ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ

তবু শিরোপাস্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের কোচ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৩ জুলাই ২০১৮

  তবু শিরোপাস্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের কোচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যুব দলের সেরা সাফল্য সেমিফাইনাল খেলা। এরপর তৃতীয় হওয়া। কখনই ফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ দল। শিরোপা জেতাতো যেন দূরের বিষয়! কিন্তু বাংলাদেশ যুব দলের নতুন কোচ নাভিদ নেওয়াজ সেই স্বপ্নই দেখছেন। যুব বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে চান নাভিদ। নাভিদ রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির মিডিয়া লাউঞ্জে সাংবাদিকদের জানান, ‘যদি টেকনিক্যালি বলি হ্যাঁ, বিশ্বকাপ শিরোপা জিততে চাই এবং এটা সম্ভব। আর সেজন্যই আমি ছেলেদের শক্তিমত্তার জায়গাটি দেখছি। আমাদের ছেলেদের সেই দক্ষতা আছে।’ আগামী বিশ্বকাপ হবে ২০২০ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে সেই যুব বিশ্বকাপ। এখন থেকেই নতুন কোচ খেলোয়াড়দের মনের ভেতর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন বুনছেন। এখন পর্যন্ত ১৯৮৮ সাল থেকে যুব বিশ্বকাপ হয়েছে ১২ বার। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার হওয়ার পর দশ বছর বিরতি দিয়ে আবার ১৯৯৮ সাল থেকে দুই বছর পরপর নিয়মিত হয় যুব বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ১১ বার অংশ নেয়। ১৯৮৮ সালের বিশ্বকাপ বাদে বাকি সব বিশ্বকাপেই অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। অর্জন, ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলা এবং তৃতীয় হওয়া। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে পঞ্চম এবং গত বিশ্বকাপে ষষ্ঠ হয় বাংলাদেশ। বড় সাফল্য বলতে এইটুকুই। যুব বিশ্বকাপে ২০০২ সালে এগারোতম, ২০০০ সালে দশম, ১৯৯৮, ২০০৪, ২০১০ ও ২০১৪ সালে নবম হয়, ২০০৮ ও ২০১২ সালে সপ্তম হয় বাংলাদেশ যুব দল। এবার যুব দল শিরোপা জিতবে, সেই আশা আছে। আশার সঙ্গে আছে চ্যালেঞ্জও। বিশ্বকাপ যে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে। সেই কন্ডিশনে খেলা কী আর সহজ! খুবই কঠিন। সেই বাস্তবতাও সামনে তুলে ধরেছেন নাভিদ। তিনি বলেছেন, ‘সব চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ওখানকার কন্ডিশন এবং সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। গেল বিশ্বকাপ যেটি নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানকার কন্ডিশন বাংলাদেশের তুলনায় বেশ কঠিন ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনও তেমনি হবে। তবে নির্ভর করছে আমরা কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি তার ওপর। গত সপ্তাহেই যুব দলের কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন নাভিদ। যোগ দিয়েই খুলনায় যুব দলের অনুশীলন ক্যাম্পে চলে যান। গত ১৬, ১৮ ও ১৯ জুলাই যে হাই পারফর্মেন্স দলের সঙ্গে ওয়ানডে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে যুব দল তা গভীরভাবে দেখেন। খেলোয়াড়দের ভালভাবে পরখ করে নেন। নাভিদ জানান, ‘এ পর্যন্ত ৭-৮ জন পেসারকে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে নির্বাচকরা আরও দু’একজনকে দলে নিতে পারেন। কেননা দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে পেসাররাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ নাভিদ তাই পেসারদের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে যে পেসারদেরই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। খুলনায় তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে যুব দল ঢাকায় পৌঁছেছে। ঢাকায় ফিরে মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে প্রস্তুত হচ্ছেন যুব ক্রিকেটাররা। নাভিদ প্রস্তুত করছেন ক্রিকেটারদের। লক্ষ্য বিশ্বকাপ জেতা। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার এ কোচ জানেন কোন্ কোন্ খেলোয়াড়কে দলে রেখে ভালভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যেই নাভিদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৪৪ বছর বয়সী নাভিদ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলেছেন। ১টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। টেস্ট ম্যাচটি খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই ২০০২ সালে। ২০০৪ সালে ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই কোচিংয়ে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা অনুর্ধ-১৯ দলের কোচ ছিলেন নাভিদ নওয়াজ। তার তত্ত্বাবধানে দুইবার সেমিফাইনালে খেলে শ্রীলঙ্কা। ২০১৪-১৫ সালে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং টিমের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। নাভিদ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাই পারফর্মেন্স কোচ (লেভেল থ্রি)। নাভিদকে বাংলাদেশ যুব দলে যোগ করা হয়েছে। এখন বিশ্বকাপে ভাল কিছুর আশাই করা হচ্ছে।
×