মন্দির ও শ্মশানের জায়গা দখলের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সোমবার দুপুরে মহাকালঘাট শ্মশান মন্দির কমিটির আয়োজনে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন স্থানীয় জনগণ। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, দুই শত বছরের পুরাতন মন্দির ও শ্মশানঘাট-এর ভূমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে ওই এলাকার ফজলুল হকের পরিবার। ওই পরিবারের মালিক ফজলুল হক ১৯৭৭ সালে জমিটি জালিয়াতি করে নিজের নামে করে নেয়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানার পর তারা আদালতে এর বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় এলাকাবাসী জিতে যায়। ইতোমধ্যে ফজলুল হক মারা গেলে পরবর্তীতে তার পরিবারের সদস্যরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করে। আদালত যেন বিষয়টি বিবেচনা করে এলাবাসীর পক্ষে রায় দেন এমনটাই দাবি করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মহাকালহাট শ্মশান মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী নিমাই দত্ত, নওয়াপাড়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ব্যবসায়ী শফি কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক মোল্লা। বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, নগরীর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার শতবছরের প্রাচীন দুর্গা মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষার দাবিতে সোমবার সকালে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সদর উপজেলাধীন বগুড়া আলেকান্দা মৌজার ৯.৯ শতক দেবোত্তর ভূমি শ্রী শ্রী দুর্গামাতা ঠাকুরানীর নামে দান করা হয়। মন্দিরের সেবাইত হিসেবে হেমশঙ্কর বিশ্বাসকে নিযুক্ত করা হয়। কৌশলে সেবাইত হেমশঙ্কর বিশ্বাস আরএস খতিয়ানে উল্লিখিত দেবোত্তর ভূমিকে দখলসূত্রে দাবি করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নতুন এসএ খতিয়ান সৃষ্টি করে তার স্ত্রী বাসন্তী বিশ্বাসকে দান করেন। দেবোত্তর সম্পত্তি আইনে যা সম্পূর্ণ বে-আইনী। বক্তারা আরও বলেন, ওই ভিত্তিহীন দলিল ও কাগজপত্রের মাধ্যমে অতিসম্প্রতি বাসন্তী বিশ্বাস মহিউদ্দিন নামের এক প্রবাসীর কাছে মন্দিরের দেবোত্তর ভূমি থেকে ৭.৫ শতক বিক্রি করে আত্মগোপন করেন। বক্তারা দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সমাবেশে দাশগুপ্ত আশীষ কুমারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নিরঞ্জন মিস্ত্রি, আকুল কৃষ্ণ পাল, মুকুল কর্মকার, অপূর্ব অপু প্রমুখ।
×