ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণকে ধনকুবের বানিয়ে দিল কুকুর

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৪ জুলাই ২০১৮

তরুণকে ধনকুবের বানিয়ে দিল কুকুর

চীনের রাজধানী বেজিংয়ের কাছে এক পরিত্যক্ত বাড়ি। আশপাশে কেউ ঘেঁষতও না এত দিন। সেখানেই এখন বিশাল ম্যানসন। মে মাস থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে প্রাসাদটি। দু’ একর জমিতে রয়েছে অতিথিশালা, স্পা, ইন্ডোর পুল ও ট্রাম্পোলিন। আরও রয়েছে পার্টি রুম। চকবোর্ড ওয়ালও রয়েছে আঁকিবুকির জন্য। আর আছে সাইলারের দুটি ভাস্কর্র্য। সাইলার কে জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই! পাঁচ লাখ ডলারের বাড়িতে যে থাকে, সে নিশ্চয়ই বিশেষ কেউ। সাইলার আসলে কুকুর। চীনে যাকে বলা হচ্ছে ‘কালচারাল অবসেশন’। ‘ওর জন্যই আমার সব কিছু। ও আসার আগে আমার কিছুই ছিল না’ বললেন সাইলারের মালিক বছর একত্রিশের ঝৌ তিয়াংশিয়াও। বেজিং শহরের চারপাশে কান পাতলেই সাইলারের নাম শোনা যাচ্ছে। সে যে ‘সেলেব্রিটি এ্যানিম্যাল।’ সাইলার আর ঝৌ-এর গল্পটা কিন্তু একদম ফিল্মের মতোই। দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাও সেতুংয়ের আমলে সারমেয় নিয়ে নানারকম বিধিনিষেধ ছিল। তবে পরবর্তীতে তা শিথিল হয়। চার বছর আগে পর্যন্ত স্কুলছুট ঝৌ দাদির সঙ্গে থাকতেন আর ভিডিও গেমস খেলে দিন কাটাতেন। কোন রকমে খাওয়াটুকু জুটত তাদের। এমন সময় তার বন্ধু পোষ্য কেনার কথা বলেন। ঝৌ খুব সস্তায় একটি কুকুরছানা কেনেন। প্রিয় শো-র সুপারহিরোর চরিত্র থেকে ঝৌ তার পোষ্যের নাম দেয় সাইলার। আসলে সাইলার তার কাছে, ‘লাভ এ্যাট ফার্স্ট সাইট’। সাইলার তো মানুষের মতোই হাঁটে। হাই ফাইভের মানে জানে। টেবিলের ওপর বালিশ মাথায় ঘুমাতে যায়। আর এই সবই ইউটিউব ভিডিও দেখে ঝৌ শিখিয়েছিলেন সাইলারকে। শিখিয়েছিলেন লেডি গাগার গানের সঙ্গে নাচতেও। সাইলারের এই ভিডিও শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই সাদা-কালো রঙের মিশেলের এই প্রাণীটি সবার মন জয় করে নিয়েছে। সাইলারের আট লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে ঝৌয়ের। ভিডিও প্রতি মিলতে থাকে টাকা। আর ভিডিও থেকে প্রাপ্ত টাকা জমিয়েই সাইলারের জন্য ওই পরিত্যক্ত বাড়িটি বছর দু’য়েক আগে কেনে ঝৌ। শুরু হয় তার মেকওভার। পোষ্যদের জন্য বিশেষ খাবার আর খেলনার ই-কমার্স সাইটও খুলে ফেলে। ফুলে ফেঁপে ওঠে ব্যবসা। এই ম্যানসনেই তার পোষ্যদের জন্য পার্লার ও স্পা রয়েছে। যেখানে সারমেয়রা অয়েল ম্যাসাজও করতে পারে ৪০০ ডলারের বিনিময়ে। রয়েছে ২৬ ডলারে পোষ্যদের মেডিসিনাল স্পা-এর ব্যবস্থাও। এ ভাবে দু’বেলা ঠিকমতো খেতে না পাওয়া ঝৌ এখন ধনকুবের ব্যবসায়ী।-ওয়েবসাইট
×