ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থতায় বিমানের নতুন প্লেনে যান্ত্রিক ত্রুটি

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৩ জুলাই ২০১৮

 রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থতায় বিমানের নতুন প্লেনে যান্ত্রিক ত্রুটি

আজাদ সুলায়মান ॥ শত শত মিলিয়ন ডলারের ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না বিমান। একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ছে বোয়িং ৭৭৭, ৭৩৭ ও ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ। বহরে যোগ দেয়ার পর পরই নষ্ট করা হয়েছে নতুন উড়োজাহাজ ৭৭৭-এর এন্টারটেইনমেন্ট মনিটর। সিট ছিঁড়ে গেছে অনেকগুলোর। কয়েকটিতে সিটের হাতল ভাঙ্গা। বেল্ট নষ্ট। ছাল বাকল ওঠে গেছে অধিকাংশ সিটে। চকচকে নতুন উড়োজাহাজগুলোর এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। স্থায়ীভাবে এসি সিস্টেম অচল করা হয়েছে দুটোর। ত্রুটি না সেরেই চরম ঝুঁকি নিয়ে অপারেট করা হচ্ছে এসব উড়োজাহাজ। এভিয়েশান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে সঠিক তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ না করাই নতুন নতুন জাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির মূলকারণ। দায়িত্বপালনে গাফিলতি ও ব্যর্থতার কারণও অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যে কারণে প্রতি মাসেই একটি করে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটছে। বার বার কেন এমনটি ঘটছে সেজন্য দায়ী ব্যক্তিদের কেউ জিজ্ঞাসাও পর্যন্ত করছে না । এ ক্ষেত্রে নেই কোন জবাবদিহিতা, তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ। এসব ঘটনা দেখারও নেই কেউ। এভিয়েশান বিশেষজ্ঞ আশীষ রায় চৌধুরী মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দেশ বিদেশে তোলপাড় হওয়ার পরও টনক নড়েনি। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, এ ঘটনায় কেউ শিক্ষাও নেয়নি। বিমানের নতুন নতুন উড়োজাহাজগুলো কেন এত ঘন ঘন টেকনিক্যাল ত্রুটি হচ্ছে তা রহস্যজনক। এটা অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে। দেশের প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো এত পুরনো উড়োজাহাজ বছরের পর বছর ধরে নির্বিঘেœ অপারেট করতে পারলে বিমান কেন পারছে না এটা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশল বিভাগের একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত কৌশলে এ সঙ্কট জিইয়ে রাখলেও কারও টনক নড়েনি। একের পর এক উড়োজাহাজ রহস্যজনকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটির দরুন গ্রাউন্ডেড হওয়ায় সিডিউল বিপর্যয় ডেকে আনলেও তা তদন্ত করে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে না। সবাই গা ভাসাচ্ছে গড্ডালিকা প্রবাহে। উপরন্তু বছরের পর বছর এ বিভাগটি পরিচালক শূন্য রাখার পর সম্প্রতি এমন একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে- যিনি এখনও বিমানের প্রকৌশল বিভাগের অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। প্রকৌশল বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাদ যাচ্ছে না হজ ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত করে রাখা উড়োজাহাজও। গত এক সপ্তাহে যান্ত্রিক ত্রুটির দরুন তিনটা ফ্লাইট বিলম্বের শিকার হয়। এ সময় ইহরাম পরিহিত অবস্থায় হজযাত্রীদেরকেও চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে গালিগালাজ করতে দেখা গেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি হজফ্লাইট দুই দফা রানওয়েতে গিয়ে আবার ফিরে আসে। এতে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টার্মিনাল ভবনে ফেরত আনা হয়। হজফ্লাইটটির (বিজি ৫০২৭) যাত্রার সময় ছিল সন্ধ্যা পাঁচটা ৫৫ মিনিটে। ৪১৯ আসনের ওই ফ্লাইটটিতে যথা সময়ে যাত্রীদের তোলা হয়। এরপর রানওয়েতে গিয়ে উড়োজাহাজটি (বোয়িং ৭৭৭) ফিরে আসে। পরে দ্বিতীয় দফা আবার উড্ডয়নের জন্য রানওয়েতে যায়, আবার ফিরে আসে। এ বিষয়ে বিমান প্রকৌশল শাখা জানিয়েছে, উড়োজাহাজের শীতাতপ ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দেয়ায় ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করেনি। এমনটি প্রায়ই ঘটছে। ওই ফ্লাইটের হজযাত্রীদের একজন নিকটাত্মীয় সিরাজুল ইসলাম রাত পৌনে ১১টায় বলেন, তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ওই ফ্লাইটের যাত্রী। তারা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় আশকোনা হজ ক্যাম্পে আসেন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাদের বিকেল পৌনে চারটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে উড়োজাহাজে তোলা হয়। পাঁচটা ৫৫ মিনিটেই তাদের ফ্লাইট রানওয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু উড্ডয়ন না করে ফিরে আসে। এভাবে দুই দফা রানওয়েতে গিয়ে আবার ফিরে আসে। বিষয়টি স্বীকার করে হজ পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, উড়োজাহাজটি কারিগরি ত্রুটির কারণে উড্ডয়ন করেনি। দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও বিমান কর্তৃপক্ষ ত্রুটি সারাতে পারেনি। পরে অন্য একটি উড়োজাহাজে এসব হজযাত্রীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে গত ৭ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির দরুন ২০ ঘণ্টার বিলম্বের শিকার হয় জেদ্দা ফ্লাইট। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায় রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। এতে শত শত যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হন। একজন যাত্রী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদ সেদিন বলেছেন, আসলে একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণেই এই জটিলতা। তাকে অফলোড করার পর এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিন বন্ধ করতে হয়। পরে সেটা চালু করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ইঞ্জিন আর চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। রবিবার বিকেলে ইউএস-বাংলা থেকে ধার করে একটি পাওয়ার ইউনিট এনে ইঞ্জিন চালু করার পর সেটা জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়। ওই ফ্লাইটের এক যাত্রী শনিবার রাতে এ প্রতিনিধিকে ফোন করে জানান, রাত ৮টার সময় বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ ৭৭৭-৩০০ ইআর ফ্লাইটে যাত্রীরা আসন গ্রহণের সময় দেখতে পান ভেতরে প্রচন্ড গরম। তারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেবিন ক্রুরা জানান, অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট (এপিইউ) নষ্ট। এতে প্রচন্ড গরমে একজন যাত্রী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে অফলোড ও লাগেজও বের করতে বেশ খানিকটা সময় লাগায় এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়। এ সময় যাত্রীরা উত্তেজিত ও মারমুখী হয়ে ওঠেন। পরে যখন ইঞ্জিন চালুর চেষ্টা করা হয়- তখন বিমানের কোন পাওয়ার ইউনিটই কাজ করেনি। সবকটা পাওয়ার ইউনিট বিকল থাকায় রাতে কিছুতেই ওই এয়ারক্রাফট স্টার্ট করা যায়নি। এতে যাত্রীদেরকে নামিয়ে আনা হয়। সারারাত তাদেরকে লাউঞ্জে বসিয়ে রাখা হয়। এ সময় তারা এয়ারপোর্টে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। রবিবার বিকেলে ইউএস-বাংলা থেকে পাওয়ার ইউনিট ধার এনে ওই উড়োজাহাজ স্টার্ট দেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় সেটা ঢাকা ছেড়ে যায়। তারপর গত ১৯ জুলাইও একই সমস্যা দেখা দেয় জেদ্দা ফ্লাইটে বোয়িং ৭৭৭ (এএইচএন)-এ। এটার কুলিং সিস্টেম কাজ না করায় যাত্রী ও ক্রুরা দারুণ ভোগান্তির শিকার হন। গত সোমবারও ঢাকা চট্টগ্রাম হয়ে আবুধাবী ফ্লাইটেও দেখা দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় দু ঘণ্টার বিলম্বের শিকার হয়। ওই উড়োজাহাজ (এএইচভি) করাচী গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়ে। যান্ত্রিক ত্রুটির দরুন সেটি ২৪ হাজার ফুটের ওপর দিয়ে ফ্লাই করতে না পারায় খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই অতিক্রম করতে হয়। অথচ এটি নিরাপদ উচ্চতায় দিয়ে উড়তে পারলে দুর্যোগ আবহাওয়া এড়াতে পারত। ওই ফ্লাইটের একজন ক্রু জানান, এমন এক একটা ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজে এ ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়ার কথা নয়। শুধু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমনটি হচ্ছে। এ বিষয়ে বিমানের এক পরিচালক বলেন, বিমানের বর্তমান দৈন্যদশা এতটাই ভয়াবহ যে ইউএস-বাংলা থেকে পাওয়ার ইউনিট ধার করে এনে সেটা দিয়ে উড়োজাহাজ স্টার্ট দিতে হয়। অথচ বিমানের নিজস্ব ৩টি পাওয়ার ইউনিট ছিল। সেগুলোর কোনটাই সচল ছিল না। কেন এক সঙ্গে তিনটা পাওয়ার ইউনিট অচল হয়েছিল সেটা সাধারণ যাত্রীদেরকে বিস্মিত করলেও বিমানের কোন কর্মকর্তা খতিয়েও দেখেনি। এটা তদন্তও করা হয়নি। বিমান প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, মাসের পর মাস ধরে দুটো ৭৭৭ উড়োজাহাজ (রেজি এএইচ এম এবং এএইচ এন ) এর কুলিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করছে না। প্রতিটি ফ্লাইটের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। একটিতে চরম ভাবাপন্ন গরম অন্যদিকে চরম ঠা-া হওয়ার দরুন যাত্রী কেবিন ক্রু ও ককপিট ক্রুরা অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো ঘটনা ঘটছে। বার বার অভিযোগ করার পরও এ দুটোর কুলিং সিস্টেম মেরামত করা হচ্ছে না। একই অবস্থা বোয়িং ৭৩৭ (এএফএম) এর বেলায়ও। লিজে থাকা দুটো ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের একটির কুলিং খারাপ গত ১ জুলাই থেকে। তারপরও উড়ানো হচ্ছে। শুক্রবার হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি আরও খারাপ হওয়ার পর নেয়া হয় বিমানের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে। এখন একটি দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের সবকটা ফ্লাইট অপারেট করতে গিয়ে সিডিউল বিপর্যয় ডেকে আনা হয়। প্রতিটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিলম্বের শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াও ৪টি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজের ভেতরে সিট, মনিটর, ও বেল্টের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান বহরে যোগ দেয়ার মাত্র কয়েক বছরের মাথায় যে বেহাল অবস্থা হয়েছে তাতে প্রকৌশল বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতি ও অদক্ষতারই পরিচয় বহন করে। এ দিকে কারোরই নজর নেই। ঠিক করারও কোন উদ্যোগ নেই। জানতে চাইলে বিমানের নবনিযুুক্ত পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ বলেছেন, বর্তমানে একটি ৭৩৭ ও একটি ড্যাশ-৮ যান্ত্রিক ত্রুটির দরুন গ্রাউন্ডেড। কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। শত শত মিলিয়ন ডলারের ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজগুলোতে কেন এত ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় কেন, কেন রক্ষণাবেক্ষণ করা যাচ্ছে না জানতে চাইলে প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এখানকার একটি দুর্নীতিবাজ চক্রের সৃষ্টি কৃত্রিম সঙ্কট এটি। ওই চক্রটির অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এগুলোর সময়মাফিক রক্ষণাবেক্ষণ না করে উল্টো স্পেয়ার পার্টস কেনায় প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। যারা এগুলো সাপ্লাই দেয়- তাদের পেমেন্ট বন্ধ রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে এক কর্মকর্তা স্টোর বিভাগের যোগদান করার পর থেকেই এ সঙ্কটের শুরু। তিনি সেখানে গিয়েই স্পেয়ার পার্টস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পাওনা বন্ধ করে দেন। যেখানে স্পেয়ার পার্টস মওজুদ রাখতে হয়ে, সংগ্রহে রাখতে হয়- সেখানে তিনি উল্টোটি করে আত্মঘাতীর প্রমাণ দিয়েছেন। এ সম্পর্কে প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বোয়িং উড়োজাহাজগুলোর স্পেয়ার পার্টস সরবরাহ করার জন্য যে সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিমান চুক্তি করেছে- সেগুলোর পেমেন্ট বন্ধ করায় এ সঙ্কটের সৃষ্টি। মনিরের এ সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে অসৎ মনোভাব। এক সময় বিমানের প্রকৌশল শাখায় ৩ শ’ ডলারের স্পেয়ার পার্টস কেনা হতো ৩ হাজার ডলার দিয়ে। কয়েকটি সরবরাহকারী কোম্পানির সিন্ডিকেটের যোগসাজশে স্পেয়ার পাটর্স কেনার নামে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। বছর কয়েক ধরে বিমান সেই পদ্ধতি বাতিল করে সরাসরি বোয়িং মনোনীত কোম্পানির সঙ্গে স্পেয়ার পার্টসের জন্য চুক্তি করে। এতে এ খাতের দুর্নীতি অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান পদ্ধতিতে বোয়িংয়ের কোন পার্টস অকেজো হয়ে গেল সেটা ওই কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দিলে বিপরীতে নতুন সচলটা জরুরী সরবরাহ করা হয়। পরে বিল পরিশোধ করা হয় নির্দিষ্ট সময়ে। এ অবস্থায় দুর্নীতিবাজরা নাখোশ হয়ে আবার আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত সুকৌশলে স্পেয়ার পার্টসের পাওনা বন্ধ করে দেয়। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানের এমডি ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আছে। আমি অবশ্যই এগুলো ধরব। ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে দুটো জাহাজ গ্রাউন্ডেড সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। আমরা বসে নেই।
×