ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুড়িগ্রামে খরার কবলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে আমন চারা

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৪ জুলাই ২০১৮

কুড়িগ্রামে খরার কবলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে আমন চারা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির দেখা নেই কুড়িগ্রামে। শ্রাবণের ভরা বর্ষায় তীব্র খরার দাপটে আমন আবাদ পড়েছে হুমকির মুখে। আমন রোপণের ব্যস্ত সময়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় অলস সময় কাটানো কৃষকের দুশ্চিন্তা এখন চারা রক্ষা নিয়ে। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে চারার বয়স বাড়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমন চারা। ফলে স্বল্প সময়ে নতুন করে বীজতলা তৈরি করে চারা রোপণ করা নিয়ে দুর্ভাবনায় কৃষককুল। বিশেষ করে ক্ষুদ্র কৃষক ও বর্গাচাষীরা এবার আমন আবাদ নিয়ে পড়েছেন সংশয়ে। কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন রোপণের ভরা মৌসুমে বিস্তৃর্ণ আবাদি জমি খালি পড়ে আছে। অপেক্ষা এলাকা সরলা বিল শুকিয়ে গেছে। শুকনো খা খা করছে জমি। রাজারহাট উপজেলার দেবালয় গ্রামের কৃষক মোঃ শাহআলম জানান, আমনের রোপণের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আগাছা পঁচানোর জন্য এক একর জমিতে এক দফা চাষ দিয়ে অপেক্ষা করেছেন বৃষ্টির। কিন্তু বৃষ্টি নামছে না। বরং জমি শুকিয়ে নতুন করে আগাছা জন্মেছে। এ অবস্থায় রোপণ বিলম্বিত হওয়ার পাশপাশি নষ্ট হচ্ছে বীজতলা। একই গ্রামের কৃষক আমিন মিয়া জানান, আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ থেকে শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা তাতে নতুন করে জাবর (আগাছা পচানোর জন্য চাষ) দিয়ে চারা রোপণ করতে অনেক সময় পেরিয়ে যাবে। তাতে ধানের আবাদ হলেও ফলন যাবে কমে। কৃষক সম্বারু রায় ও মোজাফ্ফর মিয়া জানান, আমন মৌসুম বৃষ্টির পানি নির্ভর। তাই সেচের দরকার হয়না বলে সেচ নালা থাকে না। আর বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফরমারও খুলে নিয়ে যায় বিদ্যুত সরবারহকারী কর্তৃপক্ষ। তাই বর্তমানে সেচের মাধ্যমে চারা রোপণ এখন কঠিন হয়ে গেছে। অপরদিকে কয়েকজন কৃষক জানান, তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় বীজতলায় চারার পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। বর্গাচাষী রহিম মিয়া বীজতলার পাশে দাঁড়িয়ে চিন্তিত মনে দেখছিলেন বীজতলা। তিনি জানান, এই বীজতলা নষ্ট হলেও তারপক্ষে নতুন করে বীজতলা তৈরি করে আবাদ করা কঠিন হবে। তাতে ব্যয় বাড়লেও কমবে ফলন।
×