ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নানা আয়োজনে জন্মদিনে তাজউদ্দীনকে শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৪ জুলাই ২০১৮

নানা আয়োজনে জন্মদিনে তাজউদ্দীনকে শ্রদ্ধা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনন্য এক চরিত্র তাজউদ্দীন আহমদ। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় রয়েছে তার অনন্য ভূমিকা। পাকবাহিনীর হাতে বঙ্গবন্ধুর বন্দীদশায় তার সুচারু নেতৃত্বে কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কীর্তিমান এই মানুষটির ৯৩তম জন্মবার্ষিকী ছিল সোমবার। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সেই জন্মদিনটি উদযাপিত হলো শ্রদ্ধা আর অকৃত্রিম ভালবাসায়। গণমনস্ক এই নেতার জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। সোমবার বৃষ্টিঝরা বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘তাজউদ্দীন আহমদ : কর্ম ও জীবন’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সাজানো আয়োজনে ছিল তাজউদ্দীনকে নিবেদিত আলোচনা। আলোচনা সভায় মূল বক্তা ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। সূচনা বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীদের মেয়ে ও সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একটি ভাষণ শোনানো হয়। এছাড়া তাজউদ্দীনের উল্লেখযোগ্য কিছু ভাষণের খ- খ- অংশ পাঠ করে শোনান আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন নায়ক যিনি তার অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার ছিল প্রগাঢ় বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা। পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদসহ চার নেতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ গন্তব্যহীন হয়ে পড়ে। দেশ এখন আবারও বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের কাক্সিক্ষত গন্তব্য ফিরে পেয়েছে। ডাঃ সারওয়ার আলী বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ অনন্য এক সংগঠক। এমন নিরহঙ্কারী, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ এ অঞ্চলের আর কোন দেশ এ যাবতকালে আর পায়নি। মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের দায়িত্ব, প্রশাসনিক ভিত্তি প্রদান, মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করাÑ তাজউদ্দীন আহমদের অনন্য কীর্তি। প্রদর্শনীতে তাজউদ্দীন আহমদের বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনের নানা সময়ের ছবি স্থান পেয়েছে। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের এতিহাসিক বিভিন্ন সিদ্ধান্তের স্মারক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীটি চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। দ্রৌপদী পরম্পরা নাটকের পঞ্চম মঞ্চায়ন ॥ পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা যেন চিরকালীন নির্যাতিতা। সেই নির্যাতিতা নারীর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরটি হয়ে উঠলো পৌরাণিক চরিত্র দ্রৌপদী। নাটকের আশ্রয়ে সমকালের আয়নায় রূপায়ণ ঘটে প্রাচীন আমলের দ্রৌপদীর। তাকে উপজীব্য করে উচ্চারিত হয় নারীর দীর্ঘশ্বাসমাখা অপ্রিয় সত্য কথন। মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্রটিকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে থিয়েটারের নতুন নাটক দ্রৌপদী পরম্পরা। দলের ৪০তম প্রযোজনাটির রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রবীর দত্ত। সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটকটির পঞ্চম মঞ্চায়ন হয়।
×