ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আসন্ন ঈদে কোন সঙ্কট হবে না

এবার কোরবানিযোগ্য পশু এক কোটি ১৬ লাখ

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২৩ জুলাই ২০১৮

  এবার কোরবানিযোগ্য পশু এক কোটি ১৬ লাখ

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ কোরবানির পশুর জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ এখন পশু সম্পদে সমৃদ্ধ। ঈদ-উল-আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ। গত বারের মতো এ বছরও কোরবানির পশুর কোন সঙ্কট হবে না বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে খামারিদের বাঁচাতে চোরাই পথে গরু যেন না আসে সেজন্য কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা থাকবে সীমান্তগুলোতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়াও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে আসন্ন ঈদ-উল-আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক কোটি চার লাখ ২২ হাজারের বেশি। জানা গেছে, গতবারও কোরবানির পশুর কোন সঙ্কট হয়নি। দিন দিন পশু পালনের প্রতি উৎসাহিত হচ্ছে মানুষ। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, ইতোমধ্যে পশু সম্পদে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশ। আমাদের পশু সম্পদে বিরাট সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পশু সম্পদকে ঘিরেই গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সৃষ্টি হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম মন্ডল জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারের নীতি ও কৌশল এবং উন্নয়ন বাস্তবায়নের ফলে আমাদের পশু সম্পদ আজ সমৃদ্ধ। এছাড়াও আমাদের বেসরকারী সেক্টরেরও ভূমিকা আছে। সরকার বেসরকারী সেক্টরগুলোকে সবধরনের সহযোগিতা করছে। কোরবানি নিয়ে সচিব বলেন, গত বছরের কোরবানির তথ্য হিসেব করলে এ বছর কিছুটা বাড়বে। আমাদের পর্যাপ্ত পশু আছে। এর বাইরেও কাস্টমস ডিউটি দিয়েও কিছু গরু আসে। তবে অবৈধ্যভাবে কোন পশু কোন দেশ থেকে যেন না আসে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে বলেও জানান।
×