ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতা মানব না

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৩ জুলাই ২০১৮

  কোটা আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতা মানব না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী যে কোন ধরনের তৎপরতা ও শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত করার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ। কোটার যৌক্তিক সংস্কার আমরাও চাই- এমন অবস্থান তুলে ধরে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই, তবে কেউ কেউ এ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন। ‘কোটা আন্দোলনের নামে ও নিপীড়নের নামে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’ ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যনারে কিছু শিক্ষকের উস্কানি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে মানববন্ধনে। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াস’র প্রতিবাদে কলাভবনের সামনে ‘সচেতন শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ অধিকাংশ বিভাগের শিক্ষকরাই। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, এ্যাকাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, অধ্যাপক বজলুল হক খন্দকার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদা, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, সিন্ডিকেট সদস্য সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির প্রমুখ। এর আগে সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি তুলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাম সংগঠনের নেতাদের নেতৃত্বে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে সম্প্রতি একদল শিক্ষার্থী কর্মসূচী পালন শুরু করেন। এরপর বাম ডানপন্থী কিছু শিক্ষক হঠাৎ করে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে সরব হয়ে উঠেন। গত কয়েকদিনে এই শিক্ষকদের কর্মসূচী থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করা হয়। তারা কোটা সংস্কারের দাবিতেও সমর্থন জানান একই সঙ্গে হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করা ছাড়াও তাদের কর্মসূচীতে না আসা শিক্ষকদের মেরুদ-হীন বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে সক্রিয় একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধেই আছে গুরুতর অভিযোগ নিপীড়নের অভিযোগ। এমনকি এক শিক্ষক ছাত্রীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগসহ নানা অপকর্মের কারণে আছেন বাধ্যতামূলক ছুটিতে। ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ায় ইতোমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন প্রেক্ষপটে রবিবার নীরবতা ভেঙ্গে প্রকাশ্যে শক্ত অবস্থান নিয়ে সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কমসূচীতে বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে ও নিপীড়নের নামে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক’দের কর্মসূচীতে দেয়া বক্তব্যের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেনের শাস্তি দাবি করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মাকসুদ কামাল। বলেন, সেই সমাবেশ তাদের ভাষায় ছিল নিপীড়নের বিরুদ্ধে। সেই সমাবেশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে। অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেখানে দাঁড়িয়ে যখন বলা হয়- ‘শেখ হাসিনা কি মুক্তিযুদ্ধ করেছে? শেখ মুজিব কি মুক্তিযুদ্ধ করেছে? সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানে এদেশের জাতির অস্তিত্বের ওপর আঘাত করা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আঘাত করা, স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা। আইয়ুব, ইয়াহিয়া যে কাজটি করেনি, রাজাকার যে কাজটি সাহস করে নাই, আজকে তিনি (আকমল) তার যৌবনে মুক্তিযুদ্ধে যাননি, তিনি আজকে বঙ্গবন্ধুকে এখানে দাঁড়িয়ে আঘাত করছেন। আয়োজকরা ক্ষান্ত থাকছেন, সামনে যাদের বসিয়ে রাখা হচ্ছে, তারা আবার হাততালি দিচ্ছেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে এই চিত্র আমাদের দেখতে হচ্ছে। তারা তারেক জিয়ার ভাষায় বক্তব্য রাখছেন। অধ্যাপক আকমলের বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিতেও উত্থাপন করা হবে জানিয়ে সমিতির সভাপতি বলেন, জাতির জনককে নিয়ে প্রশ্ন তোলার মধ্য দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যাচ্ছে। এখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় পুরো দৃশ্যপট। একটা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে টেনে এনে বঙ্গবন্ধুকে আক্রমণ করা হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা কীসের আলামত, সেটা আপনাদেরও বুঝতে বাকি নেই, আমাদেরও বুঝতে বাকি নেই। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্রতি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশের কথা তুলে ধরে মাকসুদ কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোটা বিষয়ে একটি যৌক্তিক ও আইনী সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেটি হয়ত সময়ের ব্যাপার। কোটা সংস্কারের আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা বা কটাক্ষ করা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না মন্তব্য করে সভাপতি বলেন, এসব কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্র যদি অন্যায়ভাবে কারাগারে থাকে তাকেও ছাড়িয়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বলেন, আর দু’বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন করবে। আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা মর্যাদার জায়গায় রাখতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থিতিশীল রাখতে আমরা সবাইকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিদের উচিত হবে না বিরোধীদের কোন ধরনের সুযোগ দেয়া। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করা শিক্ষক সমাজ কোনভাবেই মেনে নেবে না। কিন্তু ন্যায্য দাবির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করব। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, কোটা সংস্কার যৌক্তিক দাবি, আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। যারা এই আন্দোলনটি করছে, তাদের সঙ্গে হয়ত আমাদের কোন জায়গায় একটি কমিউনিকেশন গ্যাপ হচ্ছে। আমাদের ব্যাখ্যা করতে হবে কয়টা ক্যাডার সার্ভিস, নন ক্যাডার, কারা কিভাবে কোন শ্রেণীতে আসতে পারে। মাত্র দুই থেকে তিন হাজার যেখানে নিয়োগ পাচ্ছে, তাহলে কেন এই আন্দোলনটিকে আমরা গতিশীল করে কেন ইস্যু ক্রিয়েট করছি? অর্থাৎ এখানে নিশ্চয়ই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পাঁয়তারা কেউ না কেউ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই মিলে একটি পরিবার। পরিবারের কোন সমস্যা হলে আমরা তার সমাধান করব। অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘নিপীড়নবিরোধী’ শিক্ষকদের সমাবেশে অংশ না নেয়া শিক্ষকদের ‘মেরুদন্ডহীন’ আখ্যা দেয়া হচ্ছে। তাদের এই অধিকারটা নাই যে আমাদের বাকিদের বলা- তোমরা মেরুদ-হীন, তোমরা এই, তোমরা সেই। আমাদের মিডিয়াতে ইনসাল্ট করা কিংবা হিউমিলিয়েট করার অধিকার তাদের কেউ দেয়নি। তাদের যেমন অধিকার আছে তাদের মতামত ব্যক্ত করার, আন্দোলন করার, আমাদেরও অধিকার আছে তাদের সঙ্গে সেখান শামিল না হওয়ার। অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান বলেন, আমি কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট, আমাদের নিয়েই প্রথম ষড়যন্ত্র রচনাটি হয় কোটা সংস্কার নিয়ে। সব কিছুই গুজব, পরবর্তীতে আমরা জানতে পারলাম। বিষয়টি হল মাননীয় উপাচার্য শিক্ষকবান্ধব, শিক্ষার্থীবান্ধব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করছেন, সেজন্য তার ওপর যখন প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে, তখনও কিন্তু তিনি পুলিশ বাহিনী কিংবা কারও আশ্রয় নিতে চান নাই। তিনি বিশ্বাস করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে তার কোন ক্ষতি হতে পারে না এবং পরে দেখলামও তাই। কতিপয় অছাত্ররা এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে। ক্লাস-পরীক্ষা সচল রাখতে সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলের পক্ষ থেকে বলছি, আমাদের ক্লাস নেয়ার পরিবেশ, আমাদের ছাত্রদের ক্ষতি হয় এমন কোন পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না, আপনারা পারবেন না। অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা বলেন, আমরা সবাই একটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত, সেটা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ। অনেক কষ্ট করে সেশনজট দূর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। সেখানে একটি অপশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করতে চাইছে। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করতে পারলে দেশ অস্থির হয়ে যাবে। সেজন্য আমার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ, আমরা কোনভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট হতে দেব না। আর সেশনজ্যাম ঢুকতে দেব না। মানববন্ধনে শিক্ষকরা স্পষ্ট করে বলেছেন, কোটার যৌক্তিক সংস্কার তারাও চান। তবে কেউ কেউ এ নিয়ে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করতে চাইছেন। কোটা আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অরাজকতা তৈরি হচ্ছে, তখন এর বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। শিক্ষকরা বলেন, আমরা যে কোন ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকব। কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের অপচেষ্টা আমরা মেনে নেব না। কোটা আন্দোলন একটি ন্যায্য দাবি। কিন্তু এ আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করতে চায় এক ধরনের অপশক্তি। আমরা এ ধরনের অপশক্তিকে প্রতিহত করব। শিক্ষার্থীদের বলব তোমরা ক্লাসে আস। আগে তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে তখন কি রকম সেশনজট ছিল। আর এখন সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। কিন্তু যারা তোমাদের বলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করতে, তারা তোমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চায়। বাম সংগঠনের নেতাদের নিয়ে মানববন্ধন ॥ সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, মামলা, জেল এবং বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক নিপীড়নের প্রতিবাদে সর্বস্তরের ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে কিছু শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষার্থী দাবি করে কর্মসূচী করলেও তাতে ছিলেন মূলত বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরাই। এ সময় তারা স্লোগান দেন ‘ক্যাম্পাসে হামলা কেনো, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’। এছাড়াও হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড ‘রাশেদরা ফিরে আসুক’, ‘নিপীড়িতদের নয়, নিপীড়কদের গ্রেফতার করুন’, ‘ভাইয়ের রক্তে ভেজা ক্যাম্পাসে কিভাবে বসি ক্লাসে?’, ‘কেতাবি অধিকার নয়, রক্তে অর্জিত সংবিধানের বাস্তবায়ন চাই’, ‘কোটা কর সংস্কার, সন্ত্রাসী কর বহিষ্কার’, ‘প্রক্টরকে হুমকি কেন?’, ‘শিক্ষকের উপর হামলা কেন?’। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, ছাত্র ইউনিয়নের হাসিব মোহাম্মদ আশিক, ছাত্র ফ্রন্টের প্রগতি তমাসহ বেশকিছু বাম নেতাকর্মীদের দেখা যায়।
×