ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৪ জুলাই ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

এবারের অবাক শ্রাবণ নিয়ে আষাঢ় বিদায় নেবার সঙ্গে সঙ্গেই দু’কলম লিখেছি। তখনও ভাবিনি যে তাপমাত্রা রেকর্ড করে ফেলবে, আর্দ্রতাও মাত্রাছাড়া হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকাবাসীর জন্য ভাগ্যের বৃহস্পতি তুঙ্গে ছিল না। সেদিনই বছরের সেরা গরম পড়েছিল ঢাকায়। মাপন যন্ত্রে ৩৭.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও অনুভূত হয়েছে তার চেয়েও বেশি। এর কারণ ওই আর্দ্রতা। প্রায় একই সময়ে জাপানে ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রা উঠেছে, উল্লেখ করার মতো অনেক মানুষও মারা গেছেন। ঢাকায় মানুষ (এবং পশুপাখিও) নিদারুণ কষ্ট পেলেও মারা যাওয়ার খবর পাইনি। শুক্রবার থেকে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে। তবে ঢাকা এখন এত বড় শহরে পরিণত হয়েছে যে তার উত্তর পাশে শ্রাবণধারা বয়ে গেলেও দক্ষিণের কোন এলাকা শুকনো খটখটে থাকতে পারে। গুলশান-বারিধারায় বৃষ্টি নামার খবর পেয়ে তাই ধানম-িবাসী আক্ষেপ করেন, আমরা কী দোষ করলাম। আমাদের এখানে বৃষ্টি বেড়াতে আসে না কেন! আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাসে জলীয় বাষ্প গরম বেশি-কম লাগার মূল কারণ। বৈশাখ থেকে জ্যেষ্ঠ মাসে বাংলাদেশে কখনও কখনও কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তারও বেশি পর্যন্ত উঠে যায়। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকায় মানুষের শরীর থেকে ঘাম কম বের হয়। শরৎকালে অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিনে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। তারপরও বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় গরম বেশি অনুভূত হয়। তাই অস্বস্তি বেড়ে যায়। এখন দেখছি শ্রাবণেই চলছে গরমে হাঁসফাঁস দশা। যানজটে সময়ের সদ্ব্যবহার একুশের বইমেলা শুরুর আগেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর জেনেছিলাম। পাঠকের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গিয়েও করিনি, ভেবেছিলাম দেখি আরও কিছুদিন। শেষ পর্যন্ত এটি টেকে কিনা। বাসযাত্রীরাও ইতিবাচক সাড়া দেয় কিনা। ছ’মাস পর দেখছি, নাহ, উদ্যোক্তারা পিছু হটেননি, আর যাত্রীদের কেউ কেউ যাত্রাপথে হাতে তুলে নিচ্ছেন বই। তাই বিষয়টির অবতারণা। যানজটে সময়ের সদ্ব্যবহার হতে পারে বই পড়া। গণপরিবহনে হাতে বই নিয়ে খুব কম যাত্রীকেই উঠতে দেখি। তাই বিরক্ত বিব্রত হয়ে যানজটে বসে থেকে যখন চোখের সামনে মেলে ধরি বই, তখন নিজেকে নিঃসঙ্গই লাগে। তবে লোকে খবরের কাগজ পড়েন চলতি পথে। সে যাক। বইমেলা শুরুর আগে-আগে কাগজে একটা খবর পড়ে চমকে উঠি। যাত্রীবাহী বাসে ‘পরিবহন পাঠাগার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজধানীতে যানজটে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এটি বিশ্বব্যাংকের গবেষণার তথ্য। যাত্রীদের দিনের একটা বড় সময় কাটে যানজটে অলস বসে। এ সময় কেউ ব্যস্ত থাকেন স্মার্টফোনে, কেউবা খানিক ঝিমিয়ে নেন। যানজটে বসে বিরক্ত যাত্রীদের সময় কাটাতে ভাল অনুষঙ্গ হতে পারে বই। বাসে বসে বই পড়ার সেই সুযোগ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সোশ্যাল চেইন ফর ডেভেলপমেন্ট (এসসিডি) নামের একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি চালু করেছে ‘বইবন্ধু’ শীর্ষক একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর থেকে আজিমপুর পথে চলাচলকারী ভিআইপি পরিবহনের বাসগুলোতে বই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইবন্ধু পরিবহন পাঠাগারের মাধ্যমে বাসের যাত্রীরা পাবেন বিনা মূল্যে বই পড়ার সুযোগ। এই পাঠাগারের স্লোগান ‘বই প্রাণকে করে শাশ্বত আর মনকে করে উন্নত’। প্রাথমিকভাবে ভিআইপি পরিবহনের ২০টি বাসে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে; মানে তাক বানিয়ে বই রাখা হয়েছে। মনে পড়ছে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বইবন্ধু পরিবহন পাঠাগারের উদ্বোধন করেন একজন কবি। অবশ্য তিনি সংসদ সদস্যও, তিনি হলেন কাজী রোজী। বইপ্রেমী ও আবেগপ্রবণ একজন মানুষ। যোগ্য লোকই এই অভিনব কার্যক্রমের উদ্বোধক। উদ্বোধনকালে তিনি বলেছিলেন, বই হলো মনের উদ্যান, সেই উদ্যানে প্রবেশ করতে হবে। এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের মানসিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। হাতের নাগালে মাদক! নবগঠিত হাতিরঝিল থানার কথা লিখেছি থানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করার পরপরই। কিন্তু লেখা হয়নি এই এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসার কথা। একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পড়ে হতবাক হয়ে যাই। এ থানা এলাকার পশ্চিম রামপুরা, মধুবাগ, পেয়ারাবাগ, আমতলা, টিঅ্যান্ডটি কলোনি, ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে জেনেছেন, এসব এলাকা এখন মাদক কারবারিদের দখলে। ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে হেরোইন এবং পেথিড্রিনও। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এসব মাদক গ্রহণ করছে। এসব এলাকায় অন্তত ২০০ মাদক কারবারি তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং প্রশাসনের যোগাযোগ আছে বলে অনেকেরই অভিযোগ। এদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় রয়েছে প্রায় ৫০ জন। তাদেরই একজন মগবাজার টিএ্যান্ডটি কলোনি এলাকায় সক্রিয়। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অন্তত ২০ জন খুচরা বিক্রেতা। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করেই সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার অপর একজন মাদক ব্যবসায়ী স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন খুচরা বিক্রেতা। এলাকায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও পাওয়া গেছে। তিন মাসে আগে ২০০ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করেছিল পুলিশ। জামিন নিয়ে আগের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বহাল তবিয়তে। আরেক মাদক কারবারি বছরখানেক আগে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেল খেটেছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে বর্তমানে ফের চালিয়ে যাচ্ছে মাদক বাণিজ্য। এছাড়া খুচরা মাদক কারবারি হিসেবে ন্যূনতম ২৫ জনের নাম শোনা গেছে। মধুবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালানো হলেও বড় মাদক কারবারিরা এখনও ধরা পড়েনি। এলাকার অনেকের বিশ্বাস, শীর্ষ মাদক কারবারিরা বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বহাল তবিয়তে আছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের অভিযানের আগেই শীর্ষ মাদক কারবারিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে সম্প্রতি হাতিরঝিল থানা গঠিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি এসেছে। হাতিরঝিল থানার ওসি গণমাধ্যমের কাছে আশাবাদী কথাবার্তা বলেছেন। আমরা তার সদিচ্ছার প্রতিফলন দেখার আশায় রইলাম। মহানগরের সুন্দর একটি বেড়ানোর জায়গায় অসুন্দর কোন কিছুই যেন শেকড় গেড়ে বসতে না পারে। ইংরেজী আয়েশামঙ্গল কবি ও ঔপন্যাসিক আনিসুল হকের আয়শামঙ্গল উপন্যাসটির ইংরেজী অনুবাদ দ্য ব্যালাড অব আয়শা প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকা থেকে (প্রকাশক হার্পার কলিন্স)। অনুবাদ করেছেন লেখক ইনাম আহমেদ। ঢাকায় তারই মোড়ক উন্মোচন হলো শুক্রবার সাড়ম্বরে। বাতিঘর ঢাকা ও হার্পার কলিন্সের যৌথ আয়োজনে গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কবি কামাল চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপন্যাসটির লেখক আনিসুল হক। আকর্ষণীয় ছিল সে অনুষ্ঠান, বক্তারাও ছিলেন সুপরিচিত গুণীজন। এমন মাহেন্দ্রক্ষণে আমার মনে পড়ছিল শওকত ভাই, মানে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের কথা। রীতিমতো তাঁর উচ্ছ্বসিত উচ্চারণ কানে শুনছিলাম যেনÑ মারুফ, জননী শব্দটা আমি ইংরেজী ভাষায় যুক্ত করে দিলাম! ‘জননী’ নামে তাঁর উপন্যাসটির ইংরেজী নামও জননীই ছিল। ফলে ভিনদেশী পাঠক বিশ্বের যে কোন দেশের নাগরিকের জীবনের সবচেয়ে মধুরতম শব্দ মম, মাদার বা মায়ের আরেকটি প্রতিশব্দ ওই উপন্যাসের সুবাদে মুফতেই জেনে যাবে। উপন্যাসটির অনুবাদক ওসমান জামাল কিছুকাল আগে প্রয়াত হয়েছেন। দুই ওসমানের সান্নিধ্যে জননী উপন্যাসটি নিয়ে আলাপচারিতার দুর্লভ এক সুযোগ ঘটেছিল আমার। সে যাক, আমাদের ভাষায় আমরা বিশ্বের প্রধান প্রধান অনেক উপন্যাসই বাংলায় অনুবাদ করে ফেলেছি। কিন্তু আমাদের লেখকদের হাতে গোনা কয়খানা মাত্র উপন্যাস ইংরেজীতে অনূদিত হয়েছে। তাই পাঠকপ্রিয় লেখক আনিসুল হকের উপন্যাস অনূদিত হলে আমাদের ভালো লাগে। জননী-র অনুবাদ হয়েছিল মধ্যনব্বুইয়ে। এরপর প্রায় আড়াই দশকে পাঁচ-সাতখানা উৎকৃষ্ট উপন্যাসও অনূদিত হলো না। তাহলে আমাদের কথাসাহিত্য বহির্বিশ্বে পৌঁছুবে কেমন করে? আয়েশামঙ্গল অনূদিত হলো কুড়ি বছর পর। আমাদের সাহিত্যে অনুবাদের প্রাসঙ্গিকতা ও জরুরী কর্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন ওই অনুষ্ঠানের মূল আলোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি নিজেও একজন কথাসাহিত্যিক। তিনি বললেন, ‘পশ্চিমের সঙ্গে যদি আমাদের সাহিত্যের তুলনা করি তাহলে আমাদের লেখকরা তাঁদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আমাদের সাহিত্যকে আমরা তাঁদের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। পশ্চিমারা বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি দিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বিশ্বে জায়গা করে নিচ্ছে। আনিসুল হকের উপন্যাসের ইংরেজী অনুবাদ দিয়ে বিশ্বসাহিত্যে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করছে।’ আমার মনে হয়, আয়শামঙ্গল অনুবাদের কাজটি তো হলো। বিদেশী পাঠকদের এটি পড়াতে হলে নিউইয়র্ক টাইমস বা প্যারিস রিভিউয়ের মতো পত্রিকায় গ্রন্থালোচনা প্রকাশেরও উদ্যোগ নিতে হবে। বিচিত্র শিল্পসৃষ্টি বুধবার গিয়েছিলাম শিল্পকলা একাডেমীতে। সেখানে দুটো ফ্লোরজুড়ে চলছে নবীন শিল্পীদের শিল্প প্রদর্শনী। সত্যিই দেখার মতো। কত বিচিত্র উপায়ে বিবিধ আঙ্গিকে তরুণরা শিল্পচর্চা করেছেন। আগের চাইতে এখনকার তরুণ শিল্পীরা সময়কে অনুধাবন করার বেলায় বেশ সমাজসজ্ঞান। শিল্পী সংবেদনশীল হবেন, এ তো জানা কথাই। কিন্তু সময়ের বয়ান যখন তার শিল্পকর্মে বিশেষ মাত্রা নিয়ে উপস্থিত হয়, তখন সেই ছবি বা ভাস্কর্য আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। এবারের নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীটি হচ্ছে একুশতম। সেই পঁচাত্তরে এই ধারার সূচনা। এ বছর প্রদর্শনী উপলক্ষে ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নবীন ৭৮৭জন শিল্পীর ১৯৭৬টি শিল্পকর্ম জমা পড়ে। এর মধ্যে থেকে বাছাই কমিটির মাধ্যমে ৩৮০জন শিল্পীর ৪১২টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প, কারুশিল্প, স্থাপনা, পারফর্মেন্স এবং নিউ মিডিয়ার নানা শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে। শিল্পকর্ম নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন শিল্পী আব্দুল মান্নান, শিল্পী তরুণ ঘোষ, শিল্পী বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও শিল্পী আনিসুজ্জামান। পুরস্কার মনোনয়নের জন্য বিচারক হিসেবে ছিলেন শিল্পী কে এম এ কাইয়ূম, শিল্পী চন্দ্র শেখর দে এবং শিল্পী সাইদুল হক জুঁইস। নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীতে নবীন শিল্পী চারুকলা পুরস্কার, চিত্রকলায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, ভাস্কর্যে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, ছাপচিত্রে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার এবং ৪টি সম্মানসহ ৫টি ক্যাটাগরিতে মোট ৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়। উল্লেখ করতে ভাল লাগছে প্রথম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসান। ১ম আয়োজনে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করেন শিল্পী চন্দ্র শেখর দে। যাহোক, বুধবার সন্ধ্যায় খুব বেশি দর্শক দেখিনি প্রদর্শনীকেন্দ্রে। শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত লোকজনই কেবল এই প্রদর্শনী দেখতে যাবেন, এটা তো কোন কাজের কথা নয়। শিল্পের অন্য শাখায় যারা কাজ করেন, যেমন সিনেমা বানান, অভিনয় করেন, সাহিত্যচর্চা করেন, নাচ-গান করেন- সবারই তো চিত্র প্রদর্শনী দেখা দরকার। বিষয়টা এমন নয় যে লেখকরাই শুধু বই পড়বেন। তাছাড়া চারুকলার নবীন শিক্ষার্থীদেরও এই প্রদর্শনী দেখতে দল বেঁধে যাওয়া জরুরী বলে মনে করি। সামনের শনিবারেই শেষ হচ্ছে এই শিল্প-আয়োজন। ২২ জুলাই ২০১৮ [email protected]
×