ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিচিত্র তথ্য

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২০ জুলাই ২০১৮

বিচিত্র তথ্য

নাচের তালে ফুটবল খেলা ফুটবল জ্বরে কাঁপছে সারা বিশ্ব। খেলা হচ্ছে রাশিয়ায় আর তার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। তবে গতানুগতিক ধাঁচের যে ফুটবল খেলা হচ্ছে তাতে মন ভরছে না ফরাসী নাচ শেখানোর প্রতিষ্ঠান ফ্রেঞ্চ ব্যালেট ডি লরিয়েনের। ‘ডিসকো ফুট’ নামের নতুন এক ধাঁচের ফুটবল খেলা নিয়ে হাজির হয়েছেন তারা। নাচ এবং ফুটবল খেলার সংমিশ্রণে তৈরি সম্পূর্ণ নতুন ঘরানার এই ফুটবল খেলা নিয়ে ইতোমধ্যে ফরাসীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ফুটবল খেলার মতো এই খেলাতেও দুই দলে এগারো জন করে বাইশজন থাকবে। উভয় দলের খেলোয়াড়েরা গোল দিয়ে জেতার চেষ্টা করবেন। তবে পার্থক্য হচ্ছে নতুন ধরনের এই খেলায় খেলোয়াড়দের নৃত্যের তালে তালে খেলতে হবে। অর্থাৎ বল নিয়ে একজন খেলোয়াড় যখন দৌড়াবেন কিংবা বল ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকবেন তখন তাকে নৃত্যের তালে থাকতে হবে। এই খেলার আরো একটি অদ্ভুত নিয়ম হচ্ছে কোনো দল বেশি গোল করলেই জিতে যাবে না বরং গোলের পাশাপাশি নাচেও দলটিকে সমান দক্ষতা দেখাতে হবে। কারণ ভাল নাচের জন্য পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে খুব দ্রুত এই খেলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর বড় বড় খেলোয়াড়রা শারীরিক শক্তিনির্ভর ফুটবল বাদ দিয়ে এই ধরনের ছন্দময় ফুটবল খেলবে। বিয়েতে উপহার রক্ত! মানুষের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি বিয়ে। বিশেষ এই দিনটি আরও স্মরণীয় করতে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠান। এখানে আগত অতিথিরা বর-কনের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ নানা রকমের উপহার নিয়ে আসেন। তবে ব্যতিক্রমী এক বিয়ের খবর পাওয়া গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলায়। নগদ রুপি কিংবা কোন উপহার নয় আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছ থেকে রক্ত চেয়েছেন পাত্রী। প্রকৌশলী এই পাত্রীর নাম সৌমিতা মণ্ডল। চলতি মাসে তার বিয়ে ঠিক হয় প্রকৌশলী অর্পণ হাজরার সঙ্গে। বিয়েতে সৌমিতা তার বাবা বা হবু স্বামীর কাছে কিছুই চাননি। তিনি শুধু তার বাবার কাছে একটি দাবি করেন, যেন বিয়ের দিন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আর নিমন্ত্রিত অতিথিরা যেন উপহারের বদলে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। বিয়ের আগে মেয়ের এই রকম ব্যতিক্রমী আবদার শুনে ঘাবড়ে যান বাবা সুবিনয় মণ্ডল। তবে যে মেয়ে আজ বাদে কাল পরের ঘরে চলে যাবে তার শেষ আবদার বলে কথা। সুবিনয় মণ্ডল স্থানীয় চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে সব ব্যবস্থা করেন। বিয়েতে আগত অতিথিরাও প্রথাগত উপহারের বদলে ব্যতিক্রমী এই উপহার দিতে পেরে খুশি হয়েছেন। সৌমিতা বলেন, ‘আমার একমাত্র চাওয়া ছিল রক্তদান শিবিরের আয়োজন। আমার বাবা-মাকে বলেছি, কোনো গহনা বা অলঙ্কার দেয়ার দরকার নেই। সবখানেই যখন রক্তের সঙ্কটের মাধ্যমে আমি সমাজের সেবা করতে চাই। আমি সাধ্যমতো করার চেষ্টা করেছি।’ বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ত্রিশ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথম রক্ত দান করেন সৌমিতার মা ডালিয়া। সৌমিতা জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি হাসপাতালে এই রক্ত দান করা হবে। শাহিদুল ইসলাম
×