ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এইচএসসিতে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার আসন ১৩ লাখের বেশি ;###;পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার

সুযোগ পাবে মেধাবীরা ॥ কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে উদ্বেগ থাকছে না

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২১ জুলাই ২০১৮

সুযোগ পাবে মেধাবীরা ॥ কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে উদ্বেগ থাকছে না

বিভাষ বাড়ৈ ॥ গেল ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্কোর জিপিএ-৫ পাওয়া ৮১ হাজার শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এসে তাদের জিপিএ-৫ হারিয়েছেন! মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়া এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে সেই স্কোর ধরে রাখতে পেরেছে মাত্র ২৯ হাজার ২৬২ জন। বাকিরা হারিয়েছেন তাদের জিপিএ-৫। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে হঠাৎ জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে আসায় দেশের সবচেয়ে কাক্সিক্ষত উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে ভর্তির পথ খুলেছে সর্বোচ্চ মেধাবীদের। অন্যান্য বছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় আসন দিতে ব্যর্থ হয়েছে কাক্সিক্ষত প্রতিষ্ঠান দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলো। এবার জিপিএ-৫ না পেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার সুযোগ পাবে অন্যরাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা চলে যাচ্ছিল ভাল প্রতিষ্ঠানের আসনের ওপরে। সরকারী মেডিক্যাল ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ আকর্ষণীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যত আসন থাকে দীর্ঘদিন জিপিএ-৫ পেয়ে আসছিল তার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী। ফলে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই অনেকে ভাল প্রতিষ্ঠানের ভর্তির সুযোগ পায়নি। তার চেয়ে কম স্কোর যেমন জিপিএ-৪ কিংবা জিপিএ সাড়ে ৪ পাওয়া শিক্ষার্থীরা আগেই পিছিয়ে পড়ছিল। কিন্তু এবার সেই অবস্থার পরিবর্তন হবে। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা মোট আসনের চেয়ে কম হওয়ায় আগের উদ্বেগ কেটে গেছে। অন্তত এবার জিপিএ-৫ পাওয়াদের আসনও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী মেডিক্যালে নেই- এমন খবরে উদ্বেগের মধ্যে থাকতে হচ্ছে না কাউকে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সংশ্লিষ্টরা আগেই বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশ এক্সামিনেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিট বা বেদু’র নতুন কঠোর খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতির কারণেই এবারের এসএসসির মতো এইচএসসিতেও পরীক্ষায় পাসের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। কঠোর ও যথাযথ খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতির ফলে অব্যাহত সাফল্যে বড় ধরনের ছেদ পড়েছে। ২০০৩ সালে গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর পর প্রায় প্রতিবছরই পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, গত ১০ বছরের মধ্যে এবারই পাসের হার সবচেয়ে কম। গত ১০ বছরের মধ্যে দু’এক বছর বাদ দিলে প্রায় প্রতিবছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। কোন কোন বছর পাসের হার কিছুটা কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবার ফলাফলের প্রতিটি সূচকেই কিছুটা ছেদ পড়েছে সাফল্যে। পাসের হার গত বছরের থেকে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশে। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা আট হাজার ৭০৭ জন কমে হয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। কমেছে জিপিএ- চার ও সাড়ে ৪ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। মূলত এই তিন স্কোরধারী শিক্ষার্থীরাই দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির প্রতিযোগিতায় সামনে চলে আসেন। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শেখ একরামূল কবির বলছিলেন, ভাল ফলাফলের সংখ্যাটাই শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে ভর্তির উদ্বেগ বেশ খানিকটা কমিয়ে দিয়েছে এবার। এ শিক্ষাবিদের মতে, খাতা গুণে নম্বর দেয়ার প্রবণতার কারণে বছরের পর বছর ধরে পাসের হার চলে যাচ্ছিল শতভাগের কাছে। ফলে প্রতিবছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও চলে যাচ্ছিল ভাল প্রতিষ্ঠানের আসনের ওপরে। সরকারী মেডিক্যাল ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ আকর্ষণীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যত আসন থাকে দীর্ঘদিন জিপিএ-৫ পেয়ে আসছিল তার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী। ফলে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই অনেকে ভাল প্রতিষ্ঠানের ভর্তির সুযোগ পায়নি। তার চেয়ে কম স্কোর যেমন জিপিএ-৪ কিংবা জিপিএ-৪.৫০ পাওয়া শিক্ষার্থীরা আগেই পিছিয়ে পড়ছিল। কিন্তু এবার সেই অবস্থার পরিবর্তন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার খাতার সঠিক মূল্যায়নের ফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কমলেও দেশের শিক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়াকে ধরে রাখতে হবে। কয়েক বছর পাস ও জিপিএ-৫ কমতে পারে। তবে এই ফলই পজেটিভ। একটি স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে ফল। এরপর আবার আস্তে আস্তে সাফল্য আসবে পাসের হার ও জিপিএ-৫ সহ অন্যান্য সূচকেও। নতুন পদ্ধতিতে একই ধারায় নম্বর দেয়ার কারণে তুলনামূলকভাবে অন্য বছরের চেয়ে বেশি ফেল করেছে। তবে এ বিষয়টি আমাদের কাছে কাম্য ছিল। এদিকে উচ্চশিক্ষা স্তরে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য এইচএসসি উত্তীর্ণদের আসন সঙ্কট হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় আসন ১৩ লাখের বেশি। এবার পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী-বেসরকারী সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসনই ৭ লাখের মতো। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের অধিকাংশের পছন্দের তালিকায় থাকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগরসহ বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), মেডিক্যালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। সরকারী সাধারণ (মেডিক্যাল বা বিশেষায়িতগুলো নয়) বিশ্ববিদ্যালয়েই ৪৫ হাজারের মতো আসন রয়েছে। ইউজিসির জানিয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দুই হাজার ২০০ কলেজে রয়েছে চার লাখের মতো। আর অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন প্রায় ৪০ হাজারের ওপরে। আসনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজারের মতো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ হাজার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ হাজার, বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২ হাজার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় হাজার ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ আসন রয়েছে। ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার থাকবে ভর্তির সুযোগ। এছাড়া বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে প্রায় দুই লাখ আসন। এর বাইরেও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আসন রয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী স্টাডির জন্য বিদেশ যায়। আবার অনেকের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এবার ভালমানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি নিয়ে আসন সঙ্কট থাকবে না বলেই বলছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এর বাইরে সরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আসন রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। বুয়েটে রয়েছে এক হাজারের ওপরে। জিপিএ-৫ পাওয়া বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল ও অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ভর্তির ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়। বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভালমানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ হওয়ায় বাধ্য হয়েই মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিশাল অংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা সহজেই ভর্তি হতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার কি হবে? ॥ এতদিন আশার সঞ্চার হলেও এবারও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে না ক্লাস্টার বা গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সেশনজট কমানো ও কোচিং বাণিজ্যের দাপট সামলাতে ভর্তি পরীক্ষা কিছুটা এগিয়ে আনা সম্ভব হলেও তাদের বহুবছরের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল কলেজের মতো এক সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সেই উদ্যোগে সাড়া নেই বড় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের। জানা গেছে, শিক্ষার্র্থী ও অভিভাবকদের গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার দাবি পূরণ হচ্ছে না। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আপত্তির কারণে ভেস্তে গেছে এ প্রক্রিয়া। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতদিন বলে আসছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষা গ্রহণ না করে নিজস্ব নিয়মেই পরীক্ষা নেয় তাহলে করার কিছু নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উদ্যোগ নিলে আমরা সব ধরনের সমর্থন দেব। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা তাদের জোরও করতে পারি না। কোন সিদ্ধান্ত আমরা তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারি না। সূত্রগুলো বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষা নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলছেন, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট নিজেদের স্বতন্ত্র মান বজায় রাখতে চায়। একই কথা মতো দিয়েছেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান ভর্তি পদ্ধতিকে বহুবার ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কারণে প্রতি বছর কোচিং সেন্টারগুলো ৩২ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের বহু টাকা ব্যয় করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নির্দেশনা দিলেও কবে থেকে তা কার্যকর হবে সে বিষয়ে ধারণা দিতে পারলেন না শিক্ষামন্ত্রী। এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের (বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য) নিয়ে বৈঠক করে আমরা প্রায় কাছাকাছি আসছিলাম, তারপরে একটা সময়ে এসে আমরা আর খুব একটা এগোতে পারব সেই আশা রাখি নাই। পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিজেও বলেছেন, উদ্যোগও নেয়া হয়েছে, অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। ইউজিসি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, একটি কমিটি করা হয়েছে, কমিটি কাজ করছে।
×